কুকুরছানাটা

কুকুরছানাটা

প্রত্যেক দিনের মতন সেদিন বিকেলেও আমি পার্কে গেছিলাম খেলা করতে। বন্ধুদের সাথে খেলায় মত্ত এমন সময় হঠাত কুঁই কুঁই করে করুণ সুরে একটা কান্নার মতন আওয়াজ।দেখলাম কিছু দুষ্টু ছেলে একটা বাচ্ছা কুকুরকে তাক্‌ করে ঢিল ছুঁড়ছে। আমার খুব রাগ হল।আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে ছেলেগুলোকে বকা-ঝকা করে তাড়িয়ে দিলাম।

দেখলাম কুকুরছানাটা বেশ আহত,ঠিকমত হাঁটতে পারছেনা।আমি কোলে করে তাকে বাড়িতে নিয়ে এলাম।মা তাকে একবাটি গরম দুধ দিল।সে চুক্‌চুক্‌ করে দুধটুকু খেয়ে নিল।কালোসাদা রঙের কুকুরছানাটির নাম দিলাম শ্যাডো-ইংরেজীতে যার মানে ছায়া।রাতে বাবা অফিস থেকে ফেরার পর আমরা শ্যাডোকে পশুদের ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম।ডাক্তারবাবু তার পায়ে একটা ব্যাণ্ডেজ বেঁধে দিলেন।বাড়ি ফিরে শ্যাডোর কি আনন্দ !

টুক্‌টুক্‌ করে লেজ নাড়াচ্ছে আর আমার পেছন পেছন ছুটে বেড়াচ্ছে।বাবা আর মা শ্যাডোকে বাড়িতে রাখতে রাজী হল।সেই থেকে শ্যাডো আমার সবসময়ের সঙ্গী।আমার তো ভাই-বোন নেই তাই শ্যাডোকে আমি আমার নিজের ভাইয়ের মতন ই ভালোবাসি।এখন শ্যাডোর বয়স এক বছর।রোজ যখন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরি শ্যাডো লাফিয়ে উঠে আমাকে আদর করে।বিকেলে আমার সাথে খেলা করে।সন্ধ্যেবেলা যখন পড়াশোনা করতে বসি আমার পায়ের কাছে চুপটি করে শুয়ে থাকে শ্যাডো।রাত্তিরে আবার আমার সাথে ছাড়া ঘুমায়না।মা বলে শ্যাডোর নামকরণ সার্থক,ও সত্ত্যি ই আমার ছায়াসঙ্গী।

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত