ভরদুপুরে পরিমরি করে বাড়ি ফিরছেন নন্দদুলাল। স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে পড়িমড়ি দৌড়চ্ছেন। কী যেন একটা জরুরি কাজ আছে বাড়িতে। কিন্তু কাজটা যে কী, এই মুহুর্তে মনে করতে পারছেন না কিছুতেই। ইদানীং এই এক ফ্যাসাদ হয়েছে। নন্দদুলালের স্মৃতিশক্তি বড় বেশি বিশ্বাসঘাতকতা করছে আজকাল। এমনিতেই আলাভোলা বলে বরাবরই একটা অখ্যাতি আছে তার। কঠিন কঠিন এক্সট্রা কষাতেন, চাল আনতে বললে চালতা আনতেন বাজার থেকে কিংবা তেঁতুলের বদলে তেজপাতা। তবে সম্প্রতি বিস্মরণের অসুখটা যেন মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে পরিচিতদের চিনতে পারেন না, অপরিচিতদের চেনা ভেবে দিব্যি ডেকে গল্প করেন। নিজের ছেলেমেয়েদের নাম পর্যন্ত গুলিয়ে ফেলছেন হরদম। এই তো সেদিন দই-মিষ্টির হাড়ি নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি রওনা দিয়ে ছেলের কলেজের হস্টেলে হাজির। বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ অত খাবারদাবারের বহর দেখে ছেলে তো হাঁ।
গত পরশু তো আরও কেলেঙ্কারি। জামাই ফোনে বারবার বলছে, ‘বাবা আমি বিনয়…। কিন্তু বিনয়টি যে কে কিছুতেই ঠাহর করে উঠতে পারলেন না নন্দদুলাল। শুনে গিন্নির সে কী হাউমাউ, ছিছি, জামাইকে আমি মুখ দেখাব কী করে!”
তা মনে না পড়লে কী করবেন নন্দদুলাল? কী-ই বা করতে পারেন? আজও তো কত কষ্ট করে দরকারি কাজটাকে গেথে রেখেছিলেন মগজে, স্কুলেও বারকতক ঝালিয়ে নিয়েছেন, অথচ ফ্ল্যাটবাড়ির গেটে পৌছোনোর আগেই মস্তিষ্ক বেবাক ফরসা।
চৈত্র মাস। ঠাঠা রোদুর। রাস্তায় জনমনিষ্যি নেই। রিকশার ভাড়া মিটিয়ে নন্দদুলাল ঝুম দাঁড়িয়ে রইলেন একটুক্ষণ। আর একবার খোঁচালেন মগজটাকে। গিন্নি আজ বাপের বাড়ি গেছেন, ফ্ল্যাট পাহারা দেওয়ার কথা ছিল কি? উহু, অন্য কিছু। অন্য কোনও কাজ । গোল্লায় যাওয়া স্মৃতিশক্তিটাকে মনে মনে গাল পাড়তে পাড়তে গেট ঠেলে কম্পাউন্ডে ঢুকলেন নন্দদুলাল। কপালে ইয়া মোটা মোটা ভাজ ফেলে সিঁড়ি ভাঙছেন। চারতলায় পা রেখেই থমকে গেলেন আচমকা। তাদের ফ্ল্যাটের দরজায় কে ও ? বছর পঁচিশেকের এক যুবক ঝুঁকে কী যেন করছিল দরজায়।
লিকলিকে রোগা, মধুকুলকুলি আমের মতো মুখ, পরনে কুচকুচে কালো ফুলপ্যান্ট, ক্যাটকেটে সবুজ টিশার্ট। হাতে নানা মাপের স্ক্রু-ড্রাইভার।
মানুষের সাড়া পেয়ে চমকে ফিরল ছেলেটা। হাত পিছনে করে যন্ত্রপাতি লুকোচ্ছে।
কীআশ্চর্যম! সঙ্গে সঙ্গে নন্দদুলালেরও মনে পড়ে গেল আজ টিভির মেকানিক আসার কথা ছিল বটে। পাছে লোকটা ফিরে যায়; তাই তাকে একটু চটপট আসতে বলেছিলেন গিন্নি। নন্দদুলালের মুখে হাসি উপচে পড়ল, ও, তুমি তা হলে এসে গেছ?
