থাপ্পড়নী বউ

থাপ্পড়নী বউ

– বৃষ্টি হচ্ছিলো আর আমি তখন ছাঁদে দাড়াই ছিলাম, এমন সময় কী আর কমু ভাই
সেই বেগে হিসি চাঁপছিলো…
মনে মনে ভাবলাম বৃষ্টিই তো হচ্ছে ছাঁদের উপর থেকে নিছে যদি হিসি করি তাইলে কী আর হবে,
বৃষ্টির পানিতে সব ধুয়ে যাবে।

যেই ভাবা সেই কাজ.. প্যান্টের চেনইটা খপ করে খুললাম আর আহা কী শান্তি…
এক বারের জন্য ভুলে ও নিচে তাঁকাই নাই,
সব শেষে যখন নিচে তাঁকালাম আমার সব ইজ্জত গেলোরে ভাই।
নিচে কয়টা মেয়ে ঠান্ডা বৃষ্টির পানিতে ভিঁজতেছিলো আর আমি উপর থেকে হালকা গরম পানি ছাড়াই সব গুলো মনে হয়
উপরে তাঁকাই ছিলো, আর এর মধ্যে আমার কাজ ও কমপ্লিট … যাই হোক বেঁচে তো গেছি….
ওদের মধ্যে সেই একটা মেয়ে ছিলো সে তো আরো রেগে ছিলো।
যে আকাম করছি বাড়িতে বলবে না,
যাই হোক এসে তো আর বলতে পারবে না যে আপনার ছেলে আমার মেয়ের মাথাই হিসি করে দিছে হু হা হা হা…..

একদিন বিকেলে কলা খাচ্ছি আর রাস্তা দিয়ে আসছি…
সব কলার জামা কাপড় গুলো পিছনে ফেলে দিচ্ছি….।
এমন সময় কে জানি গেঞ্জি ধরে সাইটে নিয়ে গিয়েই দিলো এক থাপ্পড়।
ওমা এতো ওই সেই দিনের মেয়েটা যার উপরে হিসি করছি।

– ওই মারলেন কেন।
এটা বলা মাত্রই আবার একটা থাপ্পড়।
– খালি থাপ্পড় না তোরে মাইরে ফেলানো উচিত।
– কেন আমি কিতা করছি।
– ওমা কী করছো জানো না চান্দু হুমমমম… আরো একটা কানের নিচে দেই।
সেদিন কত শখ করে বৃষ্টিতে ভিঁজতে বের হলাম এই তুই শয়তান পোলার জন্য সব শেষ… বাসার গিয়ে পুরো একটা সাবান শেষ হয়ে গেছে গায়ে মেখে…. ইচ্ছে করছে একদম খেয়ে ফেলি….।

– এই জন্য একটা চোখ কান খোলা রাখা ভালো… আমি কী জানি যে আপনারা নিচে ছিলেন…
আচ্ছা সেদিন না হয় ভুলে হয়ে গেছে কিন্তুু আজকে কী করছি।
– ওই কী করছিস মানে… কলা খেয়ে খেয়ে যে পিছনে ফেলছিস, একবার দেখছিস কী কার গায়ে পড়ছে…।
– আচ্ছা সব ঠিক আছে, এর জন্য তো থাপড়ানি ও দিছেন, কিন্তুু তুই বলা লাগবে ক্যান।
– ওলা বাবা…. কোন ক্লাসে পড়া হয়।
– আমি তো এবার বারো তে।
– দেখেই বুচ্ছি…. আমি অনার্স প্রথম বর্ষ।
– ওকে আপু যাই তাহলে….।
– এর পড়ে যদি আমার সাথে কোন ধরনের কেলাংকারী করছিস, সেই দিন তোরে আমি………….. বাই।

– কী মেয়ে রে ভাই বলা নাই কওয়া নাই ফটাস ফটাস করে চর দিয়ে চলে গেলো।
ওহহহহহহহহহ কী ব্যাথা, সুন্দর হলে কী হবে হাত যেমন শক্ত কথা গুলো তেমন তিতা।

কলেজের কান্টিনে বসে খাচ্ছি…
– ঐ মামা গ্লাস এর পানিতে এই গুলা কী?
– মামা ওই পানি ফেলে দিয়ে ভালো নিয়া খান।
– যেই না পানি গুলা ফেলে দিছি,
এমন সময় ওই আপুর এন্ট্রি সব পানি তার গায়ে পড়লো।
দেখলাম রাগী লুক নিয়া আমার দিকেই আসছে…..।
হে আল্লাহ্ আমার সাথেই ক্যান এমন হয়…..।

– ঐ ওঠ….।
– আপু বিশ্বাস করেন আমি দেখতে পাই নাই,
আমি কিছু করলে এর মধ্যে আপনিই যে ক্যান ঢুকে পড়েন।
এখানে না অনেক পোলাপান আছে থাপড়ানি দিতে হইলে ওই যে ঐ আড়ালে চলেন প্লিজ।

– ওকে চল।
– গালটা এগিয়ে দিলাম,
নেন এবার ঠিক আছেন…
ওমনি ফটাসসসসসসস করে একটা থাপড়ানি দিলো।
– ঐ নাম কী তোর।
– সাহরিয়া ।
– বাসা কই….।
– ওই যে ভুলে গেছেন, যাঁর উপর থেকে হিসি করছিলাম ওইটাই হিহি।
এমন সময় আবার ঠাসসসস।
– হুমমমমম এমন চুপ করে থাকবি।
– ওকে।
– আমার গাঁ টা যে ভিঁজে দিলি এখন কী হবে।
– আচ্ছা আমি মুছে দিচ্ছি ।
– এটা কী?
– হাত।
– কী করা হয় এটা দিয়ে।
– বুঝতে পাড়ছি ।
– গেঞ্জি খোল।
– কেনো…… আপু দেখেন আপনার তো এই একটুই পানি পড়ছে, আপনি চাইলে আমারে পুকুরে চুবান তাও আমি গেঞ্জি খুলমু না।
– হুমমমমমমম এবার আমার সাথে চল….।
– কই।
– আমাকে বাসাই দিয়ে আসবি।
– বাসাই নিয়ে গিয়ে আমার মারবেন নাতো।
– হা হা আরে না না ….।
– আপু একটা কথা বলবো।
– হুমমমমমমম।
– তোমার নাম কী?
– নীলা।
– হেব্বি নাম তো।
– যা ভাগ, না হইলে আবার একটা দিবো কিন্তুু।।
– ওকে…..
সেদিনের মতো বেঁচে গেছিলাম….
ওহহহহহ কী মেয়ে দেখতে যেমন,আবার ভয় ও লাগে তেমন।

– মা আজকে এতো রান্না করছো মানে… কোন স্পেশাল কেউ আসবে নাকি।
– হুমমমমম… আমার বান্ধবী আর তো হবু বউ….।
– বউযের কথা শুনেই মনডা খুঁশিতে ভরে গেলো… আহা আজকে আমার বউরে দেখমু কী মজা।
– এতো লাফানো লাগবে না, ও অনেক রাগি।
– নাম কী মা…. বলোনা।
– আসলেই দেখতে পাবি, এখন এই পানি গুলো বাহিরে ফেলে দিয়ে আয়।
– ওকে…..
যেই না জানালা দিয়ে পানি নিচে ফেলছি… দেখি সব পানি নীলার মাথার উপরে।
আমি তো হা করে আছি, দেখি নীলা ও হেব্বি রেগে আছে।
দৌড়ে ভেঁতরে আসলাম,
মাকে কিছুই বলি নাই….
দূর ওই সব চিন্তা বাদ, আজকে আমার বউরে দেখমু কী মজা।

একটু পড়েই কলিংবেল বেঁজে উঠলো…
– সাহরিয়া যা দরজাটা খুঁলে দিয়ে আয়।
– কেমন জানি ভয় লাগছিলো…
আমি পারমু না তুমি যাও…
মা দরোজার কাছে যাচ্ছিলো আমি তাঁর পিছনে ছিলাম ….

দরোজা খুলেই….
– নীলা এমন ভিঁজে গেলি কেমনে।
– আর বলো না এই বাসাতে একটা শয়তার থাকে… সেই প্রথম দিন থেকে জ্বালিয়ে মারতেছে।
আজকে ওরে পেলে না….।
– আমার তো অবস্থা শেষ এই দিকে.. আমি মার পিছনে লুকাই ছিলাম… এটাই তা হলে আমার বউ।
– এই বাসাতে তো তেমন কেউ থাকে না আমরা ছাড়া।
আর একটাই ছেলে আছে সাহরিয়া,
– ওই শয়তানটাই তো।
– কীইইইইই….
বের হয়ে আয় বলছি শয়তান, আর কী কী করছিস বল।
– মা আমার না কোন দোষ নাই
আমি তো ইচ্ছে করে কিছুই করি নাই আমি কিছু করলেই একটা কেলেংকারী হয়ে যায়….।
– গাঁ তো একেবারে ভিঁজে গেছে…
আর কোন ড্রেস ও তো নাই…
সাহরিয়া তোর একটা গেঞ্জি নীলাকে দে…।
– ওকে…. এই দিকে তো নীলা আমার উপরে হেবি রেগে আছে জানিনা কী করবে… বিয়ে তো হবে না সেটা আমি সিওর।

– আন্টি আমি সাহরিয়া কে নিয়ে একটু ছাঁদে গেলাম।
– ঠিক আছে যা।
– কেমন হাত ধরে টেনেই নিয়ে গেলো।
– ওহহহহহহ বুচ্ছি থাপ্পড় দিবা তাই না… ওকে দাও…
তাও বইলো না যে বিয়ে করবা না, তাহলে আমি এই ছাঁদ থেকে লাফ দিয়া মরে যামু… এমন বউ আর একটা ও পামু নাতো আর।
– ওই এক মিনিট তোরে কে বিয়ে করবে হুমমমম।
– মা যে বললো।
– হুমমমম, বলছিলো তবে একটু ভদ্র হলে করতাম, তবে তুই যে হারে শয়তান, বিয়ে করার তো প্রশ্নই আসে না এখনি বলে দিবো যে বিয়ে করবো না।
– হুমমমমম যাও বলো গিয়ে, আমি তো খারাপ… আমি কী সব ইচ্ছে করে করছি হুমমমমমম…
তোমারে তো প্রথম দেখেই ভালো লাগছিলো , এখন না করলে কী আর করবো, আমি তো মরেই যাবো।
– বাহ্ বা এত রাগ।
– হুমমমমমমমমম।
– আমি তো তোমাকেই বিয়ে করবো গাধা …
আন্টি আগেই বলছিলো তুমি অনেক দুষ্টু তাই তো প্লান করে তোমাকে বোকা বানাইছি এতদিন।
– তার মানে এতদিন ফাও ফাও থাপড়ানি দিছো।
– হুমমমমমমমমম… হি হি হি।
– তাই না…. বলেই জরিয়ে ধরলাম….
একটু পড়ে আবার একটা থাপড়ানি দিলো।
– মারলে কেনো…।
– বিয়ের আগে জরাই ধরলা কেনো।
– তাই বলে মারবা… ।
– হুমমমমম… এখন থেকে
দুষ্টুমি করবা তো সব সময় থাপ্পড় খাবা।
– কী থাপ্পড়নির হাতে পড়লাম রে ভাই ।
– ঐ কী বললা….।
– না মানে থাপ্পড় না দিলে একটা কথা বলতাম।
– ওকে বলো।
– এতো তো থাপ্পড় দিলা, একটা কী পাপ্পি হবে।
– হুমমমমম সেটা হতে পারে কিন্তুু একটা।।।।
– ওটাই যথেষ্ট পাগলি হি হি হি।।।।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত