গার্লফ্রেন্ড যাতনা

গার্লফ্রেন্ড যাতনা

বন্ধু নতুন DSLR কিনসে। সেই খুশীতে গার্লফ্রেন্ডের সাথে প্রতিদিন দুইবার দেখা করে, আর DSLR দিয়ে গার্লফ্রেন্ডের পিক তুলে দেয় দুইদিন আগে ওদের মিট হইছিল। ঐদিন নাকি বন্ধু গার্লফ্রেন্ডের পিক তুলতে গিয়া অন্য এক মেয়ের পিক তুইলা ফেলছে। আর এইটা নিয়েই ঝগড়া ওদের মধ্যে.. কাঁদো কাঁদো গলায় আমার বন্ধু আমাকে বলল,

— দোস্ত তুই তো সবই জানস.. কিছু একটা কর আমি বললাম, ওরে একটা ফোন দে

— আমার ফোন রিসিভ করে না।

— তোর অন্য নাম্বার দিয়ে ফোন দে?

— আরে ব্যাটা সব নাম্বার ব্লাক লিস্টে ফালাইয়া রাখছে..

— কস কি?

— হ। তুই এখন ওর নাম্বারে একটা ফোন দিয়া বল যে, নিশাত বিষ খাইছে। অনেক বেশি খাইয়া ফেলছে। তাই ঢাকা মেডিক্যালে ইমারজেন্সিতে ভর্তি আছে আমি ওর গার্লফ্রেন্ডের নাম্বারে দিলাম কল হেডফোনের একটা স্পিকার দিলাম বন্ধুর কানে, আর একটা আমার কানে…

— হ্যালো ভাইয়া……

—- ভালো আছ?

—- হ্যা ভাইয়া.. আপনি?

—- আমিও.. নিশাতের খবর কী জানো?

—- না। আর ঐ বাদরটার কথা জানতেও চাই না..

— আরে শোনো! ও খুব বিপদে আছে….

— না ভাইয়া। ওর কথা বলবেন না। রাখলাম তাহলে..

ফোনের লাইনটা কেটে গেলো। আবার ফোন দিলাম কিন্তু রিসিভ করলো না। বাধ্য হয়ে ম্যাসেজ করলাম  নিশাত এত্তোগুলা বিষ খেয়ে ফেলসে। এখন ঢাকা মেডিক্যালে জরুরী বিভাগে ভর্তি আছে”” কিছুক্ষন পরে ঐ নাম্বার থেকে কল আসলো…..

— ভাইয়া, সত্যি নিশাত বিষ খেয়েছে?

— আমাকে তোমার মিথ্যাবাদী মনে হইতাছে?

— না। ইয়েমানে ওর অবস্থা কী খুব খারাপ?

— হ্যাঁ। মারা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে….

— কী বলেন? সর্বনাশ!

— হ্যাঁ। তুমি তাড়াতাড়ি রেডি হও। আমি তোমাকে ওর কাছে নিয়ে যাব……

— ভাইয়া একটা কাজ করতে পারবেন?

— কি কাজ করতে হবে? ওকে অন্য কোনো মেডিক্যালে নিয়ে যেতে হবে?

— আরে না..

— তাহলে তোমার পরিচিত কোনো ভাল ডাক্তার আছে? তার কাছে ট্রিটমেন্ট করাতে হবে?

— ধুর ভাইয়া..

— তাহলে?

— ওর একটা DSLR ক্যামেরা আছে না, সেটা একটু ওর কাছ থেকে কালেক্ট করে আমাকে দিয়ে যাবেন। ঐ
ক্যামেরাটায় আমার অনেকগুলা পিক আছে। যদি ওর কিছু হয়ে যায় তাহলে আমার পিকগুলো আর পাব না.. প্লিজ ভাইয়া হেল্প মি.!

বন্ধুর দিকে তাকাইয়া দেখি ওর চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। তখন আমার পকেট থেকে ১০০টাকার নোট বের করে বললাম, “নে দোস্ত, আমাদের এলাকার ফার্মেসীতে ৫০টাকায় বিষ পাওয়া যায়। দুইটা খাইয়া
নিস।

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত