স্তব্ধতা

স্তব্ধতা

তামান্না!!!!
ক্যাডেট অনন্যার ডাকে চমকে ঊঠলো তামান্না।
চ্যাচাস ক্যান!!!(তামান্না)
চ্যাচাবো না তো কি করবো!!!!(অনন্যা)
হুম বল কি হইছে (তামান্না)
কি হইছে মানে!!!…বিএমএ লাইফের লাস্ট দিন আজ।।।সবাই মজা করতেছে।একমাত্র তুই আনমোনা বসে আছিস।কি হইছে তর!!..সিক নাকি কই দেখি
এই বলে অনন্যা তামান্নার কপালে হাত দিয়ে দেখতে লাগ্লো।
নারে দোস্ত আম কম্পলিটলি ওকে।চল মজা করি(তামান্না)
হুম।।
দি নাম্বার ইউ হ্যাব ডায়াল্ড ইজ কারেন্টলি আনরিচএবল।
গ্রামীণফোন এর আপুটার সুন্দর ভয়েচটাও আজ বাবুর কাছে খুব বিরক্তিকর লাগছে।তখন থেকে ট্রাই করেই যাচ্ছে কিন্তু আপু বার বার একই কথা বলে মন্টা ভেঙে দিচ্ছে।
ওহ থুক্কু।পরিচয় পর্বটা শেষ করা উচিৎ।
তাহসিন মৃত্তি তামান্না।সেনাবাহিনী তে একজন অফিসার ক্যাডেট। আর এদিকে আসাদ জামিউস (বাবু) ঢাকা ইউনিভার্সিটির মাস্টারসস এর ছাত্র।
এদের মধ্যে সম্পর্ক টা বুঝে গেছেন নিশ্চই!!!
বাহ আপ্নারা তো ভালই যাকে বলে ননইন্টেলিজেন্ট।গুড।
তামান্নার দিন টা যেন খুব লম্বা মনে হচ্ছে।।নাহ আর পারছে না তামান্না।যেমন করেই হোক বাবুর সাথে কথা বলতে হবে।
ইমার্জেন্সি ফোন বুথ থেকেই তামান্না বাবুকে ফোন করলো।
হ্যালো কে!!(বাবু)
হ্যালো!!(তামান্না)
কন্ঠটা শুনেই বাবু লাফিয়ে ঊঠলো।আই মিন মন থেকে।রিয়ালি লাফ দিলে অন্যকিছুও ঘটতে পারে।
তামান্না ক্যামন আছ তুমি!!!.তোমাকে কত্তবার ফোন দিলাম তুমি ফোন রিসিভ করলা না ক্যানো!!!(বাবু)
বুথ এর লোক্টার দিকে একটু তাকিয়ে তামান্না বল্ল
বাবু ভাইয়া আমি বিএমএতে।এখনো বাসায় যাইইইনি।।বাসায় গিয়ে কথা হবে ক্যামন!!!ভাইয়া ততহ্মন একটু অপেহ্মা প্লিইইইইজ!!!(তামান্না)
আচ্ছা।এই একটা হবে!!!(বাবু)
ইইই না ভাইয়া এখন না পরে।(তামান্না)
উহুহুহু না না না আমার ইখুনি চাই(বাবু)
উফফ আচ্ছা দাড়াও।উম্মম্ম…(তামান্না আস্তে করে কিছু একটা দিয়াছে।বুইঝা লইয়েন)
হঠাত ফোন্টা কেটে গেলো।বাবু অনেকটা শান্তি পেলো।
হে ইউ ক্যাডেটস গেইট আপ গেইট আপ!!!!
সবাই ঘুম থেকে উঠলো সাথে তামান্নাও।
ইউ ক্যাডেটস মেইখ ইওরসেল্ফ রেডি।ইউ নো দ্যাট টুডে দ্যা ডে ইজ ভেরি ভেরি ইম্পরট্যান্ট ফর ইউ অলয..টুডে ইউ অল আর গোইং টু টার্ন এন্ড অফ দি বিএমএ লাইফ।
ইওর প্যারেন্টস উইল সিওর টু বি হ্যাপি।দিস দা লাস্ট মোমেন্ট আম রিকুয়েস্টইং অল টু বি পোলাইট এনাফ মিনিমাম টুডে।
বি কেয়ারফুল।স্টে সেফ এন্ড সাউন্ড।উইশিং ফর ইউর আপকামিং লাইফ।
দ্যাটস অল এবাউট।নাউ গো….