– ছেলেটা কেমন যেন সিটিয়ে গেছে। আমতা আমতা করে বলল, আজ্ঞে হ্যা…না.মানে…’
মানে আমি বুঝি গেছি। কেউ নেই দেখে নিজেই দরজা খুলে ঢুকে পড়ছিলে!’
নন্দদুলালের স্বরে শিক্ষকের সুর, ‘তোমরা, এখনকার ছেলেরা কী বলো তো? একটু অপেক্ষা করার ধৈর্য নেই?’ ছেলেটা অধোবদন । ঢোক গিলছে, অন্যায় হয়ে গেছে স্যার। এবারকার মতো মাপ করে দিন।’
ঠিক আছে, ঠিক আছে।
এরকমটা আর কোনও বাড়িতে গিয়ে কোরো না।
স্কু ড্রাইভার দিয়ে খোচালে দরজার লক নষ্ট হয়ে যায়।’ বলেই পকেট থেকে চাবি বের করে দিলেন নন্দদুলাল, নাও খোলো।’
ছেলেটা চাবিতে মোটেই উৎসাহী নয়, তাকাচ্ছে এদিকওদিক। হঠাৎই সুড়ত করে ধাঁ মারার চেষ্টা করল। ওমনিই নন্দদুলাল খপ করে তার কবজি চেপে ধরেছেন। কড়া গলায় বললেন, কাজ না সেরে কেটে পড়ছ যে বড় ?
আজকের মতো ছেড়ে দিন স্যার, ছেলেটার মুখ কাঁদোকাঁদো, দয়া করুন স্যার।’
সিন ক্রিয়েট করছ কেন? এসেই যখন পড়েছ, কাজটা সেরেই যাও না। দরজা থেকে চলে গেলে তোমার মাসিমাকে আমি কী কৈফিয়ত দেব?’
‘আ-আ-আমার মাসিমা ?
‘হ্যা। আমার গিন্নি। তোমার জন্যই তো তিনি আমায় চটপট আসতে বলেছিলেন। বলতে বলতে নন্দদুলাল চাবি ঘুরিয়ে দরজা খুলেছেন। টানলেন ছেলেটাকে, ‘এসো, ভেতরে এসো!
ছেড়ে দিয়ে নন্দদুলাল বললেন, কী হল, বোসো!
“বো-বো-বো-বোসব ?? অবশ্যই। য
ত নগণ্য কাজেই তুমি আসো না কেন, তুমি এখন আমার অতিথি। আর অতিথির সমাদর করা গৃহস্বামীর কর্তব্য।’
কী বুঝল কে জানে, ছেলেটা হাটু কেতরে বসল সোফায়।
পিটপিট চোখ চালাচ্ছে ফ্ল্যাটময়।
নন্দদুলাল গলা ঝাড়লেন, ‘এবার তোমার সঙ্গে ভালো করে আলাপ-পরিচয়টা সেরে ফেলা যাক। নাম কী তোমার ??
আজ্ঞে, ননী। ননীগোপাল।
‘বাহ, তুমি আমি তো তা হলে একই হে। ননীগোপালও যিনি, নন্দদুলালও তিনি। ঠিক কি না?
‘কী যে বলেন স্যার?” ননীগোপাল বেজায় লজ্জা পেয়েছে। গা মুচড়ে বলল, “কোথায় আপনি, আর কোথায় আমি! ‘নিজেকে কখনও ছোট ভাবতে নেই ননীগোপাল। দুনিয়ায় কোনও কাজই
হেলাফেলার নয়। তুমিও পরিশ্রম করে খাও, আমিও খেটে খাই। তফাত এইটুকুই, আমার হাতে থাকে চকডাস্টার, আর তোমার হাতে স্কু ড্রাইভার। তা যে পেশায় যা লাগে।”
‘বাঃ, বেড়ে বলেছেন তো, এতক্ষণে ননীগোপাল যেন অনেকটাই সপ্রতিভ, সত্যিই তো, খেটেখুটেই তো খাই।’
‘গুড। কথাটা মাথায় রাখবে। নন্দদুলাল নড়েচড়ে বসলেন,
‘তা ক’দিন আছ এই লাইনে?’
‘আজ্ঞে, প্রায় বছরপাঁচেক।’
হাত মোটামুটি পাকা তো?
ননীগোপাল ফোস করে শ্বাস ফেলল, ‘প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ পেলাম কই স্যার?
‘বটে? দাও প্রমাণ। দেখাও তোমার কেরামতি।’
তেমন একটা হেলদোল দেখা গেল না ননীগোপালের। বসে আছে গ্যাঁট হয়ে।
নন্দদুলাল তাড়া লাগালেন, কী হল? শুরু করে দাও।”
‘পারব না স্যার। সামনে কেউ থাকলে আমার হাত চলে না।”
অ। তার মানে আমাকে ওঘরে চলে যেতে হবে?…তা বেশ। একা-একাই করো না হয়। তার আগে দুজনেই তেতেপুড়ে এসেছি চলো একটু জলটল খেয়ে নিই। শরবত চলবে?
তা একটু হলে মন্দ হয় না। গলাটা বড্ড শুকনো মেরে গেছে।’
‘আহাহা। জলজিরা খাবে? না আমের সিরাপ?
“গরিব মানুষের অত বাছাবাছি করলে কি চলে স্যার? দিন যা হোক।’
ননীগোপালের লাজুক লাজুক ভাব, কথা বলার ধরন বেশ উপভোগ করছিলেন নন্দদুলাল। খুশি খুশি মুখে বললেন, তা হলে এক কাজ করো। উঠে গিয়ে ফ্রিজ খুলে আমের সিরাপটাই বের করো। সঙ্গে ঠান্ডা জলের বোতল। রান্নাঘরে কাচের গ্লাস আছে, পরিমাণমতো মিশিয়ে নিজেই বানিয়ে ফ্যালো তো দেখি। আর হ্যা, যদি মানে না লাগে, আমাকেও এক গ্লাস দাও।”
‘এ কী বলছেন স্যার? আপনার সেবা করার সুযোগ পাচ্ছি,
এ তো আমার পরম সৌভাগ্য।’
লাফিয়ে সোফা ছেড়ে বেড়ালপায়ে ফ্রিজের কাছে গেল ননীগোপাল। গ্লাস, জল, সিরাপ ঠিকঠাক খুঁজে নিয়ে দু-গ্লাস শরবত নিমেষে প্রস্তুত। একটা গ্লাস নন্দদুলালকে ধরিয়ে দিয়ে গদগদ মুখে বলল, আপনার মতো মানুষ আমি দুটো দেখিনি স্যার। লোকে আমাদের সঙ্গে কী ব্যবহারটাই না করে! আর আপনি কিনা এই দীনহীনকে তরিযুত করে শরবত খাওয়াচ্ছেন?’
আমার চোখে সব মানুষই সমান ননী। গর্বিত মুখে গ্লাসে চুকুম দিয়ে নাক কুঁচকোলেন নন্দদুলাল, ‘অ্যাহ্, শরবত ঠান্ডা জলে বানাওনি?’ ‘
জল শীতল হয়নি স্যার। ফ্রিজ বন্ধ।”
‘বাহ, তুমি তো বেশ শুদ্ধ ভাষা বলো! পড়াশুনো ক’দুর করেছ?
‘আজ্ঞে, ক্লাস এইট।’
‘ছেড়ে দিলে কেন?’
