– আকাশের দিকে হা করে তাঁকাই যাইতেছি।
ওমনি খেঁজুর গাছের মতো লম্বা একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খেলাম।
প্রথমে অবস্য খেঁজুর গাছ মনে করছিলাম পরে দেখি ওমা এতো খেঁজুর গাছ নেহি খেঁজুরি গাছ।
পোলা হইলে খেঁজুর গাছ হইত যেহেতু এইডা ছেরি সেই ক্ষেত্রে খেঁজুরি।
– ঐ চোখ কোন দিকে দিয়ে হাঁটেন হুমমমম (মেয়ে) ।
– ওরে বাপরে বাপ, হে আল্লাহ এখান কার মাটি ফাঁক করে দাও আমি হের মধ্যে হান্দাই যাই।
নেহাত লেডিস না হলে দিতাম।
– ঐ কীইইইই দিতেন হুমমমম, চিৎকার দিয়ে যখন মানুষ ডাকব না তখন দেখবেন কেমন মজা লাগে।
– এহহহহহহহ চোরের মায়ের বড় গলা, আমি না হয় আকাশ দেখতে দেখতে যাচ্ছি।
আপনি কীইইইই চক্ষু দুইটা বাড়ির ছাঁদে খুঁলে রেখে আসছেন হুমমমম।
– ঐ আপনার সাহস তো কম না।
– সাহস কই দেখলেন হুমমমম।
– নেহাত আমি ভাল ছেলে তাই
এখন ও এখানে দাঁড়াই আছেন, তা না হলে।
– ঐ তা না হলে কী শুনি।
– কীইইইই আবার যেমন
জোরে ধাক্কা দিছেন কোন গাঁঞ্জা খোর হইলে এতক্ষনে হাঁসপাতাল নিয়ে যাইতে হইত।
একবার ভাবেন কত টাকা আপনার বাঁইচা দিলাম।
আর আপনি এমন শিশুর মতো একটা বাচ্চাটাকে পেয়ে তখন থেকে বকা দিয়েই যাচ্ছেন।
– এহহহহহহহহ শিশু না ছাঁই ।
– এহহহহহহহ আপনি কীইইইই
হুমমমম খেঁজুরি গাছ একটা হি হি হি।
বলেই ওখান থেকে সোজা বাসাই চলে আসছি।
খেঁজুরি গাছ বলার সময় মেয়েটা যেমন রেগেছিল একদম দেখার মতো।
কেমন দুইটা নাদুসনুদুস গাল লাল হয়ে আছে।
আমি ওখানে থাকলে সোজা ওর হাতে থাকা ব্যাগটা দিয়ে বাড়ি দিত।
বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে সোজা একটা ঘুম দিলাম।
বিকেলে ঘুম থেকে উঠে ছাঁদে গেলাম।
গিয়ে দেখি একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ও হ্যা বুচ্ছি নিশ্চয় ওটা সামিয়া আপু, নিলয় ভাইয়ের সাথে ঝগড়া হয়ে এখানে এসে দাঁড়িয়ে আছে।
বাহ্ ভাবতে না ভাবতেই বেয়াদবি বুদ্ধি হাজির।
যেই ভাবা সেই কাজ পিছনে গিয়ে জোরে।
হু হু হু হু হা হা হা হা হা হা
বলে চমকে তুললাম।
– হায় হায় পিছন ফিরতেই দেখি এটা তো সামিয়া আপু না,
এটা তো ঐ মেয়েটা যার সাথে আজকে দুপুরে ধাক্কা লাগছিলাম।
– ঐ আপনার সমস্যা কীইইইই হুমমম যেখানে সেখানে বাঁদরামি।
– যাক বাবা বাঁদরামি আবার কই করলাম,
আমি ভাবছি আপনি সামিয়া আপু।
– বাহ্ বেশ মিথ্যা ও বলেন তো।
– ঐ হ্যালো আমার বাপ দাদার চৌদ্দ গুষ্ঠি কোনদিন মিথ্যা বলে নাই বুঝলেন।
আর হ্যা…. না… কিছু না থাকেন আপনি।
দূর এই মেয়ে এখানে কই থেকে আসল, এটা তো জানা হলো না।
– এই যে খেঁজুর গাছ, হি হি…
না মানে আপনার নাম কীইইইই শুনি।
– রিয়া !!
