আমাদের ছোটবেলায় দিনটা শুরু হতো আরবী পড়তে যাওয়ার মাধ্যমে।খুব সকালে মা ডেকে তুলতেন আর অযু করিয়ে কায়দা হাতে দিয়ে মসজিদে পাঠাতেন আরবী পড়ার জন্য।
মাঝে মাঝে ফাকিঁও দিতাম।
স্কুলে গিয়ে সবার আগে সিট দখল করা নিয়ে চলতো এক প্রতিযোগিতা, কে কার আগে বসবে এটা নিয়ে চলতো প্রতিযোগিতা।
শুক্রবার ছিলো আমার কাছে ঈদের দিনের ন্যয়।কারন সেদিন বাংলা সিনেমা দেখতাম বিটিভিতে।সারাটা সপ্তাহ অপেক্ষা করতাম কবে আসবে শুক্রবার।
শুক্রবার হলে দেখতাম পুরো ঘরভর্তি মানুষ। প্রায় তিনটার দিকে
সিনেমা শুরু হতো, জুম্মার নামাজের পর ই শুরু হতো জায়গা দখলের চেষ্টা।দেখতাম অনেক পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও আসতো সিনেমা দেখতে।
আমাদের এলাকায় তখন হাতে গোনা দু চারটা বাসায় সাদা-কালো টেলিভিশন ছিলো।আমার চাচার বাসায়ও টেলিভিশন ছিলো।পুরোটা ঘর ভরে যেত মানুষে।
ছবি শুরুর আগে আবহাওয়ার খবর হতো আর তারপর বৌদ্ধদের ত্রিপিটক পাঠ।
জসিম,শাবানা,ইলিয়াস কাঞ্চন,দিতি,ববিতা,চম্পা, আলমগীর,জাফর ইকবাল সহ আরো অনেকে ছিলো তখনকার জনপ্রিয় নায়ক নায়িকা।
সবাই মুখিয়ে থাকতো তখন বাংলা ছায়াছবি দেখার জন্য।যখন ছবিতে নায়ক ভিলেনকে মারতো তখন জোরে জোরে “মার মার”বলে চেঁচাতাম,আর নায়ক মার খেলে মন খারাপ করতাম।
বিশেষ করে নায়করা
যখন এক ই ছবি তে বিভিন্ন কন্ঠে গান তাইতো তখন ভাবতাম তারা মনেহয় অনেক কন্ঠে গাইতে পারে।
আর যখন বিজ্ঞাপন বিরতি দেয়া হতো তখন বিরক্ত হতাম আর হাতের আঙুল দিয়ে গুনতাম কয়টা এডবেরাইস(যাকে এখন শুদ্ধ ভাষায় বলে বিজ্ঞাপন) হলো।
এটার মাঝেও অনেক আনন্দ পেতাম।আরেক টা জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিলো হানিফ সংকেতের “ইত্যাদি”।প্রতি শনিবার রাত আটটার বাংলা সংবাদের পর অপেক্ষা করতাম কখন শুরু হবে ইত্যাদি।
আরেক মজার অনুষ্ঠান ছিল আলিফ লায়লা আর দা এডভেঞ্চার অফ সিন্দাবাদ।এগুলো ছিল তখনকার জনপ্রিয় টিভি প্রোগ্রাম। কত মজা ই না হতো তখন।
.
