আজ নাকি প্রপোজ ডে, রুপন্তীর আম্মুরে প্রপোজ করার ঘটনাগুলো মনে পড়ে গেছে হঠাৎ। রুপন্তীর আম্মুকে একশো বার একশোরকম ভাবে প্রপোজ করেছি। কখনো তামিল মুভির নায়কদের মতো অসংখ্য গুন্ডা তার পেছনে লেলিয়ে দিয়ে ফাটা পোস্টার নিকলা হিরোর মতো এন্ট্রি মেরে তাকে বাচালাম।
পরে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েন্গেের শাহরুখের মতো অনেক কষ্টে পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি কোণে বাকিয়ে গিটার বাজিয়ে প্রপোজ করেছিলাম। বিশ্বাস করুন তিনদিন কোমরের ব্যাথায় নড়াচড়া করতে পারিনি। ব্ল্যাকমেইল স্টাইলেও প্রপোজ করে দেখেছিলাম, বলেছিলাম, আমি তোমাকে ভালবাসি তুমি হ্যাঁ বললে তো ভালো। কিন্তু না বললে তখন অন্য মেয়ে খুঁজতে হবে। আর সেটা তোমার বোন ও হতে পারে। পরে তার হাতির মতো মুটকি বোনটা কিছুদিন আমার পেছনে ছুটেছিল।
দশ তালা বিল্ডিং থেকে লাফ দেয়ার হুমকি দিয়ে প্রপোজ করেছিলাম, যদিও পকেটে প্যারাস্যুট ছিল। একশো টা আইফোন তার সামনে রেখেও প্রপোজ করে দেখেছিলাম। তবে আইফোনগুলো চায়নিস ভার্সন ছিল। জনপ্রতি পাঁচশো টাকা নাস্তার বিল দিয়ে পঞ্চাশ জন কলেজ স্টুডেন্ট কে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে বড়সড় একটা মাঠে ” I love u ” লেখে প্রোপোজ করেছিলাম। আজও তাদের নাস্তার বিল পরিশোধ করতে পারিনি।
একটা রামপুরী চাকু নিয়ে মাস্তানি ভাব লইয়াও গেছিলাম প্রপোজ করতে কিন্তু তার বডি বিল্ডার ভাই যে পেছনে ছিল তা খেয়াল করিনি উল্টো পিটুনি খাইছি। টি এস সির মাঝখানে দাঁড়িয়ে চিল্লায় চিল্লায় বলছিলাম ” I love u ” কিন্তু সে শুনলো না, পরে পুলিশ এসে ডান্ডা দিয়া পিটাইয়া থানায় নিয়ে গেল।
অতি আবেগে গাবতলী বাস স্টেশনের সামনে হাঁটু গেড়ে বসেও প্রপোজ করেছিলাম। ক্যান্ডেল কেনার টাকা ছিলনা তাই চেরাগ বাতি দিয়ে ডিনারের আয়োজন করেছিলাম। প্রপোজ করেছিলাম কবিতা লেখেও, শাশুড়ি আমার আস্ত বোকা শশুড় এক্কান খাসি, আমি তোমার হিরো আলম বড্ডো ভালোবাসি! এই কবিতা শুনে সে আমার পেছনে আট দশটা কুত্তা লাগিয়ে দিয়েছিল।
অনেক সহ্য করেছি, শেষমেষ ফাইনাল ডিসিসন নিলাম। রুপন্তীর আম্মুকে অন্য থেরাপিতে প্রপোজ করতে হবে। তাই, রুপন্তীর আম্মুরে একটা রুমে নিয়ে গিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দিয়ে জানালা দিয়ে একবস্তা তেলাপোকা ছেড়ে দিলাম। লও ঠ্যালা! যতক্ষণ ” I love u ” বলবে না ততোক্ষন দরজা খোলা হবে না। পরে কাঁদতে কাঁদতে I love u বলছে,