ব্রেকাপের পর কেটে গেছে দীর্ঘ এক বছর ।এই এক বছরে অপুকে ভীষণ মিস করেছি। প্রতিটা মুহুর্তে মিস করেছি। শেষমেশ এক রাতে আমার ফিল হলো আমি আসলে ছেলেটাকে এখনো ভালোবাসি। এফবিতে কালো হয়ে যাওয়া নামটার প্রিভিয়াস ম্যাসেজ ঘেটে ফোন নাম্বার বের করে কল দিলাম অপুকে। চারবার রিং হওয়ার পর ফোনটা রিসিভ হলো। ওপাশ থেকে ভেসে এলো ভালোলাগার সেই কণ্ঠস্বর!
– হ্যালো নিলিমা, সারাদিন এফবি যে আসো নি কেন?
– মানে? হ্যালো! কি বলছো?
– ওহ এরীন! জান তুমি ভালো আছো?
– আমি এরীন না।
– ওহ শিট, দিয়া। আমি স্যরি, আমি ভাবছি এরীন।
– আমি দিয়া ও না!
– নিশি, তাইনা? তোমাকে কতবার বলবো আমার এই রবি নাম্বারে কল দিবা না। কতবার বলবো? তুমি জানো এই ফোন আমার আম্মু ধরতে পারে। তাইলে আমাদের রিলেশানের পুরা বারোটা!
– হোয়াট! নিশিটা কে?
– ইয়ে তুমি নিশিও না? তাইলে অনু, রাইট? তুমি জানো আমি তোমাকে কত্তো মিস করি!
– ওহ মাই গড! এরা কারা? আর তুমি আমার কন্ঠ শুনেও!
– ইয়েস! গট ইট! মিলি সোনা, আমি তোমার কন্ঠ চিনবো না এইটা কোনো কথা বললা!
– হু দ্যা হেল ইজ মিলি?আমি গেছি এক বছর ও ঠিকমতো হয়নি আর তুমি!
– একবছর!ও এম জি, তিথি তুমি আমাকে পরিচয় তো দিবা। ইউ নো আমি গতকাল রাতেও তোমাকে স্বপ্নে দেখেছি। দেখি যে আমি আর তুমি হাত ধরে লেকের পাশে কাশবনের মধ্যে!
– চুকের পাশে কাশবন?? চুপকর। বান্দর। এই কাশবন আমি তোমার!
– এভাবে কথা বলতেছ ক্যান বাবু? তুমি তিথি না? তাইলে কে? তানহা, ইবন্তি, লামিয়া, সুুুমি,প্রিয়া, মলি, ইসরাত, মাইশি, আনিকা!
– আমি আয়শা!
-আয়শা ! তুমি ??নাম বলতে এতো দেরি করে কেউ? ইউ হ্যাভ নো আইডিয়া আমি তোমাকে এখনো কতটা ভালোবাসি। কতটা চাই। প্রতিটা মুহুর্তে আমার চোখের সামনে শুধুই তোমার সুন্দর মুখটা ভাসে। বাট একটা কথা, ইয়ে, মানে, তুমি কোন আয়শা? ঢাকা মেডিকেলের তানজিমা আয়শা নামের, নাকি ড্যাফোডিলের আয়শা চৌধুরী? যার সাথে বান্দরবান ট্যুরে গিয়ে প্রেম হলো!
– আমি জগন্নাথের আয়শা!
– ওহ, ঐ যে গালে টোল পড়ে, গত বছরের নভেম্বর- ডিসেম্বর দুই মাস আমাদের রিলেশান ছিলো। তুমি জানো ওই দুইটা মাস আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মাস। সবচে ভালোলাগার সময়! আমি এখনো তোমাকে ছাড়া আর কিচ্ছু ভাবিনা। আর কোনো মেয়েকে ভাবিনা। ওয়েট, ভাবনা! হ্যা ভাবনা। আচ্ছা তোমার একটা বান্ধবী ছিলো না, ঐ যে ভাবনা নাম?
– ইইই…
– ইয়েস, ট্রিপল ই। নর্থ সাউথ এ ট্রিপল ই নিয়ে পড়তো যে মেয়ে। ওর ফোন নাম্বারটা দিতে পারবা? প্লিজ!
-হোয়াই নট,এতো যে ভালবাসো তাঁর একটু খেজমত করতে হয়না বল!
-থ্যাংকস বাবু, আমি জানি তুমি আমার জন্য সব করতে পারবে।
-পারবো তো হারামজাদা,তোর বাসা মধ্য বাড্ডায় না,ওখানেই থাক।আইতেছি তোর সব প্রেমিকা নিয়া।