ফেসবুকে প্রেম করার ভিষন শখ।কিন্তু সমস্যা হলো রিয়েল আইডিতে প্রেম করা যাবে না।তাই একটা ফেক আইডি খুললাম।নাম দিলাম এন্জেলিনা সাদিয়া। আইডি খুলতেই সুন্দর সুন্দর ছেলেদের রিকুয়েস্ট দেখে আমিতো খুশিতে লুঙ্গি ড্যান্স দেওয়া শুরু করলাম।নিজেকে শান্ত করে কিছু ছেলের রিকুয়েস্ট এক্সসেপ্ট করে চ্যাট শুরু করলাম। কিন্তু নিজে থেকে আগে ম্যাসেজ দেওয়া যাবে না।তাই অপেক্ষা করছিলাম। দেখি কেউ দেয় কি না? অপেক্ষা বেশি সময় করতে হলো না।দেখি ফেমাস বয় নামক আইডি থেকে ম্যাসেজ-
-হ্যায়
-হ্যালো
-কেমন আছেন?
-জ্বি ভালো আপনি?
-জ্বি।কি করেন আপনি?
-এইতো পড়াশুনা করি।আপনি কি করেন?
-আমি ও। ইডেন কলেজে পড়াশুনা করি।
-ও মা আপনি ইডেন কলেজে পড়েন?কিন্তু ওটাতো মেয়ে যাইহোক আপনার পড়াশুনার স্যাবজেক্টটা কি?
-জ্বি আমি কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার নিয়ে পড়াশুনা করছি।
-কথা শুনে বেড থেকে পড়ে যাওয়ার উপক্রম।এই ছেলে নাকি ইডেন কলেজে পড়ে তাও আবার কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার বিষয়ে।ভাবা যায়।নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম আচ্ছা আপনার কি কোন গার্ল ফ্রেন্ড আছে?
-জ্বি না।তবে ভাবছি দেশের কাউকে বিয়ে করে বিদেশ চলে যাব তাকে নিয়ে।
-ওহ আচ্ছা।আপনি বিদেশ যাবেন?
-হ্যা।প্রত্যেক মাসে মাসে যায়।আমার বাবা মা ওখানেই থাকে।
-ওহ আচ্ছা।আর নিতে পারছিলাম না।তাকে বললাম আচ্ছা আমরা কি দেখা করতে পারি?
-হ্যা সিওর।
-প্রোফাইল পিকটা কি আপনার?
-না। আমি এর থেকেও সুন্দর।বুঝেনতো মেয়েরা বিরক্ত করে। এই জন্যই এই পিক দেওয়া।
-ওহ আচ্ছা।তাহলে কাল দেখা করি?
-হুম সিওর।
-আচ্ছা বাই।
-বাই।
বলদটাকে দেখার ভিষন ইচ্ছা হচ্ছিল।মানুষ মিথ্যা বলে জানতাম তাই বলে এতটা।একটু ভেবে বলাতো উচিত।পরেরদিন সকালে রেষ্টুরেন্ট গিয়ে দেখি কেউ একজন অপেক্ষা করছে।শার্টের বনর্না দিয়ে দিয়েছিল।তাই পেছন থেকে চিনতে আর সমস্যা হলো না।ভিতরে ঢুকতে যাব এমন সময় দেখি লোকটা উঠে দাঁড়িয়েছে।আমিও ভাবলাম যাক এই সুযোগে একটু দেখেনি।তারপর না হয় ভিতরে ঢুকবো।
লোকটা যেইনা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।আমি অবাক।থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।লোকটা আর কেউ না আমাদের বাসার ড্রাইভার করিম মিয়া। কোন মতে ইজ্জত নিয়ে পালালাম।ভাগ্যিস আগে মুখটা দেখছিলাম।না হলে নিজের ইজ্জতটা হারাতাম। নিজের মুখে নিজেই মারলাম।আর কোন দিন ফেসবুকে প্রেম করব না।আর ফেক আইডিতে তো জীবনেও না।রেষ্টুরেন্ট থেকে দৌড়াছি।গন্তব্য নিজের বাড়ি।আর জীবনে এই মুখো হবো না।