– এমন ভাবে আছে মনে হয় একটা বাঘিনী এই খেয়ে ফেলবে ।
ওহহহ বাহ্ বেশ ভালো নাম তো আমি সাহরিয়া আর আপনি খালি রিয়া।
তো এখানে কার বসাই আসছেন।
– আপনাকে বলা লাগবে কেন।
– আচ্ছা আপনি একটু ভালো করে কথা বলতে পারেন না হুমমমম,
দেখলেই কেমন ভয় করে।
– হা হা আপনি ও ভয় করেন বাহ্
ভালতো।
– যাই হোক ঐ খানে গিয়ে একটু দাঁড়াই।
– হুমমমম, একটা আবার বলতে হবে কেন।
– না মানে যদি চর থাপ্পড় দেন তাই আগে থেকে সতর্ক হওয়া ভাল।
– ঐ কীইইইই বললেন।
– হি হি কিছু না ।
নিচের দিকে তাঁকাই আছি হঠাৎ পিছন থেকে কে যানি কান ধরল।
আরে আরে আবার কীইইইই করলাম কান ধরলেন কেন।
– ঐ শয়তান তুই সবাইরে কীইইইই বলছিস হুমমমম (সামিয়া আপু)।
– যাক বাবা কারে আবার কী বলছি হুমমমম।
– আব্বু আম্মু আমাকে কী বলছে জানিস।
– আসলে সরি আপু আমি বুঝিনাই, আমি সবাইরে বুঝিয়ে বলব যে আমি সব ফ্যাজলেমি করছি।
– আরে গাধা সবাই রাজি,
নিলয় আব্বুর বন্ধুর ছেলে।
– বাহ্ জিবনের প্রথম কোন ফ্যাজলেমি এমন ভাল রূপ নিছে, তো তোমাদের এত্ত বড় উপকার
করলাম হাদিয়া কিছু দিবা না।
– ওকে বল কীইইইই নিবি।
– তেমন কিছু না ঐ যে মেয়েটা আছে ওর মাথার কাকড়াটা এনে দাও হি হি।
– আরে রিয়া তুই এখানে, এই শয়তানটা অনেক জ্বালাইছে তাই না।
– আরে আপু তুমি ওনাকে চেন।
– আরে গাধা ওটা আমার কাজিন।
– আরে বাহ, তাহলে আমার সাথেই পড়ে নিশ্চয়।
– হুমমমম।
– তাহলে তো তুমি করে বললে কিছুই হবে না তাই না রিয়া।
– ঐ আপনাকে তো আমি।
– আপু দেখ না আমার মতো একটা বাচ্চাটাকে কেমন ধমক দিচ্ছে।
আমার ঐ কাকড়া চাই চাই।
– হুমমমম কাকড়া চাইতো এই নেন ধরেন কাকড়া।
– বলে রিয়া তার কাকড়া টা আমার হাতে দিয়ে চলে গেল।
– আচ্ছা আপু ও এমন কেন।
– সাহরিয়া ওর সম্পর্কে না জেনে কেন এমন করছিস,
রিয়াকে একটা ছেলে খুব ডিস্টার্ব করত,
একদিন রাতে বাড়িতে আসার সময় ঐ ছেলে তার উপড়ে আক্রমন করে,
সে দৌড়ে বাসাই চলে আসছিল,
তারপরে থেকে ও ছেলে দের থেকে দূরে দূরে থাকে।
তাই আব্বু ওকে আমাদের এখানে নিয়ে আসে, আমার কলেজে ভর্তি করে দেয়।
– ঠিকআছে আপু আমি গেলাম, বলে কাকড়াটা নিয়ে চলে আসলাম।
নিজের রুমে শুয়ে আছি, দূর কেন যে খালি খালি ওমন করলাম আসলেই ঠিক হয় নাই ।
আমার প্রতিদিনের অভ্যাস রাতে তাঁরা গোনা।
কাকড়াটা নিয়ে ছাঁদে চলে গেলাম।
