বয়স

বয়স
ক্রাশের অফিসে নিয়োগ দিছে, একজন মহিলা সহযোগী লাগবে যার কাজ হলো চা টা বানিয়ে দিবে,অফিস ঘর ঝাড়ু দিবে এবং এটা ওটা এগিয়ে দিবে সবাইকে। নিয়োগটা আমার চোখে পড়তেই আমি দৌড়ে চলে গেলাম অফিসে। তাদের রিকুয়েস্ট করে বললাম,
-দেখেন আপনারা যে কাজের জন্য মহিলা নিবেন তারা এইট পাশ হলেও চলবে। আর আমি হলাম অনার্স পাশ।
-কোন প্রতিষ্ঠানে আমার না হলেও জুনিয়র অফিসার পোস্টে চাকরি হবে। কিন্তু তাও আমি এ কাজটা করতে চাই কারন আমি কোন কাজকে ছোট করে দেখিনা। তারপর তারা রাজি হয়ে গেলো এদিকে আমিও খুশি কারন আর যাই হোক সারাক্ষণ ক্রাশের আশেপাশে তো থাকতে পারবো। এভাবে প্রতিদিন আমার কাজ চলতে লাগলো ক্রাশকে এক কাপের বদলে দুকাপ চা খাওয়াই। খাইতে না চাইলেও তারে বুঝাই,
-স্যার সারাদিন কত্ত কাম করেন শইলে কত্ত ক্লানতি আসে চা খাইলে আপনার বালো ঠেকবো। তারপর একদিন অফিসে আট বছরে একটা বাচ্চা ছেলে এসে আমার ক্রাশকে বাবা বাবা করে ডাকছে। শুনে আমি ভাবলাম ভাইয়ের ছেলে টেলে হবে হয়তো। কারন এখনকার চাচারা ভাতিজাদের আদর করে বাবা ডাক শেখায়।
তাও মনে সন্দেহ থাকায় ক্রাশকে গিয়ে জিগায়লাম,
-বাচ্চাটা কি আপনার নিজের ছেলে স্যার? ক্রাশ যা শুনালো তাতে আমি দুশো ভোল্টেজের শক খেলাম।
-সে বলল হ্যা বাচ্চাটা আমার নিজের একমাত্র ছেলে। আর আমার নিজের একমাত্র মেয়েও আছে যে এবার কলেজে পড়বে। আমি আবুল হোসেনের মত বুকে হাত দিয়ে আ আ আ করতে করতে বললাম,
-আপনার বয়স কত জানতে পারি স্যার?
-কেন আমার বয়স দিয়া তুমি কি করবা যাও এককাপ চা বানিয়ে নিয়ে আস।
-আমি বললাম স্যার আমার কিছুদিন ছুটি লাগবো বাড়ি যামু।
অনেক অনুরোধ করে ছুটি নিয়ে রুমে ফিরলাম। রুমে ফিরে নাম্বার অফ করে প্রতিজ্ঞা করলাম ঐ দিকে আর কোনদিন যাবোনা। কয়দিন বিছানায় উল্টে পড়ে থাকলাম আর ভাবতে লাগলাম হায়রে জীবন!! চেহারা বা মানুষ দেখে ভাববার উপায় নাই যে বয়স কম না বেশি। বাই দা ওয়ে এখন আমি ঠিক আছি।
গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত