রাতের অন্ধকারে এক নেকড়ে ঢুকেছিল মানুষের গ্রামে। সেখানে কুকুরেরা তাকে ঘিরে এমন কামড়েছিল যে প্রান যাবার দশা
হয়েছিল তার। কোনও রকমে প্রাণটা নিয়ে পালিয়ে আসতে পেরেছিল সে।
কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তার শরীরে কুকুরের কামড়ের ঘা বিষিয়ে উঠল। নেকড়ের হাঁটাচলার উপায় রইল না। যন্ত্রণায় কাতর হয়ে
এক গাছতলায় গোঁজ হয়ে পরে রইল।
বিষিয়ে ওঠা ক্ষতের যন্ত্রণার ওপর ছিল পেটের টান। বেচারা খিদেয় খুবই কাতর হয়ে পড়েছিল।
এমন সময় সে দেখতে পেল, খানিক দূর দিয়ে একটা ভেড়া চলে যাচ্ছে। ছুটে গিয়ে শিকার ধরবার উপায় নেই। তাই সে কাতর
গলায় ভেড়াকে ডেকে বলল, ও ভাই, শুনছো, একবারটি এদিকে এসো।
ডাক শুনে ভেড়া দাঁড়িয়ে পড়ল। কিন্তু এগিয়ে না এসে বলল, কি বলতে চাও বল – আমি এখান থেকেই শুনতে পাব।
নেকড়ে বলল, ভাই, ক্ষুধা পিপাসায় বড্ড কাতর হয়ে পড়েছি। তুমি যদি দয়া করে সামনের ঝরনা থেকে সামান্য জল এনে দাও,
প্রাণটা বাঁচে। খাবারের ব্যবস্তা আমার কাছেই রয়েছে।
শুনে ভেড়া বলল, ভাই, তোমার পিপাসার জল দিতে গিয়ে প্রাণটা দেওয়ার ইচ্ছে নেই। তুমি যে আমার ঘার ভেঙ্গেই তোমার
খাবারের ব্যবস্তা করতে চাইছ, তা আমি বুঝতে পারছি। এই বলে সে সেখান থেকে দৌরে চলে গেল।