কিছু আনুষ্ঠানিকতা কিছু উৎকন্ঠা নিয়ে সকলের সাথে তামান্নাও চলেছে পাসিং আউট প্যেরেডে পা আর হাত মিলিয়ে।।
এইতো সে লাল দাগটা পেরুলো।
শপথো শেষ।।
মাথার ক্যাপগুলো আকাশে উড়ছে।তামান্নাও ক্যাপ উড়িয়ে মনে মনে বল্ল আমি পেরেছি।
বাবু আর তামান্না রেস্টুরেন্ট এ সামনা সামনি বসে আছে।
তামান্না কে চিনতে খুব কস্ট হচ্ছে বাবুর।মেয়েটা দ্যাখার মতো অবস্থায় নেই।
কেদেই দিলো পাগল্টা।
এই কাদছ ক্যানো!!!পাগল(তামান্না)
এমনি।কই নাতো।(বাবু)
তামান্না চেয়ার থেকে উঠে বাবুর পাশের চেয়ারে বসে বাবুর হাতটা ধরলো।
বাবুও সাথে সাথেই শক্ত করে হাতটা চেপে ধরলো।
আমি ঠিক আছি রে পাগল তুমি আমার জন্য এটতোটা চিন্তা করছো ক্যানো!!!!(তামান্না)
ওকে যাও আর চিন্তাই করবো না(বাবু)
এই দ্যাখো আবার রাগ করতেছে।(তামান্না)
তামান্না অনেক কস্টে বাবুর রাগ ভাঙিয়ে ওকে ওর ভার্সিটিতে পৌছে দিয়ে তামান্না ক্যান্টে ফিরে গেলো।
এভাবেই দিনগুলো যাচ্ছিল।
ধীরে ধীরে আবার দুজনই স্বাভাবিক হতে লাগ্লো।
তামান্না এখন আগের থেকে পুরোপুরি স্বাভাবিক।মাঝখানে যেন সময়টা একটা স্বপ্ন হয়ে দাড়িয়েছিলো।
কিন্তু সব স্বাভাবিক ভাবে চল্লেও সামান্যতেই বাবুর মনে তামান্নার জন্য ভয় কাজ করতে লাগে।
ফোন ঊঠাতে লেট হলেই ভয় পেয়ে যায় কিছু হয় নি তো তামান্নার!!
আর তামান্নারো সসয়ে গিয়েছে ওর এই ভাওয় কাটিয়ে তোলার বিষয়টি।
দেখতে দেখতেই দুটি বছর কেটে যায়।পরিবর্তন ঘটে সবকিছুতেই।
তামান্না লেফটেন্যান্ট থেকে আজ ক্যাপ্টেন।।আর বাবু বিসিএস দিয়ে উত্তরবঙ্গের একটি সরকারী কলেজের লেকচারার।।
দুজনই দুজনের জীবন নিয়ে ব্যাস্ত।
ওহ হুম।এর মাঝেই বাসায় জানাজানিও হয়ে গেছে বাবু আর তামান্নার বিষয়টি।
তামান্নার বাসা থেকে সমস্যা না থাক্লেও সমস্যা বেধে যায় বাবুর বাসায়।
তার বাবা মা চায় না।তাদের একমাত্র ছেলের বৌ একজন ডিফেন্স এর মেয়ে হোক।
যে কিনা বাসায় সংসার কম বরং বাইরের দেশ সংসার নিয়ে ব্যাস্ত থাকবে।
বাবুকে অনেক ভালোবাসে তার বাবা মা।তাই তারা ভাবেন যদি তামান্নার জন্য বাবুর হ্মতি হয়!!!
বাবুকে ওর বাবা মা বারবার তামান্নার ব্যাপারে বল্লেও এড়িয়ে যায় বাবু।
বাবুর জন্য অনেক মেয়েই দেখা হয়।কিন্তু বাবু মেনে নেয় নি কাউকেই।
অতঃপর বিয়েটা হয়েই গেলো।
তামান্না ও বাবু।
বিয়ের রাতে…..
মে আই কামিন ম্যাম!!!(বাবু)
হাহাহা হুম আসুন সাহেব!!!এতো লেইট হলো ক্যান হুম!!!!!(তামান্না)
ইইইইই সরি ম্যাম।হুহু(ঠোট বাকিয়ে বাবু)
হুহু সরি টরি বুঝি না।বিয়ের আগে কি করছ জানি না।।আজকের পর যদি ডিসিপ্লিন না মানো হুহু বুঝতেই পারছ কারে বিয়ে করেছ হিহিহি।(তামান্না)
তাই বুঝি!!!(বাবু)
হুউউউউ(তামান্না)
উলে উলে দ্যাখাই যাবে সোনা।।আব কুছ হো যায়ে ম্যাম!!!!(বাবু)
কেয়া মেরে বাবু(তামান্না)
কুছ নাহি বাস ওক্কে জানু!!!(বাবু)
এএই দুস্টুমি না!!!!
হায়াহাহাহা………………..

দড়জা বন্ধ আছিলো তো।আমি আর কি কমু আপ্নারাই কন!!!!!
ননদেরা তো তামান্না নিয়ে অস্থির।।
বাবুর খুব কষ্ট হচ্ছে।
কারন সবাই তামান্নাকেই দেখছে।বাবুকে একটুও টাইম দিচ্ছে না তামান্নার পাশে বসার।
আরো খারাপ লাগছে হারামি ছোট ভাই গুলা তামান্নার সাথে রাজ্যের আলাপ জুরছে।উফফ খালি যদি সামনে পাই না তগো দেইখা লমু।মনে মনেই ফুসছে বাবু।
বিয়ের পর তামান্না সব পেলেও পাচ্ছিলো না শাশুড়ির আদর।
শাশুড়ি মেনে নিতে পারছিলো না তামান্নাকে।
দিন তো থেমে থাকে নি।
বাবু আর তার পরিবারের সবাই বসে সকালের নাস্তা আর টিভি দেখছে।

আজ সকাল সাতটার দিক জঙিদের কিছু সদস্য একটি স্কুল বাসকে হাইজ্যাক করে।। তাদের দাবির ককথাগুলো খুব ছোটো হলেও মানে গুলো অনেক বড়।।।
পুলিশ ও সোয়াট গ্রুপ পারেনি তাদের কে থামাতে।।।
এ দিকে চিটাগাং নেভাল বেজ এ খবর পেয়ে সাথে সাথেই তাদের নেভাল ফোর্স পাঠায়।।।
চিটাগাং ক্যান্টনমেন্ট থেকে আগত বার্তা থেকে জানা যায় এটা শুধু জঙীইইই নয় সাথে জলদস্যু ওও যুক্ত রয়েছে।
কিন্তু নেভাল বেজ বুঝতে পারছিলো না যে জলদস্যু আর জঙী একসাথে কিভাবে।।
ভাবার সময় শেষ।।
পরবর্তী খব্র পেতে শাথে থাকুন।।
আমি চিটাগাং থেকে
মিস যারিন তাসনিম রাকা
এটিওএন নিউজ।
টিভিতে খবর দেখেই বিস্তারিত জানতে বাবু ফোন করলো তামান্না কে।
কারন তামান্নার পোস্টিং ওওও চিটাগাং এ হয়েছে সদ্য একমাস হলো।।
কিন্তু এ কি।ওর তো ফোন অফ।
বার বার ফোন করেই চলেছে বাবু।।
এদিকে বাবুর মা সবটা সময় শুধু ছেলেকে খোটা দিয়ে চলেছেন।
আজ ক্যানো আমরা এতো টেনশনে!!!
ডাক্তার মেয়ে আমার ছেলের নাকি পছন্দ না।।এখন এতো ফোন ক্যান হুম!!!
বাবুর বাবা শুধু বাবুর মাকে বলছে আহ চুপ করোতো তুমি।দেখছো এম্নিতে ছেলেটা টেনশনে আছে।
এদিকে নেভাল বেজ থেকে জিপ নিয়ে এসেছে সদ্য কমিশন্ড পাওয়া নেভি অফিসার সাব লেফটেন্যান্ট (আর্মির দিক থেকে লেফটেন্যান্ট)।।সাথে আছে কিছু দহ্ম সৈনিক।
স্বভাবতই সমুদ্রেই কাজ হলেও এরা স্থলেও কাজ করতে সহ্মম ও ট্রেইন্ডওওও বলা চলে।
অন্যদিকে চিটাগাং ক্যান্ট থেকে জিপ নিয়ে আসছেন ক্যাপ্টেন তামান্না।
জিপ দুটি বাসের কাছাকাছি আস্তেই বাস থেকে কয়েক দফা ফাকা গুলি চালাতে থাকে।
ওদের কথামতো এই যে,আপ্নারা আমাদের ওপর জবরদস্তী করবেন না।।তবে আমরা সব বাচ্চাকে মেরে দেবো।।আর যদি বাচাতে চান তবে আমাদের দাবি মানুন।।
দুটি জিপ খুব কাছাকাছি চলে আস্লো।
লেফটেন্যান্ট বুলবুল বল্লো তামান্না ম্যাম উই হ্যাব টু ডু সামথিং।(বুলবুল)
ইয়েস।নাউ হোয়াট আই নীড টু ডু।গিভ ইওর স্টেটমেন্ট ফাস্ট।(তামান্না)
ম্যাম উই হ্যাব টু গেট টুগেদার
ইন ওয়ান জিপ।।দ্যাটস হোয়াই দে ক্যান থিংক দ্যাট উই আর উইক ইন অল।(বুলবুল)
নট ব্যাড আইডিয়া।। বাট আই থিংক হোয়াটিভার টু ডু উই হ্যাব টু মেইখ জাস্ট বাই ইউ এন্ড মিহ।।হোয়াট ইউ থিংক?? (তামান্না)
ম্যাম ইউ আর মাই সিনিয়র এন্ড কোয়াইট স্কিল্ড ঠু।দেন ইউ নো বেটার দ্যান মিহ দ্যাট হোয়াট উইল বি গুড।।অভারলি সাপোর্টিংং ইউ।।(বুলবুল)
গুড বয়(তামান্না)
জিপ দুটি থেমে গেলো।
ক্যাপ্টেন তামান্না বুলবুল কে বল্ল হ্যান্ডেল ওভার বথ অফ আর্মি এন্ড নেভাল ঠু।
আম গোইং ওভার দি বাস এন্ড ইউ মেইখ ইওরসেল্ফ রেডি ফর দ্যা আপকামিং স্টেপ ইজ দ্যাট ক্লিয়ার লেফটেন্যান্ট!!!! (তামান্না)
ইয়েস ম্যাম।(লে.বুলবুল)
হেইল বাংলা(তামান্না)
হেইল বাংলা(লে.বুলবুল)
তামান্না যেকোনোভাবেই বাসের উপর উঠে পেছন জানালার গ্লাস ভেঙে কমান্ডো স্টাইলে বাসের ভেতর ডুকেই ফায়ার করে দুজন কে ঘায়েল করলো।কিন্তু একি!!!!
