তেলাপোঁকা এবং টিকটিকির ভালবাসা

তেলাপোঁকা এবং টিকটিকির ভালবাসা

এক দেশে ছিলো এক টিকটিকি আর এক তেলাপোঁকা। । টিকটিকিটি ছিল গরীব। বাড়ির দেয়ালে-দেয়ালে ঘুরে পোঁকামাকড় খুঁজে নিজের খাবার জোগার করে। ঠিক মত খাবার না পাওয়ায় সে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলল। অপরদিকে তেলাপোঁকা আবার বিরাট বড়লোক। দেখতেও রিষ্টপুষ্ট। খাবারের সন্ধানে তার বের হতে হয় না। এই বাড়ি ঐ বাড়ি ঘুরে বেড়ায়। । । একদিন তেলাপোঁকা ঘুরতে বের হয়ে টিকটিকি কে দেখলো। মরামরা অবস্থায় পরে আছে। ভীষন জ্বর। তাড়াতাড়ি করে তাকে খাবার দিলো। জ্বরের ঔষধ দিলো। তেলাপোঁকার আন্তরিক সেবায় খুব তাড়াতাড়ি টিকটিকি সুস্থ হয়ে উঠলো। ওদের… সম্পর্ক ভালো বন্ধুত্বে রুপান্তরিত হলো।  প্রতিদিন….. তেলাপোকা এসে টিকটিকির সাথে গল্প করে… তাকে খাবার খুঁজতে সাহায্য করে….. এভাবে অনেকদিন কেটে গেলো। । । একসময় তেলাপোঁকা বুঝতে পারলো যে,, ও.. টিকটিকির প্রেমে পরে গেছে। .. তখন সে গান গায়,,,,,,,,, “ও আমার টিকটিকি গো চির সাথী পথ চলার। তোমারই জন্য গড়েছি আমি মঞ্জিল ভালোবাসার। ” অন্যদিকে, টিকটিকিরও কিছু ভালো লাগেনা। সবসময় তেলাপোকাকে নিয়ে ভাবে। . আর গান গায়,,,, ” প্রেমে পরেছে মন প্রেমে পরেছে হ্যান্ডসাম এক তেলাপোকা, আমায় পাগল করেছে। . . সাহস করে একদিন তেলাপোকা টিকটিকি কে তার মনের কথা বলে দিলো। টিকটিকিও মুচকি হেসে রাজি হয়ে গেলো। শুরু হলো প্রেম কাহিনী।  (ব্যাকগ্রাউন্ডেডুয়েট গান আর এক সাথে নাচানাচি হবে ।) . . . সব প্রেম কাহিনীতে একজন ভিলেন থাকে। এদেরও আছে। সেই ভিলেন হলো….মশা! একদিন.. মশা রক্ত খেতে এসে ঘুমন্ত টিকটিকিকে দেখে তার প্রেমে পরে যায়। সে আর রক্ত না খেয়ে পলকহীন ভাবে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। । । টিকটিকি ঘুমালে তাকে পাহারা দেয়,, যেন অন্য মশা এসে তাকে কামড়াতে না পারে। হঠাৎ! একদিন মশা টিকটিকিকে বলে তাকে বিয়েকরবে। টিকটিকি রাজি না।  সে তেলাপোকাকে ভালোবাসে। এসব শুনে রেগে মশা তার দল-বল নিয়ে টিকটিকিকে তুলে নিয়ে গেলো তাদের আস্তানায়। টিকটিকি বলে, “ছেড়ে দে শয়তান, তুই আমার দেহ পাবি kinto মন পাবি না।”  মশা অট্টহাসি দিয়ে বলে, ” তোর মন দিয়ে কি আমি ফুচকা রান্না করে খাবো?! . ইতিমধ্যে নায়ক তেলাপোকা রকেটের বেগে উড়ে চলে এসেছে। শয়তান, তুই কি জানিস? টিকটিকি আমার জানের জান, কলিজা, ফুসফুস, গুরদা, কিডনি, লিভার, ফ্যাপসা। আমার টিকটিকির গায়ে একটা হুঁল বসালে, তোর হুঁল টেনে ছিঁড়ে আমি আগুনে পুড়াবো। . . . . এতো সহজে তোর টিকটিকিকে তুই পাবি না। . ঐ কে কই আছিস হুঁল বসিয়ে তেলাপোকার শরীরের সব রক্ত খেয়ে ফেল। . . বাকি মশারা তাদের হুঁল নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলো। সবাই একসাথে তেলাপোকার দিকে ছুটে আসলো। . . শুরু হয়ে গেলো ঢিসুম ,,,,, ঢুসুমমম,,,, . নায়ক একাই একশো। কোনো সিনেমায় দেখছেন কি নায়ককে মরতে? so এখানেও মরবে নাহ। . একাই সবাইরে খতম করবে। মারামারির শেষ পর্যায়ে পুলিশ ফড়িং চলে আসলো। তার চিরচেনা সেই ডায়ালগ নিয়ে,,, . . ” হ্যান্ডসআপ।।। আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। . পুলিশ তার দলবল নিয়ে আধ-মরা মশা গুলাকে তুলে নিয়ে গেলো। . . অতঃপর,,,,,, তেলাপোকা আর টিকটিকি সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো তেলাপুকা আর টিকটিকি ভালবাসার এখানেই সমাপ্তি।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত