গত একমাস হলো চুপচাপ হয়ে গেছে নৃত্য। ভালোবাসার মানুষটি অন্য খাঁচায় বন্দী তখন কি আর মনে স্বাদ আহ্লাদ থাকে। রুম থেকে জানালা দিয়ে আকাশ দেখা ছাড়া আর কি’বা করার আছে। কখনো পাল তোলা মেঘ কিংবা উড়ে যাওয়া পাখির সাথে কথা বলে নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা মাত্র। আবার কখনো কখনো বৃষ্টির সাথে ছোঁয়াছুঁয়ি, বারান্দায় ফুলের টবে বসে থাকা ফড়িংর সাথে গল্প করেই কাটে নৃত্যের অবহেলা সময়।
কলিং বেলের শব্দ। বেজেই চলেছে। নৃত্য ভাবতে শুরু করেছে – এই অসময়ে আবার কে আসলো? আর এতো বারবার কলিং বেল বাজানোর কি কোন মানে হয়? একদম বিরক্তিকর। ধ্যাত..!
ও, তুই! আয় ভিতরে আয়।
কেন? তুই কি অন্য কাউকে আশা করেছিলি?
আরে না। বারবার কলিং বেল….।
উহু, কেমন যেন একটা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
কি খবর? নতুন করে আবার প্রেমটেম করছিস নাকি?
তুইও না। বাদ দে তো এ-সব। আর ভালো লাগে না। কি খাবি বল?
ইয়ার্কি করছিলাম। ভাবলাম তোকে একটু….।
তোর খবর বল। কেমন চলছে?
আমার আর কি খবর! আগের মতোই চলছে। আজকে একটা নতুন…. সাথে দেখা করবো।
তুই পারিসও বটে। ছেলেরাও পাগল। জানা নেই শোনা নেই সবার সাথেই প্রেম করতে চাই।
চল, তুই রেডি হয়ে নে। আজকে তুই আর আমি যাবো।
না রে বৃত্ত! আমি যেতে পারবো না। আমার আর ভালো লাগে না এসব। তুই তো সবই জানিস।
তাতে কি হয়েছে? এভাবে আর কতোদিন? নতুন করে শুরু কর। দেখবি অনেক ভালো থাকবি।
না রে। আমাকে দিয়ে আর সম্ভব নয়।
নৃত্য, তুই আমার সবচেয়ে কাছের বান্ধবী। তোকে একটা কথা বলি। কিছু মনে করিস না। শোন, যে ছেলে ভালোবাসার টানে ফেরত আসেনি সে ছেলে আগরবাতির টানেও ফিরবে না।