বাচ্চারা কোথায়!!!।এ তো সব জঙী।
তামান্না কে তারা আটকে রাখলো।
এদিকে লে. বুলবুল সামনে এসে দেখতে পেলো একই রঙ এর বাচ্চা দের বাস্টি এক ঝোপের আড়ালে গেট তালাবদ্ধ করে রেখে ভূয়া বাস্টি নিয়ে যাচ্ছিল আর যেটিতে ক্যাপ্টেন তামান্না হামলা করেছে।
বুলবুল বুঝতএ পারলো ধোকায় পরেছে তারা।
এবার আর থেমে না থেকে মিনে মনে বল্ল আরে বোকারাম গুলা তোমরা বড়। ভুল করে ফেলেছো।
তামান্না ম্যাম কে আমিও চিনি।
বেসিক ট্রেনিং এর সময় তামান্না ম্যাম বিএম এ তে সিনিওর পারসোন ছিলো।আর তার সুহ্ম্যাতিও অনেক।সে মরতেও ভয় পায় না।
এবার তার বলিষ্ঠ কমান্ড।
ফলো দেম এন্ড ফায়ার!!!!
এদিকে তামান্না তার পায়ের নাইফটা বের করেই তাকে ধরে রাখা তিন জন কে গলে কেটে দিলো।
এবার আবার পেছন দড়জা দিয়ে লাফিয়ে সেফ পজিশনিং করে পরে জিপ এ স্থান নিলো।
এবার আর কই পালাবে সবাই।
এভাবেই শেষ হলো মিশন্টা।
মিশন নেইম “”নিয়ার””
নেভাল এর “নি” আর্মির “আর”।
ক্যাপ্টেন তামান্না পেলো মেজর র‍্যাংক এর সম্মাননা।
আর বুলবুল পেলো লেফটেনেন্ট (আর্মি হিসেবে ক্যাপ্টেন)
এবার সবাই জানাজানির পর যখন তামান্নার নামে সুনাম বলছিলো তখন তামান্নার শাশুড়ির বুক গরবে ফুলে উঠতে লাগলও
সবাই বলতো ক্যাপ্টেন তামান্নার শাশুড়ি।
তামান্নার শাশুড়িকে বলা হয় তার বৌমাকে নিয়ে কিছু বলতে।
তখন তিনি বললেন যে, মা।তুই আমার চোখ খুলে দিয়েছিস।।দেশ সংসার আসল সংসার।বিয়ের পর তুই আমার মেয়ে হয়ে গেছিস।।আমি সবার সামনে বলছি।
তোকে আমি দেশের জন্য উৎস্বর্গ করলাম।।
তামান্না উঠে এসে জড়িয়ে ধরলো শাশুরিকে।
মা!!!!!!(তন্নি)
হুম বল মা!!(তামান্না)
মা আমি গ্রীন কার্ড পেয়েছি ইয়াহু!!!!(তন্বী)
তাই!!!!
এই বলে মিস্টার বাবু আর তামান্না কে জড়িয়ে ধরলো তাদের একমাত্র মেয়ে তন্বী।
দিন গুলো আর থেমে নেই।
আজ তামান্না একজন লেফটেনেন্ট জেনারেল।
হাতের ডায়রি টা কেড়ে নিয়ে তন্বী বললো বাবা মা তোমরা বলেছিলে গ্রীন কার্ড পেলে ডায়রী টা পড়তে দেবে।এখন পড়ি!!!(তন্বী)
হুম মা পড়(মিস্টার বাবু)
তারপর কিছু স্তব্ধতা।
ফাইনালি হ্যাপি এন্ডিং।।

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত