অনেক দিন অাগের কথা।সাগরের তলদেশে প্রবালের রাজপ্রসাদ। সেখানে থাকতো সাগর রাজা।তার ছিলো ছয় কন্যা।তাদের মধ্যে সবাই ছিলো খুবই সুন্দরি
এবং সুখী।তবে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলো ছোট রাজকন্যা। সে কখোনোই সুখী ছিলো নাহ।ছোট রাজকন্যা সাঁতরে সমুদ্রজলের উপরে উঠে যেতো।সে নীল
আকাশ দেখে খুব অবাক হতো।তার আরো ভালো লাগতো হলুদ সূর্যের আলো এবং সাগর তীরের সবুজ গাছপালার সমারোহে।সাগরের নিচে তার মোটেও
ভালো লাগতো নাহ।তার ভালো লাগতো সমুদ্রের বাহিরের জগৎ।বাহিরের প্রকৃতি তাকে আর্কষণ করতো।সে এই জিবনে খুব অসুখী ছিলো।সমুদ্রের নিচে
অনেক সুন্দর সুন্দর মাছ ছিলো।অনেক আশ্চর্যজনক জীব ছিলো।আর পাঁচ বোন তাকে বিভিন্ন মজার মজার গল্প সুনাতো। কিন্তু কিছুতেই তার মন আর্কষন
করতে পারতো নাহ।একদদিন সাগর পাড়ে বসে বসে আকাশ দেখছিলো।এমন সময় তার চোখ যায় একটি পালতোলা জাহাজের উপর। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ
চমকাছিলো।হঠাৎ করে সে দেখতে পায় একটি সুন্দরর ছেলে পানিতে পরে কাবাছিলো।সে পানিতে ডুব দিয়ে তাকে বাচাঁয় সেদেখে ছেলেটি জ্ঞান হারায়।সে
তাকে জ্ঞান ফিরানোর চেষ্টা করতে এক সুন্দরী রাজকন্যা অাসে।মৎস্য কন্যা এক পাথরের পিছনে লুকিয়ে পরে।রাজপুত্রের হুস আসতে সে তার পাশে
রাজকন্যাকে দেখে ভেবে নেয় সে বুঝি তাকে বাচিঁযেছে।কারন সে জানালা দিয়ে দেখতে পেয়েছিলো রাজপুত্র পানিতে ডুবে যাচ্ছে।সে তাকে রাজ প্রাসাদে
নিয়ে যায় তার পোষাক এবং খাবারের ব্যবস্থা করে।ঐদিকে মৎস্য কন্যা মনের সুখে ডাইনীর বুড়ির কাছে যায় এবং তাকে সব ঘটনা খুলে বলে।ডাইনী তাকে
সর্থ দেয় সে কথা বলতে পারবে না।তাকে অন্যান্য মেয়েদের মতো করে দেওয়া হলো। এখন সে আর মৎস্য কন্যা নয়।সে নাচতে নাচতে সে রাজপ্রসাদ এ
গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে সে দেখতে পায় যার জন্য সে মৎস্য কন্যার বেশ ত্যাগ করলো সে রাজপুত্র আরেক রাজকন্যাকে বিয়ে করছে।সে দু”চোখ ভরা পানি
নিয়ে সাগর পাড়ে এসে সাগরে ঝাঁপ দেয়।যেহেতু সে আর মৎস্য কন্যা নেই তাই সে পানিতে ডুবে মারা যায়।আজও পালতোলা জাহাজিরা,,রাজপ্রাসাদ এর
সৈনিকরা তাকে দেখতে পায় কে যেনো একটা বসে সাগর পাড়ে পাথরের উপরে বসে বুক ঝাপটে কাঁদছে………