গিয়ে দেখি রিয়া দাঁড়িয়ে আছে।
– রিয়া আসলে আমার ভুল হয়ে গেছে,
তুমি চাইলেই আমাকে খারাপ ভাবতে পারো এতে আমার কিছু করার নেই।
কিন্তুু বিশ্বাস করো আমি ওমন খারাপ ছেলে না, মুখেই শুধু একটু বদমাইস এই যা,
আর এই তোমার কাকড়া, আর তুমি বলার জন্য সরি।
এক নিশ্বাসে এই সব বলে চলে আসলাস,
কারণ আমি থাকলে হয়তো সে ডিস্টার্ব মনে করবে,
আর আমি চাই না যে কেউ আমার জন্য ডিস্টার্ব হোক।
এভাবে কয়েক দিন কেটে গেল,আসতে যেতে ওর সাথে
দেখা হলে ও কিছু বলতাম না।
একটু তাঁকিয়ে মাথা নিচু করে চলে যেতাম,
ও অবস্য আমাকে চেয়ে দেখত।
আমার ও দেখতে মন চাইতো কিন্তুু যদি ডিস্টার্ব মনে করে তাই দেখতাম না।
এমন একদিন কলেজে যাচ্ছি ।
গেট এ রিয়া দাঁড়িয়ে ছিল, মনে হয় কলেজে যাবে।
কিছু না বলে চলে আসছিলাম।
হঠাৎ ।
– সাহরিয়া আমি কীইইইই তোমার সাথে যেতে পারি।
– মাথা নেরে উত্তর দিলাম।
এখন আমরা এক সাথে হাঁটছি, আমি কোন কথা বলছি না ।
– সামিয়া আপুর কাছে শুনেছি তুমি নাকি অনেক দু্ষ্টু, তবে আমাকে দেখলে মাথা নিচু করে যাও কেন।
– না মানে তুমি যদি ডিস্টার্ব মনে করো তাই।
– বেশ পন্ডিত হয়ে গেছ তো, সব আগে থেকেই জানো।
– ডিস্টার্ব মনে করবে না তো।
– আরে বোকা না।
– হি হি আমি জানতাম তুমি ডিস্টার্ব মনে করবে না,
তবু কেন জানি ভয় হতো জানো।
তোমার আবার যে রাগ যদি চর দিয়ে বসো তাই,
– তুমি না সত্যি একটা বেয়াদব,
এতক্ষন খুব ভদ্র ছিলে, যেই কথা বলতে বলছি সেই বাঁদরামি শুরু।
– হি হি হি রিয়া তুমি না অনেক সুইট হুমমমম,
আমার মনে হয় তোমাকে আমার জন্যই তৈরি করা হয়েছে, নামের ও কত মিল দেখছ।
– চুপ বেয়াদব।
– হবা আমার বউ বলোনা বলোনা, তোমাকে অনেক গুলো কাকড়া কিনে দিব, আর
হ্যা সাথে লিপস্টিক নিয়ে দিব,
না লিপস্টিক না নেইল পলিশ নিয়ে দিব, বলনা হবা আমার বউ।
– আরে গাধা তো ওড়নাটা তো এবার মুখ থেকে বের করো।
– এবার তো হ্যা বলো,
আচ্ছা প্রতিদিন রাতে আইসক্রিম, চকলেট, খেতে নিয়ে যাব এবার হ্যা বলো না।
– কেমন আমার দিকে হা করে তাঁকিয়ে আছে।
হুমমমম আমার বউ হবা না তো আমি জানি, আচ্ছা আমি গেলাম।
– আরে গাধা তোমারই তো বউ হবো।
– সত্যি তো।
– হুমমমম সত্যি।
– তাহলে হাতটা ধরি।
– না ধরবা না।
– ধরি না একটু প্লিজ।
– ওকে ধরো।
– তোমার হাত না অনেক নরম
হি হি হি হুমমমম ।।।।।।।