আজ এইচএসসি পরিক্ষা। মনে অজানা ভয়।যতই পড়ি ভয় যেন লাগামহীন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দোয়া করছি সাথে যেন একটা ব্রিলিয়েন্ট সুন্দরি মেয়ে পরে।তাহলেই হয়।যাহোক আটঘাট মেরে বাবুর মতো পরিক্ষা দিতে গেলাম।
সত্যিই সত্যিই একটা সুন্দরি মেয়ের সিট পরলো।
নিজ থেকে যেচে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছি।
—হ্যালো,,,
— একটু তাকালো আমার দিকে কিন্তু কথা ফুটলো না
—হ্যালো. ..
— এবার তাকালোই না।
ভাব দেখে আমার গা জ্বলছে।আর নিজের প্রেস্টিজ নষ্ট করতে চাই না।
পরিক্ষা শুরু হয়ে গেল।
আর তাকালাম না তার দিকে।সে হয়ত তাকাই নি।
নিজেকে সীমার মধ্যে বেধে দিলাম।
বাংলা, ইংরেজি, ত: প্র: পরিক্ষা দিন তিনি খুব ভালো পরিক্ষা দিচ্চেন।আমি একটা সুযোগ খুচ্ছিলাম ভাবটা ফেরত দেবার।
,
অবশেষে পদার্থ পরিক্ষার দিন পেলাম।
দেখছি উনার কোন কিছু কমন পড়ে নি,কলমের মাথা মুখে দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আমার তো সবই প্রায় কমন ,,,, বিন্দাসে লিখছি. ..
কিছুক্ষণ পর টের পেলাম কলমের গুতা,,,,
বুঝতে পারছি সেই মেয়েটি কিন্ত তাকাচ্ছিলাম না ইচ্ছে করেই।
একটুপর আবার,,,,
— আমাকে বলছেন(আমি)
— হুম,,একটু দেখাবেন প্লিজ,,,আমার কিছুই কমন পড়ে নি।
আমার তখন লুঙ্গি ড্যান্স দিতে ইচ্ছে করছিল।
— হুম,কিন্তু প্রতি ৫ নাম্বার দেখানোর জন্য আপনাকে ১০০টাকা করে দিতে হবে।
মেয়ের চোখ কপালে….
— কি বললেন?
— হুম, না হলে আমি দুঃখিত।
— আচ্ছা, ঠিক আছে।
আমি একহাতে টাকা নিই আর দেখাই।
পকেটভর্তি ৫০ টাকা নোট,২০টাকা নোট।
পরিক্ষা শেষ করে বাইরে বন্ধুদের সাথে কথা বলছি।
মেয়েটাকে আসতে দেখে কাছে গেলাম।আর টাকাগুলা হাতে দিয়ে বললাম
” মানুষকে মানুষ ভাববেন প্লিজ,সবাই প্রেম করার জন্য কথা বলতে চায় না,মূল্যায়ন করতে শিখেন, ভালো থাকবেন”
গল্পের বিষয়:
গল্প