ফিরে পাওয়া

ফিরে পাওয়া

ইদানীং আম্মুর মাথা বেথাটা এক্টু বেশিই বেরে গেছে। ভালো ডাক্তার পাচ্ছি না বিধায় চিকিৎসা করানো হচ্ছে না। এক কলিগ বল্লো তার যানা একজন ভালো ডাক্তার আছে তার চিকিৎসা নাকি ভালো! তাই তার কাছে নিয়ে গেলাম। কেবিনে ঢোকার আগে তার নামটা পরে এক্টু অবাক হয়ে গেলাম। ডা: রিয়া চৌধুরী মিম নামটা বেশ পরিচিত!

রিহাদ চৌধুরী আমার সামনে বসে আছেন, কিছুটা অসস্থি বোধের সাথে। রিহাদ চৌধুরী হচ্ছেন রিয়ার বাবা। রিয়া আমার গফ ওর জেদাজেদির কারনেই রিহাদ চৌধুরীর সাথে আমার দেখা করা। তিনি মুলত আমায় ডেকেছেন রিয়ার বিষয়ে কথা বলার জন্নে।

আম্মুকে নিয়ে ডাক্তার এর কেবিনে প্রবেশ করলাম। ডাক্তার অন্নদিকে মুখটা ফিরে বসে ছিলেন আমরা ভিতরে ঢুকতেই ওনি বসতে বল্লেন। ডাক্তার আমাদের দিকে তাকাতেই এক্টু না এক্টু বেশেই অবাক হয়ে গেলাম! “রিয়া” এতো দেখি রিয়া আমার প্রাত্তন। রিয়া আমাকে দেখেই অবাক হয়ে বল্লো তুমি, তুমি এখানে। ওর সাথে এভাবে দেখা হবে কখন ভাবি নি।

রিহাদ চৌধুরী আমার দিকে তাকিয়ে বল্লেন রিয়াকে ভুলে যাও। দেখো আমার মেয়েটাকে আমি অনেক ভালোবাসি তাই ওকে কিছু বলতে পারি নি। আমার একটা মাত্র মেয়ে ওকে আমি শুখি দেখতে চাই। আমার যানা মতে তোমার তেমন কিছুই নেই আমার মেয়েকে শুখি রাখার যন্নে। আর আমি কোন দিনো তোমার সাথে ওকে মেনে নিতে পারবো না। আমার মেয়েটার কোন আব্দার আমি ফেলতে পারি না। আমি জানি ওকে বল্লে ও অনেক কষ্ট পাবে তাই তোমায় ডেকে আনা। সেদিন কেনো জানি কথা গুলো একদম বুকে গিয়ে লেগেছিল জার কারনে সেদিনের পর থেকে রিয়ার সাথে আর কখনো যোগাযোগ রাখি নি।

মেয়েটা আগের থেকে এক্টু বেশেই সুন্দর হয়েছে। কিন্তু পরক্ষনেই মনো হল সে হয়তো এখন অন্ন কারো হয়েগেছে। তাই কথা না বারিয়ে বল্লাম হ্যা আমি। আম্মুর মাথা বেথাটা আগের থেকে বেরে গেছে তাই আসা। আমার কেনো যানি এই এসি রুমের মদ্ধেও দম বন্ধ হয়ে আসছিল। মেয়েটা আমার দিকে এখনো তাকিয়ে আছে। হঠাৎ রিয়া বল্লো তুমি জানো আমি তুমায় কতটা খুঁজেছি কিন্তু কোথাও পাই নি। আমি আর কথা না বারিয়ে আম্মুকে কেবিনে রেখে বেরিয়ে আসলাম। আসলে ওখানে আর এক্টু থাকলে আমার দম বন্ধ হয়ে আসত!

সেদিন কাওকে কিছু না বলে চলে এসে ছিলাম এন্নো শহরে। সেদিন খুব খারাপ লাগছিল। কেনো জানি রিহাদ চৌধুরীর কথা গুলো আমায় অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলছিল। সেদিন খুব অসহায় মনে হয়েছিলো আমায়। শুধু এটাই বলেই মনকে বুঝিয়েছি সে শুখে থাকলেই আমি শুখি।

বাসায় আজ বিরানি রান্না হয়েছে। কিন্তু বিরানির সাধটা কেনো যানি অন্ন রকম লাগছিল। তাই আম্মুকে জিজ্ঞাস করলাম বিরানি কি তুমি রান্না করেছো? পাসে থেকে সিফাদ বল্লো না ভাইয়া ভাবি রান্না করেছে। আহা ভাবির রান্না না শেই। আমি এক্টু অবাক হলাম ছোট ভাইয়ের কথা শুনে। ওকে জিজ্ঞাস করলাম ভাবি মানে কার ভাবি? ও বল্লো কেনো আমাদের ভাবি, রিয়া ভাবি! রিয়ার নামটা শুনেই আমি আবারো অবাক হলাম। এবার আম্মু বল্লো সেদিন তুই চলে যায়ার পর রিয়া আমায় সব বলেছে। তাই আমি আজ ওকে নিয়ে আসছি। মেয়েটা সেই সকালে এসেছে তোর জন্নে বসে আছে এখনো কিছু খায়নি। আমি আম্মুকে বল্লাম ও এখন কোথায়? আম্মু বল্লো তোর রুমে বসে আছে যা ডেকে নিয়ে আয়।

আমি খাবার এর প্লেটটা হাতে নিয়ে রুমে ঢুকলাম, মেয়েটা দেখি জালানা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে। শুনলাম তুমি কিছু খাওনি! আমার কথায় রিয়া আমার দিকে তাকালো। আমি না খেলেই বা কার কি? এই কতোগুল বছর চলে গেছে কই কেই তো বল্লো না খাওনি কেনো! আমি বল্লাম কেনো তোমার হাসবেন্ট বুঝি তোমায় বলে না। রিয়া বল্লো আমি এখনো বিয়ে করেনি, জাকে ভালোবাসি তাকে ছারা অন্ন কাওকে বিয়ে করা অসম্ভব। তুমি যানো তোমায় আমি কতটা খুঁজেছি কিন্তু কোথাও পাই নি। সেদিন তুমি চলে যায়ার পর তিন দিন কিচ্ছু খাইনি। পরে আব্বু আমার অবস্থা খারাপ দেখে বলেছিল যে তোমার সাথেই আমার বিয়ে দিবে। কিন্তু তোমায় আর খুজে পাওয়া যায় নি। আমি বল্লাম আগে খেয়ে নাও তার পর কথা বলি!

আমি রিয়াকে খাইয়ে দিচ্ছি আর রিয়া আমার দিকে তাকিয়ে আছে! আমি বল্লাম তুমি চাইলে প্রতিদিন তোমায় এভাবে খাইয়ে দিতে পারি। মেয়েটা আমার কথা শুনে আমায় জরিয়ে ধরে কান্না জরিত কন্ঠে বল্লো আমি রাজি। মেয়েটা এখনো কান্না করছে আমিও আর কান্না থামালাম না কাঁদুক না মেয়েটা এটাই যে তার শেষ কান্না।

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত