– দাঁড়াই দাঁড়াই রাস্তার ওপার একবার যাচ্ছি…
আবার এপার একবার আসছি..
না মানে আমি পাগল না তবে একটা পাগলী মেয়ের জন্য অপেক্ষা করছি…।
না না আমার গার্লফ্রেন্ড এখন ও হয় নাই তবে বহু বার প্রপোজ করছি….।
না ঝুলাই রাখে আবার না ফ্যালাই দেই।
মহারাণীর একটাই কথা তাঁর একটা শর্ত পূরণ করতে পারলেই
বউ হতে তাঁর কোন অপত্তি নেই।
এখন আপনারা নিশ্চয় ভাবছেন,
যে আমি কেমন প্রেমিক যে তাঁর কোন শর্ত পূরণ করতে পারি না।
আরে ভাই ওর শর্ত গুলো এতই আজব যে আমি জীবনে ও করতে পারমু না।
তবে আপনারা করলে করতে পারেন, আপনাদের তো আবার মেলা সাহস।
ও হ্যা তাঁর শর্তে ফিরে আসি।
– প্রথমবার যখন প্রপোজ করলাম।
কী বললো জানেন…
ও বললো কী না তুমি তোমার হাত কেঁটে আমার নাম লিখতে পারবা,
তাহলে আমি রাজি।
বাসাই এসে বহু চেষ্টা করে ও সেই কাজ আমার দ্বারা হয় নাই আর হবে ও না আমি জানি।
আবার দ্বিতীয় বার যখন করলাম তখন আমার বন্যা হয়ে ছিলো…
সে বলে কী না নদীর উপরের ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে যদি ওই গাছটার ওখানে ওঠতে পারো তা হলে সে রাজি।
আমি এমনি নদীর স্রোতে লাফ দিতে ভয় করি আবার এমন ভরা পানিতে পাগল নাকি।
তবু তাঁকে নিয়ে গিয়ে অনেক ট্রাই করলাম লাফ দেওয়ার বাট আমার দ্বারা হবে না…
আমি জানি এমন কিউট একটা মেয়ে আপনাদের মধ্যে কাউকে বললে সাথে সাথে লাফ দিবেন…।
আবার যখন প্রপোজ করলাম…
তখন ছিলো ঠান্ডার সময়…
ও বলে কী না… পুকুরের পানিতে ১০ মিনিট থাকতে পারলেই সে রাজি….
এমনি আমি ঠান্ডার ভয়ে তিন চারদিন গোসল করি না আর আমি কী না এমন ঠান্ডার মধ্যে আবার পুকুরের ঠান্ডা পানিতে
১০ মিনিট থাকবো….ভাবেন একবার কেমন পাগলি মেয়ে, এই মেয়ে ভালতো বাসবেই না উল্টো আমারে মাইরা ফেলবে।
কী যে করি যখন যাই তখনই একটা কিছুর সময় থাকে…
তাই ভাবলাম আমের সময় যাবো,
আম চুরি করে আনতে বললে, সেটা আমার কোন ব্যাপার না।
আর এখন ঠান্ডা,বন্যা কিছুর সময় না,
তাও ভয়ে আছি কী যে বলে আল্লাহ্ যানে ।
ওই তো নীলা পাগলি আসতেছে।
– বাহ্ আজকে ও এসেছো।
– হুমমমমমমম হি হি।
– চুপপপপপ…. তুই একমাত্র ছেলে যে যাকে ভালোবাসো তাঁর একটা শর্ত ও পূরণ করতে পারো না।
– আরে বাবা তুমি যেই গুলা শর্ত দাও না…. ওই সব করতে গেলে এতদিনে আমি পটল তুলতাম।
একটু সহজ রিক্স ছাড়া কিছু তো দিবা নাকি… সেই দুই বছর ধরে ঘুরতেছি তোমার পিছনে….
আমাদের পাশের বাসার পিন্টু আমার তিন মাস পরে থেকে একটা মেয়ের পিছনে ঘুরলো,
প্রেম করলো বিয়ে হলো আবার বাচ্চা হবে।
আর হায় আমার কপাল, এই শর্ত পূরণ করতে না পারলে আর জীবনে তোমার সামনে আসমু না।
একটা সহজ কিছু দিও কেমন প্লিজ।
– আচ্ছা ঠিক আছে..
আমাদের পাসের বাসার আন্টি অনেক ভালো আমের আঁচাড় করে যদি তুমি আঁচাড় আনতে পারো তা হলে…………….।
– তাহলে কী?
– আগে আনো তাঁরপরেই বলবো।
– আচ্ছা এটা আর কী ব্যাপার।
– হুমমমমমম দেখবনি।
আমি গেলাম……।
এখন ভাবছি এবার একটা সহজ কাজ দিলো তাও ঝামেলা মার্কা ।
ঐ বাসার ওটা তো মহিলা না যে
সদ্য রিনা খান ….।
এমনি আঁচাড় চাইতে গেলে আমারে ঝাড়ু দিয়ে মেরে তক্তা বানাবে সিওর।
শত প্লান করে ও আঁচাড় আনতে বার্থ হয়ে গেলাম… ছাঁদ তো দূরের কথা ঢুকতেই পাড়ছি না।
তবে হাঁরার ছেলে আমি না হুমমম।
বাজার থেকে আমের আঁচাড় কিনে, পরেরদিন নীলার সামনে হাজির।
– এই যে দেখো নিয়ে চলে আসছি হুমমমমম।
– তাই নাকি দেখি।
– ধরো।
একটু খেয়ে বললো, সত্যি করে বলো কই থেকে নিয়ে আসছো।
– আরে সত্যি… আমি বিকেলে চুপি চুপি গেলাম… তারপরে ছাঁদ থেকে আঁচার নিলাম আর দৌঁড় দিয়ে চলে
আসলাস… আর তাঁর পরে তো দেখতেই পাচ্ছ।
– ওকে দাঁড়াও …..।
হ্যালো আন্টি.. কালকে কী তোমার আঁচাড়ের গামলা থেকে আঁচাড় চুরি হয়েছে।
– কই মনে হচ্ছে নাতো।
– ওকে রাখলাম।
– কেমন মেয়ে ভাবেন একবার।
– ঐ কী বললা।
– না না কিছু না এমনি, কত সুন্দর হাওয়া বইছে দেখছো… এটাই বলার মখ্যুম সময়ে বলো না আই লাও ইউ।
– ঐ তুমি আঁচাড় চুরি করেছো ঠিক আছে, তবে ওনি কেনো বলছেন যে চুরি হয় নাই।
– ঐ আমারে কী তোমার মাথা মোটা মনে হয় হুমমমমমম… আমি এমন ভাবে নিছি, ওনি কেনো কেউ জানতেই পারবে না বুঝলে।
এবার তো বলো……..।
হঠাৎ……
– সাহরিয়া ভাইয়া কালকে যে দোকান থেকে আঁচাড় নিলে,
কী করবা…. (এলাকার ছোট ভাই)।
– হায় হায় আমি শেষ, যা একটু আসা ছিলো তাও গেলো…।
– কী আমাকে মিথ্যা বলা হুমমমম।
– নীলা একটু বুঝো প্লিজ।
– চুপ একটা কথা বলা না।
– আর একটা সুযোগ দাও প্লিজ।
– ঠিক আছে আঁচাড়ের সাথে একটা সেলফি তুলে নিয়ে আসবে কেমন।
– আচ্ছা ওকে….।
এবার মনে হয় ঠিক ভাবে ফেঁসে গেছি।
সজিব কে সাথে নিয়ে বিকেলে গেলাম আঁচাড় চুরি করতে….
– ভাই যদি ধরা খাই।
– দূর সালা আঁচাড় এর জন্য আর কেউ জেলে দিবে না, আর তুই নিচে থাকবি তো।
– ঠিক আছে যা।
– শোন একদম ছাঁদের নিচেই থাকবি, আমি না আনতে পারলে নিচে ফালাই দিমু তুই নিয়ে দৌঁড় দিবি কেমন।
– ঠিক আছে যা।
যেই ভাবা সেই কাজ।
চুপি চুপি উপরে গেলাম…
আঁচাড় নিয়ে ছাঁদের ধারে এসে যেই ছবি টা তুলবো ওমনি,
কেউ উচ্চসরে বলে উঠলো কেরে ওখানে….
আর হঠাৎ ভয়ে ধপ করে নিচে পড়ে গেলাম………..
সোজা হাঁসপাতালের বেডে।
এদিন ওদিক সব খানে জানাজানি হয়ে গেছে যে সাহরিয়া আঁচাড় নিতে গিয়ে ছাঁদ থেকে পড়ে গেছে ।
দেখলাম নীলা কাঁদতে কাঁদতে বেঁডের কাছে আসলো…. ।
– আচ্ছা তুমি কী পাগল হুমমমম, যেটা করতে বলবো তাই করা,
বুঝোনা আমি তোমাকে ভালোবাসি পাগল।
– সেটা তো আগে বললেই হতো।
– ঐতুমি না ছাঁদ থেকে পড়ে গেছো।।
– হুমমমম… তাহলে ওখানে কেমনে
দাঁড়াই আছো, তোমার কিছু হয়নাই।
– আসলে… পড়ছিলাম ঠিকি বাট সজিবের উপরে পড়ছিলাম, যেখানে আমার শুয়ে থাকার
কথা সেখানে ও শুয়ে আছে হি হি।
– তুমি না একটা শয়তান, যদি কিছু হয়ে যেতো।
– ঐ ডাইলগ বন্ধ করো এটা আরো আগে বুঝা লাগতো… তোমার মাথাই তো কোন ভালো বুদ্ধি আসে না আঁচাড় পাগলি।
– আমি আঁচাড় পাগলি তাই না দাঁড়াও।
– আরে আরে কী করছো লাগছে তো।
– লাগুক।
– তাহলে কিন্তুু আঁচাড় দিবো না হুমম।
– ঐ আঁচাড় কই ।
– টাং টারাং… এই তোমার আঁচাড় আর এই দেখো পিক পড়ে যাওয়ার সময় তুলছি।
– হা হা হা হা…. ওই তুমিই তো সব খাচ্ছ আমি খাবো কী।
– তুমি পাপ্পি খাও… হি হি।
আহা কী টেষ্টি আমারে আঁচাড়.. আমি কিন্তুু সত্যি সত্যি খাইতেছি খাবেন নাকি কেউ হুমম মমমম।।