আমাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।!! জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।!! জীবনের প্রথম মাছ রান্না করেছি। একে তো মাছের পিস গুলোর বেহাল দশা , তার উপর আঁসটে গন্ধ।!! ছোট ভাই খেয়ে এখন পর্যন্ত তিন বার বমি করেছে, আব্বু পরিস্থিতি আন্দাজ করতে পেরে না খেয়েই অফিসে চলে গিয়েছে। ছোট ভাই রাহাদের পরীক্ষা চলছে, আম্মুকে বললাম তুমি ভাইকে পড়াও আমি এদিকটা সামলে নিচ্ছি। আম্মু সবকিছু বার বার করে বুঝিয়ে দিয়েও ভরসা পাচ্ছে না। আমি ওভার কনফিডেন্স দেখিয়ে বললাম,
— ইয়ে তো মেরে বা হাত কা খেল হ্যা!! ব্যাস, আমার কথায় শুনে আম্মু নিশ্চিন্তে আমার উপর সব দায়িত্ব দিয়ে দিলো।। আমার ওভার কনফিডেন্স এর ঠেলায় যে কি পরিণতি হয়েছে, এখন তা হারে হারে টের পাচ্ছি!! আম্মু আমার উপর চিল্লাপাল্লা করতে করতে হাপিয়ে গিয়েছে।ছোট ভাইটা পরীক্ষার মধ্যে আমার রান্না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তাই কথা টা একটু বেশিই শুনতে হচ্ছে।
—“” এতো বড় হয়েছে, কোন কাজের হয়নি। একটা রান্না পর্যন্ত করতে পারেনা!! পুরাই অকর্মা হয়েছে মেয়েটা।এতো করে শিখিয়ে দেওয়ার পরও রান্না টা ঠিকঠাক করতে পারলো না।!! একে দিয়ে আর কি হবে??!!””
— তুমি যেভাবে বলেছিলে, আমি তো সেভাবেই রান্না করেছি আম্মু।। বলে আমি চুপচাপ বকবকানি হজম করতে লাগলাম।। এক পর্যায়ে শান্ত হয়ে আম্মু জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলো,,
— আচ্ছা, রান্নায় মশলা দিয়েছিলি তো?
— হ্যাঁ, সব দিয়েছি।
— কিভাবে রান্না করেছিস, বলতো?? সবটা বললাম। আম্মু যেভাবে বলেছিলো, আমি ঠিক সেভাবেই রান্না করেছি।
—তাহলে তো এরকম হবার কথা নয়,,,!!! হ্যাঁরে, মাছ গুলো কয়বার ধুয়েছিলি?? আমার মস্তিষ্কে টুং করে একটা বারি পড়লো। মুখটা অবুঝ শিশুর মত করে বললাম,
— আমি তো ভেবেছিলাম, তুমি মাছ ধুয়েই রেখেছো!!!
গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প