আমার ব্রেকআপ চাই অনু! বাদাম খাচ্ছিলাম হঠাত কথাটা শুনে খাওয়া থামিয়ে হা করে শুভ্র এর দিকে তাকিয়ে থেকে হা হা করে হাসতে লাগলাম।শুভ্র বিরক্ত হয়ে বলল
— আমি মজা করছি না অনু।আমি সত্যিই বলছি আমার মুক্তি চাই। আমি মুখে ভেতর একটা বাদাম ভরে খেতে খেতে বললাম
— সবসময়ই মজা ভালো লাগে না শুভ্র।এর আগেও এইভাবে আমাকে কত বকা বানিয়েছো আমি আমার তোমার কথায় বকা বানবো না বুঝেছো মিটার শুভ্র। শুভ্র বিরক্তির শুরে বলল
— অনুরাধা প্লিজ স্টপ ! আমি ছলছল চোখে শুভ্র এর দিকে তাকিয়ে আছি অনু থেকে ওর কাছে অনুরাধা হয়ে গেলাম কিছুক্ষন ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতাম বুঝলাম ও মজা করছে না।আমি কিছু না বলে কিছুক্ষন চুপ থাকতাম তারপর বললাম
— ঠিক আছে! শুভ্র বেশ অবাক হয়ে বলল
— তুমি আমাকে প্রশ্ন করবে না কেনো ব্রেকআপ করছি?
— না কারন তোমার ওপর বিশ্বাস আছে তুমি যা করবে সেটা ভেবে চিন্তে করবে।
কথাটা বলে এক মূহুর্ত আর দাঁড়ালাম না ছুটে চলে এলাম শুভ্র পেছন থেকে ডেকে চলেছে। কিন্তু আমি কোনো কিছুতে কান না দিয়ে গাড়িতে উঠে চলে এলাম।বাড়িতে ঢুকে কারো সাথে কথা না বলে। নিজের রুমে দরজা বন্ধ করে। বিছানায় গিয়ে শুয়ে ফুরফুরে কাঁদতে লাগলাম পাঁচবছরের সম্পর্ক আমাদের শুভ্র শেষ করে দিলো।এর আগেও মজা করেছে।এইসব নিয়ে কিন্তু কোনোদিন ভাবিনি ও সত্যি এমন করবে। বাবার একমাত্র মেয়ে আমি অনুরাধা সেন। অরুন সেন ও ইশিকা সেন এর মেয়ে। বাবার কাছে যা চেয়েছি তাই দিয়েছে।শুভ্র এর কথা বলতেই বাবা রাজি হয়ে গিয়েছিল আজ বাবার কথাটা বলতেই শুভ্র এর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম কিন্তু ও আমাকে নতুন চমক দিয়ে দিলো। সন্ধ্যা বেলায় ফ্রেশ হয়ে নিচে যেতেই আমি চমকে গেলাম শুভ্র আর তার মা বাবা আমাদের বাড়িতে মা বাবর সাথে কথা বলছে। আমি নিচে যেতেই শুভ্র এর মা বলল
— অনুরাধা মা এখানে এসো। আমি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।শুভ্র মুচকি হেসে বসা থেকে উঠে।আমার কাছে এসে বলল
— এপ্রিল ফুল। আমি অবাক হয়ে তাকালাম এপ্রিল ফুল।ও মাই গড আজ এপ্রিল মাসের এক তারিখ।আমি রাগি লুক নিয়ে শুভ্র এর দিকে তাকালাম শুভ্র ঢোক গিলে বলল
— আরে আমি ব্রেকআপ বলেছিলাম কারন। আমাদের রিলেশোনশিপ থেকে ব্রেকআপ করে।তোমাকে সারাজীবন এর জন্য আমার করতে চাই। তুমি পুরো কথাটা না শুনেই চলে এলে তোমার সাথে ব্রেকআপ করে আমি আমার অনুকে নিজের গার্লফ্রেন্ড থেকে বউ করতে চাই।আর আজ এপ্রিল মাসের এক তারিখ তাই ভাবলাম একটু এপ্রিল ফুল ও বানানো যাবে আর সারপ্রাইজ টাও দেবো। শুভ্র এর কথা গুলো আমার মাথার ওপর দিয়ে গেলো তবে এটা বুঝতে পারলাম এটা আমাকে বকা বানানোর জন্য।
— আমি তোমাকে বিয়ে করবো না।
— সরি বলছি তো অনু প্লিজ এমন করো না । শুভ্র মন খারাপ করে নেয়।আমি হা হা করে হাসতে হাসতে বললাম
— এপ্রিল ফুল। সবাই হাসতে লাগল।আমাদের দেখে। একবছর পূর্ণ হতে এলো আমাদের বিয়ের। অনেক আয়োজন করা হয়েছে।আমি রুমে রেডি হচ্ছি তখনই শুভ্র এসে বলল
— আমার ডিভোর্স লাগবে। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে বললাম
— এসব কি বলছো তুমি ডিভোর্স চাই ।ওকে ঠিক আছে কোনো প্রশ্ন করবো না তোমাকে। পেপারটা নিয়ে সাইন করে শিড়ি দিয়ে নিচে নামতেই চমকে উঠলাম সবাই হাত তালি দিচ্ছে শুভ্র হঠাত আমাকে কোলে তুলে নিয়ে বলল
— এপ্রিল ফুল। আমি শেষ এই এপ্রিল ফুলের জন্য আমার জানটা না কবে বেরিয়ে যায়।