আজকাল মানুষ বাহিরের চাকচিক্য দেখেই অতি সহজেই মুগ্ধ হয়ে যায়। দুই চার ঘন্টা বা দুদিনেই এক্কেবারে কাছের মানুষের মতন ব্যবহার করা শুরু করে দেয়। একটা মানুষকে বিচার করতে পারে কতো সহজেই!মনের গভীরতা বোঝার বা তার মর্যাদা দেবার ক্ষমতাই বা আছে কয়জনের?! মার্জিতরুচির মানুষইতো কমে যাচ্ছে।
এখন সবচেয়ে কঠিন কাজ মানুষ চেনা। দ্বৈত মুখোশ পরে নিজেকে আড়াল করে রাখে কিছু মানুষ, সময় হলেই নিজের আপন রূপ দেখায়। স্বার্থের মোড়কে নিজেকে মুড়িয়ে সহজতার ভান করে চলা মানুষ দেখে দেখে আজকাল হতভম্ব হবার ক্ষমতাই নষ্ট হয়ে গেছে।
আমরা ঠেকে ঠেকে শিখেছি, এই যুগে কেউ সেটা করতে রাজি না। আজকাল কতো অল্প সময়ে আমরা একজন মানুষকে বিচার করতে পারি! ক্ষমার দিন চলে গেছে। সামান্য ভূল-ত্রুটি দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ি, বন্ধুত্বের খোলস টেনে ছিঁড়ে ফেলে। সরল বিশ্বাসী মন এখন বড় হাস্যকর।
সবাই শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত, বড় ব্যস্ত, আর দুনিয়াময় হয়ে যাচ্ছে আমি, তুমিময় যেনো বা এর বাহিরে কিছু থাকতেই নেই। সমাজের যারা মাথা তারাইতো স্বজনপ্রীতিতে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন। খাঁটি মানুষ কই!!!
বিনয় শব্দটা বড় সেকেলে হয়ে গেছে, কেউ আর পুরাতনী পোষাক গায়ে চড়াতে রাজী না। বাহিরের চেহারা দেখাতেই হবে যে, আমিও পারি। ভিতরের চেহারা যেমনই হোক না কেন! তাই কিছু মানুষের সত্যিকার চেহারা রয়ে যায় আড়ালে, অগোচরে।
বাস্তব এতো কঠিন যে, এখানে সরলতা, আবেগের বিন্দুমাত্র মুল্য নেই। বেমানান হবার ভয়ে অনেক মানুষ তাল মেলাবার বৃথা চেষ্টা করে যায়। কিছু মানুষ বড় বিপদে আছে। না পারে মানুষকে অবমূল্যায়ন করতে, না পারে অতি আধুনিকতার জোয়ারে নিজেকে ভাসাতে! না পারে পুরানো জগতে ফিরে যেতে!! বসে বসে স্মৃতির জাবর কাটে।