স্কুলে যাওয়ারা তখন আমাদের জন্য বিরাট আনন্দের বিষয় ছিলো।কে কার আগে বসবে,কে আগে এসেছে,কে আগে খাতা জমা দিবে তা নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলতো নিজেদের মাঝে।
এখনকার মতো এত চাপ ছিল না তখন,পড়া কে আনন্দের সাথে নিতাম,স্কুল ফাকিঁ দেয়া তো দুরে থাক, পারলে শুক্রবারেও স্কুলে যেতাম।এতটাই প্রিয় ছিল স্কুল।
স্কুলে যাওয়ার সময় দু টাকা করে দেয়া ছিলো বাধ্যতামূলক।সেই দুটাকা পেয়ে যতটা খুশি হতাম,সেই খুশি এখন হাজার টাকা পেলেও হতে পারি না।
বাকের ভাইয়ের আইসক্রিম না খেলে স্কুলে যাওয়াটাই বৃথা মনে হতো,ফাটা মিয়ার আচার না খেলে মনে তৃপ্তি ই পেতাম না,এক টাকায় চার টা বাবুল বিস্কুট কিনে কত মজা করেই না খেতাম।
।টিফিন টাইমে কোনমতে মুখে দুটো ভাত গুজে স্কুলে দৌড়ে আসতাম খেলা করার জন্য।যখন ছুটির ঘন্টা বাজতো তখন সমস্বরে,,,
“ছুটি,
গরম গরম রুটি,
এক কাপ চা,
সবাই মিলে খা”।
বলে ক্লাস থেকে বের হতাম।এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে স্কুল জিনিসটা আতংকের হলেও আমাদের সময় তা ছিলো মজার আরেক নাম।
.
ছোটবেলার খেলাগুলো ছিল চরম আনন্দের।একবেলা না খেয়ে থাকতে পারতাম কিন্তু না খেলে থাকতেই পারতাম না।স্কুল থেকে ফিরে ব্যাগ টা রেখে ই মাঠে ছুটতাম খেলতে।
কখনো লাটিম দিয়ে “ঘরকোপ “খেলতাম,কখনো গুল্লি(যাকে এখন বলে মার্বেল)দিয়ে “জইবাত বা আন্টুস”খেলতাম।
কখনো এখনকার ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য কাটা কোর্টের ন্যয় ঘর কেটে “দায়রা”খেলতাম।
ক্রিকেট আর ফুটবলের চেয়ে এগুলো ছিলো বেশী জনপ্রিয়।
আমাদের সময় ছেলেমেয়ের মাঝে কোন তফাৎ ছিলো না।সবাই একসাথে ই খেলতাম তখন।যৌনতা,নগ্নতা এসব কি সেটা তখনো জানতাম না।
ইচিং বিচিং,বরফ পানি,ফুলের টোকা,বৌছি,কুতকু
ত,ছোয়াঁছুয়ি,সাতচারা,মাংসচোর,সু
লতানা বিবিয়ানা,
রুটি পিটানটি,ডাংগুলিসহ আরো কত খেলা খেলতাম।যারা আমাদের চেয়ে বয়সে ছোট ছিলো তাদের দুধভাত হিসেবে নিতাম।এখন এসব খেলা সচরাচর চোখে পড়ে না বলা যায়।
.
ছোটবেলায় আমাদের খেলনাগুলো ছিলো প্রাণের চেয়েও প্রিয়।সেগুলো এমন যত্ন করে রাখতাম যেন ওগুলো নিজের সন্তান।ছোট মোটরে কাগজ ছিড়ে লাগিয়ে তারের সাথে পেন্সিল ব্যাটারি কানেকশন দিলে ই মোটরটা ঘুরতো আর হালকা বাতাস লাগতো।এতে এত মজা হতো যা বলার বাহিরে।
সবচেয়ে বেশী মজা হতো মেলা আসলে।মেলা আসলে ই বায়না ধরতাম খেলনা মোবাইল কেনার,যেগুলোর বাটনগুলো টিপলে কখনো “হ্যালো”বলতো,
আবার “ছাইয়া ছাইয়া”গান শোনাতো,আবার কুকুরের আওয়াজও হতো।তখনকার সময় এটা ছিল বিলাসবহুল খেলনা।
আরেকটা ছিলো রবোকোপ আর পিস্তল যেটাকে বলতাম ম্যাগাজিন ও ফাইভষ্টার বন্দুক।এগুলোর ভিতর গুলি (প্লাস্টিকের ছোট গোল বল) ভরে উপরের মাথা টা পেছনে টেনে সামনে এনে লোড করে ট্রিগার চাপতে ই ঠাস করে আওয়াজ হতো আর গুলি বের হতো।এগুলো ছাড়াও টিন দিয়ে তৈরী নৌকা, কলাগাছ দিয়ে তৈরী করা গরু আর লোহা গোল করে বানানো রিং, যা অপর একটি চিকন লোহার একপ্রান্ত চ্যাপ্টা করে গোল লোহাটাকে সামনে চালাতো,,,ছিলো আমাদের খেলনাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এছাড়া ইও ইও, পেপসির ঢাকনা (যেটাকে আমরা বলতাম মোটকা) ওটা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে সোজা করে তারকাটা দিয়ে ছোট্ট দুটো ছিদ্র করে……….
