স্কুল থেকে শুরু করে চাকুরী জীবণ অনেক বন্ধু বানিয়েছি। কিন্তু কেউ সময়ের সাথে টিকে থাকিনি।
ব্যস্ততার আড়ালে ব্যস্ত হয়ে আমাকে ভুলে যায় তারা। এই, তোরাও তো ব্যস্ত।
কিন্তু আমায় কেন ভুলিসনি?
এটা সামনাসামনি বললে হয়তো হাসতে হাসতে বলতিস, তোর মতো অকর্মের মাথায় ঢোল পিটানোর জন্য আমরা এখনো তোর সাথে আছি।
আমি জানি, তোদের মনের কথা। তোর আমায় ভালোবাসিস খুব। আচ্ছা স্কুল থেকে শুরু করে ভার্সিটি জীবণে অনেক মেয়ে আমার জীবণে এসেছিলো।
বলেছিলো, ভালোবাসি, ছেড়ে যাবো না। কোথায় আজ সেই মেয়েগুলো? নেই! জানি, তারা থাকবেও না। থাকবি তুই, তোরা এবং আছিস।
মনে পড়ে সেদিন যেদিন প্রথম আমি প্রেমে ব্যর্থ হয়ে হতাশ মনে তোদের থেকে দূরে বসে সিগারেট টানতাম।
আর তোরা তখন আমায় বেশি করে বিরক্ত করে বলতিস, তুইতো মেয়ে রে, একটা ছেকা খেয়েই বেকা। চল, ঘুরে আসি তাহলে তোর দেবদাস মন ভালো হবে।
আর শোন পরেরবার এমন মেয়ে দেখে আবার প্রেম করিস যাতে ছেকা খেয়ে বেকা হস।
তোরা খুব বদের দল। বাসায় যেদিন আব্বু-আম্মু আমাকে রাগ করে বাসা থেকে বের করে দিতো সেদিন তোরা আমাকে সাথে নিয়ে আমায় বাসায় ঢুকিয়ে আমার মাকে বলতিস,
আন্টি আপনি শুধু ওঁকে বকাঝকা দিয়েছেন ওঁর ভুলের জন্য। আর আমরা ওঁকে পিটাইয়া শাসন করেছি।
এখন বেচারা অনেক মার খেয়েছে। আর কিছু বলেন না।
তখন আমার মা তোদের বলতো, বাবা মারলে কেনো। আমিতো………. বলেই মা চুপ হয়ে যেত।
আজ সবাই সবার কাজে ব্যস্ত। কেউ বিয়ে করে সংসার নিয়ে। কিন্তু আমরাও তো ব্যস্ত।
তবুও দেখ, প্রতি শুক্রবার মিযান ভাইয়ের চায়ের দোকানে আমাদের আড্ডার জমজমাট আসর।
আর গোধূলী বেলায় সব হারামী একসাথে মিলে হাসতে হাসতে দিগন্তের পথে হেটে চলা।
সত্যিই একসাথে যতক্ষণ থাকবো রসিকতায় মেতে থাকবো।
হয়তো তোরা আছিস বলেই কষ্ট নামক যন্ত্রণা এখনো বুঝিনি। খুব সুরে গাইতে ইচ্ছে করছে, তোরা ছিলি, তোরা আছিস, জানি তোরাই থাকবি। বন্ধুউউউ…….
.
হুম, আজ আইটির যুগে তোদের স্মার্ট ফোনে এই ম্যসেজটা না দিয়ে চিঠি পাঠালাম। কারণ কি জানিস, তোরা অপদার্থ।
কেন তোদের টাকা খরচ করে স্মার্টফোনে ম্যসেজ পাঠাবো। তাই পাতলা কাগজে চিঠিটা।
.
তোদের খুব ভালোবাসি রে। Sorry! তোদের না, তোদের বাবা-মাকে আমার বাব-মার মতো ভালোবাসি। আর তোরে ভাইয়ের মতো।