ওয়াশ রুমে বয়ফ্রেন্ড্ এর সাথে ফিসফিস করে কথা বলে যখন আধা ঘন্টা পর বের হলাম দেখি সামনে আম্মু দাড়িয়ে আছে। বুকের ভিতরে ঘন্টা বেজে উঠলো। আম্মু কিছু শুনেনিতো। তাই একটু সাধু ভাব নিয়ে বললাম , ” আম্মু !! এখানে কি করছো ? আম্মু ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে থেকে বললো , ” আমার ফোন টা দেখেছিস ? আমি উওর দিলাম , ” তোমার ফোন ! আমি জানবো কি ভাবে, দেখ আছে কোথাও । এই বলেই তাড়াহুড়ো করে আম্মুর বালিশের নিচে রেখে দিলাম ।
ঘুরে এসে আম্মু কে খুঁজে দিয়ে বললাম এই নাও তোমার ফোন। আম্মু ফোন নিয়ে চলে গেল। আমার ফোনে ব্যালেন্স ছিল না তাই আম্মুর টা নেওয়া । আরেক টু হলে বিপদে পড়তাম । যাক বাঁচা গেল। রাতে শুয়ে শুয়ে কথা বলছি এমন সময় আম্মু এসে বললো ,” হবে না তোর বাবার সাথে আমার সংসার হবে না । ” যদিও কথা টা আমার হাজার বার শুনা তবু ও মুখটা মলিন করে বললাম ,” কেন বাবা আবার কি করলো ? আম্মু রাগে ফুলতে ফুলতে বললো ,” পাশের বাসার ভাবির পোস্ট দেখে কমেন্টস করেছে ,'”” আহা কি অমায়িক মোচার ঘোন্ট । দেখলেই জিহ্বে জল আসে। , ইচ্ছে করে আবার ছোট বেলায় ফিরে যাই। “”
আচ্ছা তুই বল আমার রান্নার প্রশংসা কোনও দিন করেছে । এই বলেই আঁচলে চোখ মুছলো। অনেক ভেবে বললাম হুমমম জটিল সমস্যা । আম্মু তুমি এক কাজ করো। পাশের বাসার আন্টির থেকে ভাল ভাল রান্না করে ছবি আপলোড দাও তখন দেখবে বাবা জব্দ হয়ে যাবে । আম্মুর আইডিয়া টা মনে ধরলো। বললো ঠিক বলেছিস তাই করবো । আম্মু উঠে চলে গেল রান্না ঘরে । যাক বাঁচা গেল বুদ্ধি টা কাজে দেবে। ভাল মন্দ খাওয়াতো যাবে । আবার বয়ফ্রেন্ড্ এর সাথে কথায় মন দিলাম । দু দিন পর আবার এসে বললো , ” বুঝলি মা তোর বাবা ততোটা খারাপ না। যতোটা আমি মনে করি। আমি মনে মনে বললাম এ আবার নতুন কি।
আম্মু আমার পাশে বসে বললো জানিস এখন আমার রান্নার খুব প্রশংসা করে । পাশের বাসার ভাবি ও জব্দ । রোজ রোজ মাংস পোলাও বিরিয়ানি রান্না করে আপলোড দিচ্ছি । এবার বুঝুক মজা। আমি আম্মু কে বললাম ঠিক করেছো আম্মু । এই নিয়ম জারি রাখ। আম্মু রাতের মেনু কি হবে সেটা বানাতে উঠে চলে গেল । আমি আবার কথায় মন দিলাম । কিন্তু এখানে ও শান্তি নেই। ছোট বোনটা কান পেতে শুনতে থাকে আমার কথা । মিটমিট করে হাসবে আর বলবে ,বাবু ,” তুমি কি এখন খাবে ? আচ্ছা বাবু তুমি আজ কোন জামা টা পড়বে ?
আমি ওর দিকে তাকাতেই হাসতে হাসতে চলে যাবে । আম্মু আর ছোট বোনের যন্ত্রণায় আমার ওয়াশ রুমে যাওয়া ।
দু দিন পর আমি ওয়াশরুমে আবার ঢুকলাম ফোন নিয়ে । কথা বলতে বলতে কখন যে দুই ঘন্টা হয়ে গেছে বুঝতে পারিনি। হঠাত্ করে খেয়াল হলো আমি তো ওয়াশরুমে । তাড়াহুড়ো করে বের হতেই দেখি আম্মু বালিশ হাতে দাঁড়িয়ে আছে । আমাকে দেখে বললো , ” হলো তোর ? সেই কখন থেকে বালিশ হাতে দাড়িয়ে আছি। আমি একটু অবাক চোখে বললাম বালিশ দিয়ে আমি কি করবো ? আম্মু বললো , ” কেন এতো সময় ওয়াশরুমে থাকিস যদি ঘুম পায় এই জন্য । আমি আম্মুর কথা শুনে হা করে আছি। আম্মু বালিশটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে যেতে যেতে বললো , ” তোর বাবুটাকে একদিন বাসায় আসতে বলিস দেখবো কতো বড়ো হয়েছে ।
আমি আম্মুর কথা শুনে পুরাই অবাক । দুরে দাঁড়িয়ে ছোট বোনটা হাসছে আর বলছে বাবু বাসা থেকে রাজি হয়েছে তুমি আসছো তো ? আমি ওকে কপট রাগ দেখিয়ে এগিয়ে গেলাম বললাম দাঁড়া অনেক ফাজিল হয়ে গেছিস । আমি কাছে যেতেই ও দৌড়ে পালাতে পালাতে বললো , ” আপু বড়ো একটা ট্রিট দিস অনেক কষ্টে বাবা মা কে রাজি করিয়েছি।