নায়লন সুতো ছিদ্রের ভেতর গলিয়ে হাতে পেচিয়েঁ টানতাম।
.
তখন পুতুলের বিয়ে ছিল অনেক আনন্দের একটি খেলা। অনেকে ই কাপড় দিয়ে পুতুল বানিয়ে সুতো দিয়ে চুল বানাতো, আর ম্যচের কাঠিতে কাপড় পেচিয়েঁ বানাতো হাত।
কলম দিয়ে আকাঁ হতো চোখ,নাক ও মুখ।কাপড় দিয়ে ই বানানো হতো পুতুলের জামা।ছেলে পুতুল আর মেয়ে পুতুলের বিয়েও দেয়া হতো অনুষ্ঠান করে।বরযাত্রী আসতো, খাওয়া দাওয়া হতো, এমনকি কান্নাও করা হতো মেয়ে পুতুলের বিদায়ের সময়।
তখন আরেকটা খেলা ছিল,যাকে আমরা বলতাম “জোলাবাতারি”।নাম টা হাস্যকর হলেও খেলাটা ছিল আমাদের অনেক প্রিয়।
সবার বাসা থেকে চাল,ডাল,তেল,নুন আর অনান্য জিনিস এনে নিজেরা চুলা খুড়ে রান্না করতাম।আসলে বড়রা ই রান্না করে দিতো,আমরা সাহায্য করতাম আর কি।
সেই খাবারগুলো অনেক তৃপ্তি ভরে খেতাম, যা এখনকার ফাইভষ্টার হোটেলের খাবারেও পাওয়া যাবে না।
.
ক্রিকেট ব্যট তখন এতটা সহজলভ্য ছিলো না।অনেকে ই লম্বা কাঠের একপ্রান্ত কেটে চিকন করে হাতল বানাতো।ওটা ই হতো আমাদের ব্যট।
আর এটা সহজে ভাঙতো না।যার ব্যট সে আউট হলে আরেকবার খেলতে পারবে এমনটা ছিলো অলিখিত নিয়ম।
ফল চুরি করা ছিলো আমাদের অন্যতম মজার খেলা।বিশেষ করে ডকইয়ার্ড(আমাদের এলাকার একটা জায়গা)এর গাছ থেকে আম,কাঠালঁ,পেপেঁ,পেয়ারা….
আর ঢেউয়াঁ চুরি করা ছিল আমাদের অন্যতম কাজ।এখানে কয়েকজন থাকতো,কেউ পাহারা দিতো যেন দাড়োয়ান আসলে ই খবর দেয়। চুরি করা ফলগুলো বেশ মজা করে কোথাও বসে খেতাম।
যদিও তা ঠিক ছিলো না,কিন্তু কিশোর বয়সের দুরন্তপনা এসব কি আর মানতে চায়!!
তখন কারো সাথে ঝগড়া হলে কাইন আঙুল দিয়ে কাট্টি নিতাম,আবার মিলে গেলে দুই আঙুল দিয়ে মিল নিতাম।এটা করলে আবারো আমরা বন্ধু হয়ে যেতাম আর কথা বলতে পারতাম।
অনেকে আবার হাত কেটে “রক্তের বন্ধু”হতাম।
হাত কেটে গেলে সেই কাটা আঙুলের সাথে বন্ধুর আঙুল মিলিয়ে রক্তের বন্ধু হতাম।তখন বিশ্বাস করতাম এই বন্ধুত্ব কখনো ছিড়েঁ যাবে না।
নদীতে গোছল করাটা ছিল বাধ্যতামূলক।নদীতে লাফালাফি, নদীর পাড়ের কাদাঁয় মাখামাখি করা,কে কতক্ষণ ডুব দিয়ে থাকতে পারে তা দেখা,
ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা,বালুর ট্রলার ধরা এসবের মাঝে যে অপরিসীম আনন্দ পেতাম তা আজো মনের মনিকোঠায় অম্লান হয়ে আছে।
.
সন্ধ্যায় সবাই পড়তে বসতাম।সামনে পেছনে হেলে পড়া মুখস্থ করতাম।
“মেঘনায় নামে ঢল,পুপুর সফর,ফাল্গুনে,কোলাব্যাঙ আর টুনটুনির গল্প”সহ আরো অনেক মজার মজার গল্প আর কবিতা যে ছিলো।যার কথা মনে পড়লে মনটা এক অদ্ভুত আনন্দে ভরে যায়।এখনকার মতো বইয়ের বোঝা ছিলো না আমাদের উপর।মনের আনন্দে পড়ালেখা করেছি আমরা।বইয়ের পাতায় পাতায় তখন যৌনতা ছিলো না, ছিল আনন্দ।
অংক করতে যদিও বিরক্ত লাগতো।
কি যে নল চৌবাচ্চা, ১ম পাইপ, ২য়
পাইপ। মাথা পুরো বিগড়ে দিতো।
কারেন্ট যাওয়া মানে আমাদের কাছে ঈদের চাদঁ রাত দেখার মত আনন্দের ছিলো।তখন চার্জার লাইট ছিলো না,মোম আর হারিকেন ই ছিলো ভরসা।
কারেন্ট গেলে আর আমাদের পায় কে!
যেদিন পড়ায় মন বসাতে পারতাম না সেদিন পড়তে বসলে ই দোয়া করতাম, “আল্লাহ, কারেন্ট যা”।
যেই কারেন্ট যেত অমনি সবাই একসাথে চিৎকার করে বেড়িয়ে আসতাম ঘর থেকে।
শুরু করতাম”চোখ পলান্তিস” খেলা (অন্ধকার থেকে লুকিয়ে থাকা একেক জনকে খুঁজে বের করা,যে চোর সে কাউকে আগে দেখলে “টিল্লো ”
বলতো আর যারা লুকিয়েছে তারা চোরকে আগে দেখলে বলতো “এডবেরাইস”। এই খেলাটাকে “টিল্লো এডবেরাইসও”বলতাম আমরা)।
.
চাদঁরাত আসলে আমাদের খুশিঁ ছিলো বাধভাঙা।ঈদের চাদঁ দেখার সাথে সাথে ই সব পিচ্ছিরা বের হয়ে আসতাম আর পাড়ায় পাড়ায় দল বেধে মিছিল করতে করতে ছড়া কাটতাম….