অভাবের তাড়নায় স্যার। জঠর-জ্বালা মোক্ষম জ্বালা।’
তা অবশ্য ঠিক, নন্দদুলাল মাথা দোলালেন, ‘তো শুধু এই কাজই জানো? নাকি অন্য কিছুও শিখেছ?
পিচিক করে একচিলতে হাসি পিছলে গেল ননীগোপালের ঠোঁটে, আজ্ঞে, সূক্ষ্ম কাজও কিছু কিছু জানা আছে স্যার।’ ‘কীরকম?”
‘পামিং, পাসিং!…ধরুন, যে-কোনও জিনিস মুঠোয় নিলাম, দু-বার শূন্যে হাত ঘোরাব, ব্যাস জিনিসটা ভ্যানিশ ”
‘বলো কী হে? ম্যাজিকও জানো ?’
“যে যে নামে ডাকে। কেউ বলে ম্যাজিক, কেউ বলে হাতসাফাই, অম্লানবদনে বলল ননীগোপাল, আমার গুরু বলেন, এসব কাজে আমি নাকি তাকেও টেক্কা দিয়েছি।”
‘তা হলে তো একবার দেখতে হয়।’
‘দেখাতেই পারি। কী সরাব বলুন?’
গ্লাস থেকে চামচখানা তুলে এগিয়ে দিলেন নন্দদুলাল, ‘এটাকে হাওয়া করো দেখি ?
বা হাতের চেটোয় চামচ রাখল নন্দীগোপাল। ডান তালু দিয়ে চাপা দিল বা হাত। তারপর দুটো হাত একসঙ্গে করে শূন্যে ঝাকাল খানিক। হঠাৎ ঝাং করে দু-দিকে দু-হাত ছড়িয়ে দিয়েছে, ‘দেখুন স্যার, চামচ নেই।’
নন্দদুলাল শিশুর মতো উল্লসিত, তাই তো! তাই তো! আর কী ভ্যানিশ করতে পারো? একটা থালা এনে দেব?
অতো বড় জিনিসে অসুবিধে আছে স্যার। বললাম না, এ অতি সূক্ষ্ম কাজ। জিনিসটা ছোটখাটো হবে, দামি হবে, তবেই না হাত চলবে।’
‘ছোট, অথচ দামি জিনিস? নন্দদুলাল ভাবনায় পড়ে গেলেন, কীরকম বলো তো ?’
‘এই ধরুন গিয়ে মাসিমার কানের দুলটুল। হারটার। কিংবা আংটিটাংটি।’
আঙুল থেকে সোনার আংটিটা খুলে দিলেন নন্দদুলাল। মুঠোয় চেপে মাত্র দু-বার ফু দিল ননীগোপাল, মুঠো খুলতেই আংটি উধাও। উৎসাহিত হয়ে ড্রেসিংটেবিলের ড্রয়ার থেকে গিন্নির মুক্তোর দুলজোড়া এনে দিলেন, কয়েক সেকেন্ডে দুল অদৃশ্য। উত্তরোত্তর চমৎকৃত হচ্ছেন নন্দদুলাল। আলমারি খুলে বের করে আনলেন সোনার বোতাম, সোনার চেন, রুপোর খুদে সিদুরকৌটো। নিমেষে মিলিয়ে গেল সব। আস্ত একখানা সোনার বালাও যখন কপূরের মতো উবে গেল, নন্দদুলালের চোখ তখন ঠিকরে বেরোয় আর কী!
আপ্লুত স্বরে নন্দদুলাল বললেন, ‘তুমি তো আইনস্টাইনকেও ঘোল খাওয়ালে হে ননী। মাসকে তুমি এনজিতে পরিণত না করেই নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছ?
আইনস্টাইন?” ননীগোপাল চোখ কুঁচকোল, তিনি কে? আমাদের লাইনের কেউ ?
তিনি একজন মহান বিজ্ঞানী।.তবে তুমিও লা-জবাব। তোমারও তুলনা নেই।’
আপনি মহান বলে কদর দিলেন স্যার।’
হুম। তা এবারে জিনিসগুলো ফেরত এনে দাও।”
অপরাধ নেবেন না স্যার, ননীগোপাল ফিচেল হেসে ফেলল, ‘অর্ধেক বিদ্যা সবে আয়ত্ত করেছি স্যার। বাকি অর্ধেক,
মানে ফেরত আনা, এখনও শেখা হয়নি।’
“এ তো ভালো কথা নয়, নন্দদুলাল অসন্তুষ্ট হলেন, ‘কোনও কিছু শিখতে হলে পুরোপুরি শিখবে। আধাখ্যাচড়া জ্ঞান নিয়ে চক্রব্যুহে অভিমনুকে মরতে হয়েছিল, সে খবর রাখো? পরের বার যেন এমন অজুহাত না শুনি, বুঝলে ?’
‘যে আজ্ঞে স্যার, ননীগোপাল হাসিমুখে উঠে দাঁড়াল, ‘আজ তা হলে আসি ?’
সে কী? এখনও তো আসল কাজে হাতই দাওনি! বললে একা বসে করবে, আর জিনিসে হাত না ছুইয়েই পালাচ্ছ? নন্দদুলাল ধমকে উঠলেন, আমি ওঘরে গিয়ে শুচ্ছি, তুমি ততক্ষণে টিভিটার গতি করে ফ্যালো।’
‘এই টিভিটার ?’
‘হ্যা। দামি রঙিন টিভি, সাবধানে হ্যান্ডেল কোরো। আর দেখো, গোটা ঘরে স্কু-টু ছড়িয়ে রেখো না, তোমার মাসিমা রাগ করবেন ?
আবার চোখ পিটপিট করছে ননীগোপাল। ঘাড় চুলকোচ্ছে। ঝামেলা না করে টিভিটা যদি নিয়েই যাই স্যার ?’
নিয়ে গিয়ে মেরামত করবে ? উত্তম প্রস্তাব …কিন্তু কাঁধে করে ধাড়ি জিনিসটা বয়ে নিয়ে যেতে পারবে?
‘একটা রিকশা ডাকব স্যার?
‘গুড আইডিয়া। তবে রিকশা ভাড়াটাও তো তোমাকে আমার দিয়ে দেওয়া উচিত।” ফস করে মানিব্যাগ থেকে একখানা একশো টাকার নোট বের করলেন নন্দদুলাল, এটা হিসেবটা প্লাস-মাইনাস করে নিও।”
রিকশায় টিভি চাপিয়ে ননীগোপাল বিদায় নেওয়ার পর আধ ঘণ্টাও কাটেনি, দরজায় বেল। নন্দদুলালের গিন্নি ফিরে এসেছেন বাপের বাড়ি থেকে। সঙ্গে মোটাসোটা চেহারার এক বছর তিরিশেকের লোক।
অবাক মুখে নন্দদুলাল বললেন, ‘তুমি ? এত তাড়াতাড়ি?
‘তোমার ওপর ভরসা করে সুস্থির থাকা যায়? কোনওরকমে নাকেমুখে গুজেই বেরিয়ে পড়েছি। নন্দদুলালগিন্নি ঘাম মুছছেন, ‘পাড়ায় ঢুকে দেখি ইনি দোকানে গালে হাত দিয়ে বসে। তুমি নাকি ওঁর ছায়াও মাড়াওনি।’
উনি কে?’ ফ্রিজ মেকানিক।
পইপই করে তোমায় বলে যাইনি, স্কুল থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে একে ধরে আনবে? এই গরমে ফ্রিজ খারাপ থাকলে কতটা অসুবিধে হয় সে হুশ তোমার আছে?
নন্দদুলালের মাথায় হাত। এহ, ভুলটা এবার বেশি মারাত্মক হয়ে গেছে।
গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প