নীলা:ঐ ওঠ।আজ তুমি ঘুমাতে পারব না।
নীল:কেন?
নীলা:আজ সারা রাত আমার সাথে ছাদে বসে চাঁদ দেখবে।আর আমার সাথে গল্প করবে।
নীল:পারব না না।আমার অনেক ঘুম পেয়েছে।তুমি আমার বালিশ দাও আমি ঘুমাব।
নীলা:না তুমি আমার সাথে ছাদে যাবে।
নীল:বললাম না পারব না।একা গিয়ে চাঁদ দেখ।
নীলা কান্না শুরু করে দিল।
নীল:এখান থেকে গিয়ে কান্না কর যাও।
নীলা একা একা ছাদে চলে গেল।নীলের একটু একটু ঘুমের ভাব এসেছিল তখনি কারও কান্নার আওয়াজ শুনতে পেল।নীলের
বুঝতে ধেরি হল না যে এটা কার কান্না।নীল ছাদে চলে গেল।তাদের পরিচয় দেওয়া হল না।নীল আর নীলা একে অপর কে অনেক
ভালবাসে।আর আজ তােদের বিয়ে হয়েছে।নীল দেখল নীলা কান্না করছে।নীল নীলা কে জড়িয়ে ধরল।
নীলা:আমাকে ছাড়ো।
নীল:অলে বাবা আমার বউ এর এত রাগ।
নীলা:ছাড়ো বলছি আমাকে।আমি তোমার কে হই।আমাকে এভাবে ধরার কোন অধিকার নেই তুমার।
নীল:সরি আর কখন এরকম করব না।রাগ কর না প্লিজ।এই দেখ কান ধরেছি।আর কখন এরকম করব না।
নীলা:তোমাকে ক্ষমা করা যাবে না।
নীল:প্লিজ বউ ক্ষমা করে দাও।
নীলা:ঐ যে মিস্টার কে আপনার বউ।
নীল:তুুমি।
নীলা:কে বলেছে আমি আপনার বউ।শুধু কবুল বললেই বউ হয়ে যায় না।বউ এর আবধার রাখতে হয়।
নীল:ওও তাই বুঝি।
নীলা:হুম।
নীল:তা আপনার কি আবধার রাখলে আপনি আমার বউ হবেন।
নীলা:আমকে এখন চুরি করে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে ফুচকা খাওয়াতে হবে।নদীর পাশে বসে আমার সাথে গল্প করতে হবে।
তারপর বাড়িতে এসে বাকি রাত টুকো ছাদে বসে আনার সাথে চাঁদ দেখতে হব।
নীল:(এত বড় মুশকিলে পড়েছি)ওকে নিয়ে যাব।কিন্তু তুমি আমার উপর রাগ করে থাকতে পারবে না।
নীলা:একটু মুচকি হাসি দিয়ে বলল,ওকে তোমাকে ক্ষমা করে দেব।
বলেই নীল কে জড়িয়ে ধরল।
নীল:ঐ তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরলে কেন।
নীলা:তুমি আমার স্বামী তাই।
নীল:ঐ যে মেডাম কবুল বললেই বউ হওয়া যায় না।স্বামী আবধার রাখতে হয়।
নীলা:আপনার কি আবধার।
নীল:আমাকে প্রতিদিন গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হবে।
নীলা আবার নীল কে জড়িয়ে ধরল।নীল নীলার কপালে চুমু দিল।তারপর তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে ফুচকা খেতে চলে গেল।