“এক দুই সাড়ে তিন
রাত পোহালেই ঈদের দিন।
মশা জ্বলে,
পায়খানার তলে।
হাসেঁর আন্ডা,মুরগির গু।
এলগু এলগু”।
এমন অনেক ছড়া কাটতাম আর আনন্দ করতাম।তখন মোবাইল থাকলেও তা এখনকার মতো এতোটা সহজলভ্য ছিলো না,হাতে গোনা দু চারজন ফোন ব্যবহার করতো।
ল্যান্ডলাইন ফোন তখন তুমুল জনপ্রিয় ছিলো।যারা বড়লোক তাদের বাসায় টেলিফোন থাকতো।মাঝে মাঝে ভাবতাম যার সাথে কথা বলছে সে মনেহয় ভিতরে ঢুকে বসে আছে।
তখন কার্ডের প্রচলন ছিল ব্যাপক। যাকে আমরা বলতাম “ভিউকার্ড”।ঈদ আসলে আমরা ঈদ কার্ড কিনতাম।আর ভেতরে”মিষ্টি মিষ্টি হাসিতে,
দাওয়াত দিলাম আসিতে”এমন ছন্দ লিখে বন্ধু বান্ধবদের দাওয়াত দিতাম।সবচেয়ে বেশী দামী ছিলো জরি ওয়ালা ঈদ কার্ড,,, সেটা
খুললে ই ভেতর থেকে অবিশ্বাস্য ভাবে মিউজিক
বাজতো।
ঈদের জামা ঈদের দিন ছাড়া কাউকে দেখাতাম না,
পুরানো হয়ে যাবে ভেবে। জামা লুকিয়ে রাখা ছিল
সেসময় আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।
.
মাঝে মাঝে ভাবুক হয়ে যেতাম।কত কলমের নিপ যে কামড়ে চ্যাপ্টা করে ফেলেছি ভাবুকতায় তার হিসেব নেই।ক্লাসে বসে বসে কলমের পেছনটা
চিবুতাম আর ভাবতাম যদি এখন ছাদ ভেঙে পড়ে তাহলে তাহলে কিভাবে পালাবো?জানালা ভাঙা যাবে তো? জানালার কাঠ ধরে পরখ করতাম।
পেন্সিলের রাবারকে(যাকে তখন বলতাম মুছুনি)
বিদেশি চকলেট ভেবে খেয়েছি তার হিসেব নেই।
পেন্সিলের মাথার রাবার খেয়ে
ফেলেছি কত হিসেব নেই। পেন্সিল কাটার(যাকে বলতাম চাছুনি)নিয়ে কত যে গবেষণা করেছি তা ভাবলে আজ হাসি পায়।
তখন কটকটি আর সমপাপড়িঁ ছিল মজার খাবারের আরেক নাম।সবাই অধির আগ্রহে অপেক্ষা করতাম কখন ফেরীওয়ালা এসে বলবে,,
“লাগবো নি পুরানা বই,প্লাস্টিক, ছেড়া জুতা, পুরানা লোহা লক্কড় দিয়ে কটকটি, সমপাপড়িঁ”।
কোন টাকা ই লাগতো না।
স্যকারিন মেশানো পয়সা আইসক্রিম খেয়ে জিব লাল করে ফেলতাম,আইসক্রিমের ভেতর আট আনা,পচিশঁ পয়সার কয়েন থাকতো।
আট আনার দুটো কয়েনে এক টাকা হলে ই আবারো পয়সা আইসক্রিম খেতাম।
.
আজো চোখ বন্ধ করলে সামনে ভেসে উঠে শৈশবের সোনালী সেই দিনগুলি।কত সুন্দর আর মজার ছিল সেই দিনগুলি।বর্তমান মডার্ন বিজ্ঞানের যুগে হারিয়ে গেছে আমার সেই দুরন্ত শৈশব, আমাকে করে দিয়েছে যন্ত্রমানব।তবুও একটু অবসরে বারে বারে ফিরে যাই পেছনে,,,যেখানে লুকিয়ে আছে আমার শৈশবের ছোট ছোট দুরন্তপনা আর আনন্দগুলো,,,
যা ভাবলে ই শরীর ও মনে এক অজানা পুলক অনুভূত হয়।যেগুলো স্মৃতিতে আজো অম্লান।শৈশব সেই দুরন্ত দিনগুলো
সারাজীবনের এক একটা উপাখ্যান যা ম্লান হবার ভাষা জানে না।ইশশশশ!! আবার যদি ফিরে যেতে পারতাম ছোটবেলার সেই দিনগুলিতে।
মনে কি পড়ে সেইসব দুরন্ত ও সোনালী দিনগুলির কথা……