প্রতিদিনের ন্যায় আজও খুব ভোর চলে আসলাম সেই চিরচেনা নদীর ঘাটে। প্রায় আসি এই ঘাটে। সকালে হাটলে শরীর ও মন বলে ভালো থাকে তাইতো প্রতিদিন চলে আসি আমাদের এলাকার ঐতিহাসিক যমুনার ঘাট।
প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক ভাবে বাসার দিকে রওনা দিচ্ছিলাম কিন্তু হঠাৎ আমার চোখ জোড়া আটকে গেল দুটো চোখ দেখে। এতো সুন্দর চোখ আমি কথনো দেখেনি। সাথে সাথে সেই মেয়ের চোখ দুটোর প্রেমে পড়ে গেলাম।
কি আর করার পরে সেই পিছু নিতে থাকলাম পরে দেখলাম মেয়েটা পার্শ্বে একটা জায়গাই প্রাইভেট পড়ার জন্য প্রবেশ করলো।
আজকের মনে চলে গেলাম বাসায়।
তারপর বাসায় গিয়ে আম্মুকে বল্লাম আম্মু খেতে দাও। সকলের নাস্তাটা করে একটা ঘুম দিবো ভাবলাম কিন্তু তা তো আর হলো না। যতো সমস্যাটা করলো আমার ছোট বোন। নাস্তা করার সময় ডিম নিয়ে ঝগড়া বেধে দিলো।
তারপর আমি বল্লাম,.,
-কিরে তুই আমার ডিম দিবি?
-কেন? দিবো তোকে? আম্মুতো শুধু আমায় দিয়েছে।
-ওই তুই একা একা খাবি আপু। একটুদে না আমার(অনুরোধ করে)
-দিবো না, দিবো না তোকে।
তারপর ওর কান ধরলাম চেপে। ও তখন আম্মু করতে লাগলো।
তখন আম্মু এসে বলতে লাগলো।
-এই তুই ওকে মারস কেন? তোরে এই (তরকারি কাটার চাকু কিন্তু।
-ও বাবারে তাহলে তুমি তো ফেমাস হয়ে যাবে?
-মানে?
-মানে, তুমি যদি আমার ছুরি দিয়ে কিছু করো তাহলে তোমার নাম কালকের পত্রিকায় হেট লাইনে থকবে যে, আজকে সেরা খবর মায়ের হাতে ছেলে খুন।
-ফাজলামো করস তাইনা। একটা চর মেয়ে তোর ২৮ টা দাত ফেলে দিবো বেয়াদপ।
-ওহ! এটা কিন্তু একটা ভালো বুদ্ধি।
-ঔই এটা আমার কি ভালো বুদ্ধি?
-তুমি ডাক্তারি না পড়ে তুমি ডাক্তার হয়ে যাবে।
-মানে?
-যদি করো ১টা দাত তোলা লাগে তুমি অল্প করে একটা চর দিবা আর কারো যদি ২ টা দাতে তোলা লাগে তাহলে একটু জরে দিবা এরকম যার যে রকম লাগবে।
-ওই হাদারাম তুই মেলা পাকছোছ যা পড়তে বস গা।
-হুম, ভালো কথা কলেই দুস।
তারপর আর কি করার একটু পড়ে চলে গেলাম কলেজে। বন্ধুদের সাথে আড্ডা ফাড্ডা দিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম।
তারপর পরের দিন ঠিক সময়ে হেটে চলে গেলাম আমার মনের মানুষ দেখার জন্য। এভাবে প্রতিদিন আমি তার পিছু পিছু যায় কিন্তু এর কয়েক দিনের মাঝে দুই একবার তাকিয়ে ছিলো আমার দিকে।
কিন্তু কোনো ভাবে আমার সাহস হচ্ছিল না তাকে আমার মনের কথা বলা জন্য।
কিন্তু হঠাৎ করে আমার জ্বর আসার কারণে আমি আর যেতে পারি নাই সকাল করে যেতে।
কিন্তু আমি ৪ দিন পরে গেলাম আবার তারপর হঠাৎ করে কে যেনে আমায় জোরে ধরলো। তারপর দেখি সে আর কেউ না এটা আমার প্রিয়তমা মানে যাকে প্রতিদির ফলো করছি।
তারপর সে বলতে লাগলো।
-তুমি এতো দিন কোথাই ছিলে? :'( :'(
-কেন? তুমি খুজেছিলে বুঝি?
-হুম। তুমি আমার প্রতিদিন ফলো করতে প্রথমে খারাপ লাগতো কিন্তু আমি তোমায় ভালোবেসে ফেলি কিন্তু তোমার অপেক্ষায় ছিলাম য তুমি কখন আমার প্রপোজ করবে কিন্তু তুমি হেরে গেলে। যানো তোমায় প্রতিদিন খুজেছি। কোথাই ছিলে তুমি?
-হঠাৎ করে আমি খুব অসুস্থ হয়ে পরি গো। তাই এতো দিন আসতে পারি নি।
-আর কোনোদিন হেরে যাবে না তো কথা দাও।
-ওকে ওকে কথা দিলাম।
-ওকে। আচ্ছা তোমার নাম টা কি?
-আমি তো হিমু। আর তুমি?
-আমি তো খুশি।
-চলো আমরা ও দিকে যায়।
-ওকে।
তারপর আমরা চলতে লাগলাম চলতি এক পথে যে পথ টা কথনো শেষ হবে।
কিন্তু কিছু সম্পর্ক স্থায়ী আর কিছু সম্পর্ক ক্ষনোস্থায়ী। কিন্তু সত্যি কারের ভালোবাসা গুলো একের অপরের উপর বিশ্বাস করে টিকে থাকে।।
সারা জীবন টিকে থাকুক ভালো থাকুক সত্যিকারের ভালোবাসা।
সবাই ভালো থাকবেন।
–
………………………………………..সমাপ্তি…………………………………………
গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প