রান্নাঘরে গিয়ে বউকে পিছন থেকে খোঁচা মারতেই বউ লাফ দিয়ে উঠলো। ভয়ে বুকে থুতু দিয়ে আমার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকালো। আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বউকে বললাম…
-কিচ্চে বউ! এমনে তাকাও কেন?
–এটা কি হলো? তুমি আমায় পিছন থেকে কাতুকুতু দিলে কেন?
-আমি কাতুকুতু দিতে যাব কোন দুঃখে? আমি তো তোমায় খোঁচা মেরেছি।
–কথা ঘোরাবে না তুমি? দেখছনা রান্না করছি, যদি তরকারি পরে যেত?
-পরবে কেন?
–তুমি জানোনা, আমার সুরসুরি আছে? সেইটা জানা স্বত্বেও তুমি আমায় কাতুকুতু দিয়েছো কেন?
-তো কিচ্চে?
–কিচ্চে মানে? যদি ভয় পেতাম খুব?
-তাই আমার কি?
জান্নাত আমার কথা শুনে ভ্রু-কুঁচকে তাকালো৷ আচমকা গরম খুন্তি দিয়ে আমার পাছায় বারি মারলো। ইরুউউউউ মা! গরমে ছ্যাঁকা খেলাম। খচ্চর বউ করছে কিরে! জান্নাকে কিছু বলতে যাব তার আগেই ও বলল….
–আমার সাথে ঘাউড়ামি করলে তার ফলাফল এমনিই হবে।
-তাই বলে অবলা জামাইর সাথে এমন করবে?
–ওমা আমি আবার কি করলাগো?
-পাছায় খুন্তি দিয়ে বারি মেরে বলছো কি করছি? ঢং করো?
–তো আমায় কেন কাতুকুতু দিলে?
-তার বদলে নাহয় তুমি আমায় কাতুকুতু দিতে। তাই বলে! পাছায় দাগ হয়েছে মনে হয়, মাগো জ্বলছে।
–হাহাহা উচিৎ হইছে এবার বোঝো মজা।
-দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা….
বলেই জান্নাতের দিকে এগুলাম। জান্নাতও নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত হলো। আমি কাতুকুতু দিতেই জান্নাত বলছে..’এই ভালো হবেনা বলে দিচ্ছি। এখন বেশি বেশি হচ্ছে কিন্তু… আউউউ আম্মাআআআ…’ ‘কি হয়েছে, এভাবে চিৎকার করছো কেন বউমা?’ পিছনে তাকিয়ে দেখি আম্মা। আমি নিজেকে ঠিক করে দাঁড়ালাম। আম্মা বলল….
–তুই এখানে কেন? আর বউমা কি হয়েছে? চিৎকার করছো কেন?
-দেখোনা মা তোমার ছেলে আমায় ডিস্টার্ব করছে ঠিকমতো রান্না করতে দিচ্ছেনা।
–কিরে তুই বউমাকে ডিস্টার্ব করছিস কেন?
-আমি কই ডিস্টার্ব করলাম? ও কেন আমায়…..
–তোকে কি! কি করছে বল?
-কিছু না?
বলেই আমি খুন্তির ছ্যাঁকা খাওয়া স্থান ঢলতে থাকলাম। আম্মা জান্নাতের দিকে তাকালো। জান্নাত মুচকি হেসে মাথা নিচু করে ফেলল। আবার আমার দিকে তাকিয়ে আম্মা বলল….
–সত্যি করে বলতো কি হয়েছে?
-কিছুনা মা…কি হবে! এমনই।
–তাহলে ওকে ডিস্টার্ব কেন করছিস? নিজেতো সারাদিন অকর্মার মতন ঘরে বসে থাকিস। বউ রান্না করছে, ওকেও এসে ডিস্টার্ব করছিস।
-ঠিক বলছো মা, সারাদিন শুধু জ্বালায় আমায়। (জান্নাত)
–যা এখান থেকে এখনি, কোন ডিস্টার্ব চলবেনা।
-তাই বলে সব দোস আমার?
–আবার মুখে মুখে কথা বলে..যা বলছি।
-সবসময় কি আ…
–যেতে বলছি কিন্তু এখান থেকে।
আমি অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। জান্নাত আম্মার পিছন থেকে জিহ্বা বের করে ভেংচি কাটলো। আমি চোখ বড়বড় করে তাকালাম। ‘যা বলছি’ আম্মার ধমক শুনে আমি পাছা ঢলতে ঢলতে রান্নাঘর থেকে চলে আসলাম। খুন্তিটা মনে হয় একটু বেশিই গরম ছিলো, এখনো পোড়াচ্ছে, মাগো! তোমাদের পরে দেখে নিব কুটনির দল।
গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প