সকাল সকাল আব্বার ডাক, ওই হারামি ওই শয়তান তোর ঘুমের গুল্লি মারি, তারাতারি উইঠা পর, সব সুন্দর সুন্দর মাইয়া গুলা চইলা গেল। আব্বার কথাই লাফ দিয়া উঠলাম কীইইইই কইলা ডেডি এক্ষুনি রেডা হইয়া লইতাছি। ও হ্যা আমার ভাই মা নাই, আব্বা আর আমার ফ্যামিলি, তাই আব্বার লগে কথা হইছে হয় আব্বাই বিয়া করব নাইলে আমি করমু।হি হি আমি ও কোম যাই নাকি, আমি যেই হারে শয়তান আব্বাই কম যায় না। আমাগো বাপ পোলার জ্বালাই পারার লোক অতিষ্ঠ । একদম ফ্রেস হইয়া ঝাক্কাস শার্ট প্যান্ট জুতা পইরা আমি রেডি। হয় হায় আব্বা তুমি এই গুলা কী পরছ। গলাই চেন, চোখে সানগ্লাস, একটা গেঞ্জি, থ্রিকোয়াটার, আবার শার্টের বোতার খোলা। ওহহহহহ নো আব্বা মাইয়ারা তো সব তোমারে দেইখা পইটা যাইব, আমি কী ঘাস কাটমু। – ঠাসসসসসস, হারামজাদা দুই মাস থেইকা একটা মাইয়া পটাইতে পারস নাই, আজকে থেইকা নতুন প্লান, তুই আগে মাইয়া পটানো পারলে তোর বিয়া, আর আমি আগে পাড়লে বুঝতেই পারছস। – সালার বাপ, আমার লগে পাঙ্গা, আব্বাজান আমি রাজি। কই থেকে শুরু করবা কও। – হারামজাদা এখন সকাল মাইয়া গুলা পার্কে দৌড়াতে আসব পার্কে চল। – উকে ডেডি চলো, আচ্ছা ডেডি শোন তুমি আমার লেবেলের মাইয়ার দিকে নজর দিবা না সব বুড়ি বুড়ি দেখবা। – একটা চর দিমু হারামি, যেই যেমনে পারুক পটাইলেই হইব। পার্কে গিয়া দৌড়াইতেছি,,,,, আব্বাআআআআআআআআআআ ডাইনে তাকাও, মনে হয় বিদেশী একবার তোমার লগে বিয়া হলে না সোজা বিদেজকোন টাহা লাগব না। – হারামি আমার দিকে তাকা একবার, তোরে আর আমারে দেখলে সবাই তোরে বাপ কইব, সামনে একটা মেয়ে আসছে রেডি হইয়া পড়। – আব্বা এই মাইয়ার হাতে ও একবার চর খাইছিলাম, আমি যামু না হেব্বি বদ মাইয়া। – তোরে যে আল্লাহ ক্যান আমার পোলা করে পাঠাইছে, আমার ও একি প্রশ্ন কেন যে তোমার পোলা কইরা পাঠাইল, অন্য বাপ হইলে এতদিনে বিয়া দিয়ে দিত। – হারামজাদা আমি ও সিঙ্গেল তুই ও সিঙ্গেল সো হয় তোর বিয়া না হয় আমার,, আমারে দেখ আর শেখ কেমনে মাইয়া পটানো লাগে ওই গাছে আরালে গিয়া দেখ। – গাছের আড়ার থেকে দেইখা তো আমি পুরাই অবাক, আব্বাই মাইয়াটার লগে ভাব জমাই ফেলছি, মনে মনে ভাবছি ইয়াং বয়সে কত্ত বড় ট্যালেন্ট ছিল। আহা আমার বাপ বইলা কথা, হঠাৎ একটা বয়ষ্ক মহিলার আগমন আর ঠাসসসসসস, আমার গালে না আব্বার গালে। কী জানি কইল আর ওর মেয়ের হাত ধইরা নিয়া গেল। – কীইইইই, ডেডি কেসটা কী হুমমমমম, সুন্দরী তো ভালই লাইনে আসছিল, ওর মায়ে লাগাই দিল ক্যান হা হা হা। তারাতারি কইয়া ফ্যালাও নাইলে তোমার সব কিছু সবাইরে কইয়া দিমু। – আরে কলেজ লাইফে ওই মাইয়াটারে ও আমি একবার প্রপোজ কইয়া চর খাইছি।।।। তাই তো কই ঘটনা কী, ওই মাইয়ার মা তোমারে দেখতে পারে না আর ওই মাইয়া আমারে, দাঁড়াও ওর মায়রে আমি দেখতেছি। হ্যালো এন্টি কেমন আছেন। – কী সুইট বাচ্চা, ভাল বাবু তুমি। – আমি ও আন্টি আপনি না অনেক সুইট, যে কেউ দেখলেই প্রেমে পড়ে যাবে। – কী যে বলনা তুমি, তুমি ও অনেক সুইট। – আন্টি আই লাভ হউ। – আন্টি বলনা শুধু আই লাভ হউ বলো। – আন্টি আংকেল কই। – আর বলোনা তিথি হওয়া কিছু দিনের মধ্যে মারা গেছে। – ওহহহহহহ সো সরি আন্টি। – আরে না তুমি খুব সুইট করে কথা বলো। – হি হি থাংকু আন্টি। হঠাৎ তিথি কই থেকে উইড়া এসে ঠাসসসসসস এবার আমার গালে, চলো মা এই শতানের সাথে কথা বলবানা। – বাই বাই কিউটি বয় টাটা। গালে হাত দিয়া আব্বার কাছে আইসা বসলাম। – কী হুমমমমম কেমন লাগে, বাপের চর খাওয়া দেখে হাঁসিস লজ্জা করে না হারামজাদা। – তার মানে তুমি ও লাইন মারছি তাই না, আর আমার উপরে প্রতিশোধ নিয়ার জন্য পাঠাই দিছ। ওকে সমান সমান চলো একটু ডেন্স কইরা নেই। (ধাতিং ধাতিং ধাতিং নাচ ওই ধাতিং ধাতিং নাচ) ডেডি চলো বাড়িতে গিয়া নাচি ওহহহহ বাপ পোলা আমরা প্যান্ট খুইলা নাচতেছি। হঠাৎ আব্বার ফোনে (দিলমে ডোবা ডোবা মুচকো রে দিক আখও মে) আব্বা তোমার ফোন নাম দেখি তিথি ও মাই গড নাম্বারটা ও নিয়া ফেলছে। আমি কম কী আমার ফোনে ও ফোন আসল, ( ওহ বেবি ডলাম ডোলে দি) দুই বাপ পোলা আমরা কম যাই না। চুটাই কথা কইতাছি মা বেটির লগে। খাইতে খাইতে ডেডি আমরা তো কোটিপতি। – কেমনে রে,, – দেখা যো তোযে এয়ার দিলমে বাজি গিটার, আব্বার তুমি ওর মারে আর আমি বেডিরে, আহা সব টাকা আমাগো। – কিন্তুু এইটা কেমনে। – আরে যেই দিক দিয়েই যাও আমি তোমার পোলা আর তিথি তোমার মাইয়া, আর ওর মা আমার যেই দিক দিয়েই যাও মা। এবার বুঝছ। – তোর কীইইইই বুদ্ধি আই লাপ ওই মাই সান। আই লাপ ইউ ডেডি চলো একটু নাইচা লই। (পাল পাল না মানে টিংকু জিয়া টিংকু জিয়া। ইসকু কামান যানকে ছেহে বিয়া) চল অনেক হইছে এখন ঘুমাই। তুমি যাও বাবা আমি আর এক রাউন্ড মেরে যাইতেছি। আহা কীইইইইই অনন্দ, কিন্তুু আমি তো ওই বুড়ি রে বিয়া করমু না হা হা আইডিয়া চলে আইছে। আগে আরো পটাই নেই, আব্বারে ও চালাই যাইতে বলা লাগব। এই ভাবে অনেক দিন চইলা গেল। আব্বা এইভাবে কত দিন আজকেই এর একটা দফারফা করা লাগব। হুমমমমম চল। দুই বাপ পোলা আমরা তাগো সামনে দাঁড়াই আছি। হঠাৎ ঠাসসসসসস কার গালে, আউউউ আমার গালেই তো সাহরিয়া তোর লজ্জা নাই আমার মার সাথে ছি. আবার ঠাসসসসসস এইবার আব্বার গালে রাজ তোমার লজ্জা নাই আমার মেয়ের সাথে কী করছ এই গুলা ছি. আমি আর বাবা দাঁড়াই আছি গালে হাত দিয়া। সাহরিয়া বাবার সামনে তোমার লজ্জা করে না, (তিথি) আমার কিউট টারে কিছু বলবি না, বাপটার জন্যই হইছে। আমি বাবারে কইলাস বাবা দৌড় লাগাও নাইলে আরে প্যাদানি দিব। বলেই দুই জনে দৌড়। আমার আর বিয়া হইল না বাবা, তোর একাই নাকি আমার ও হইল না তো। বাবা চলো কয়দিন অন্য খানে টাই মারি, হুমমমমম সেটাই ভাল চল। ১৫ দিন পর আবার দৌড় দিতাছি এইবার গন্ডারের মতো লোকেরা ধাবরাইতিছে। বাবা কিতা করমু। জোরে দৌড় লাগা। আগের ওই খানেই ফিরা যাই চল। ওকে ডেডি আরো জোরে দৌড় লাগাও নাইলে তোমানে হেব্বি ধোলাই দিব। কী হইতিছে এই গুলা খালি দৌড় এর উপরেই রইছি। রাতে বাড়ি ফিরে আসলাম ফোন ও নিয়া যাই নাই দেখি তিথির মেলা গুলা ফোন। ডেডি তোমার ফোন দেখ তিতির মা ফোন দিছে, ওরে হ্যা তো অনেক ফোন দিছিল। আমি কী করমু ফোন দেই। হুমমমমম দে। না না বাবা এস এম এস দাও। I Am Back Now চলো ঘুমাই পড়ি কালকে সকালে দেখবা খেলা। সকালে কারো চরে চোখটা খুলে দেখলাম তিথি। আচ্ছা তিথি তোমার আম্মু গেছে। – ওই কই যাবে। – আরে আব্বুর কাছে। – হুমমমমম গেছে, – ওহহহহহহহহ, বিয়া তাইলে পাক্কা। কী আনন্দ বাপ পোলার এক লগে বিয়া হইব। – হুমমমমম মা মাইয়ার ও হইব, বলেই জরাই ধরছি, – হইছে ছার এবার বিয়া করবি না।( বাবা) অতপর বিয়া কমপ্লিট, দুই বউ দুই রুমে আছে। আমরা বাপ পোলা বাইরে আছি, আব্বাজান সালাম কইরা ফেলছি, আপনার মেরের কাছে গেলাম। – হারামজাদা। ডেডি কাল থেকে আমি আর তিথি ওদের বাড়ি থাকমু । তুমি এই হানে থাইক। কী এইডা হইল ডেডি। হুমমমমম। চলো একটা ডেন্স দিয়া বাসর ঘরে ঢুইকা পড়ি কী কও। হুমমমমম লাগা গান। ……..হ্যালো ব্রাদার্স…….. হাত লাগাকে তুনে মারা, ঘায়াল হুগায় দির বেচারা। ছুনা হে তেরে চাওনে আলে, আগে দশ হে পিছে বারা। মুচকো আপনা জান বানালে, চুমকা দে কিসমত কা তারা। একবার ছে দিল নেহি ভরর্তা, মুরগে দেখ মুঝে দু’বারা। টান টানা টান টানটান টারা, চালতি হে কেয়া নোছে বারা। বলেই দৌড়ড়ড়ড়ড় বাসঘরে।।।। বাঁকি সব হতিহাস। হু হা হা হা হা।
গল্পের বিষয়:
গল্প