হেড স্যার প্রথম ক্লাসেই চেঁচিয়ে সবাই কে জানিয়ে দিয়ে গেলো আগামী ৭ দিনের মধ্যে সবার স্কুল ড্রেস তিনি দেখতে চান। ৭ দিন পর সবাই কে ড্রেস পড়ে স্কুলে আসতে হবে। যদি ড্রেস ছাড়া কেউ স্কুলে প্রবেশ করতে চায় তাহলে দারোয়ান তাকে প্রবেশ করতে দিবে না হেড স্যার তাকে কড়া নিদের্শ দিয়েছে। আর কেউ যদি পরপর তিন দিন ক্লাসে এ্যাবসেন্ট থাকে তাহলে তার বাসায় ফোন দেওয়া হবে। কথাগুলা বলে হেড স্যার চলে গেলেন।
.
হেড স্যার চলে যাওয়ার পর ক্লাস টিচার আমাদের দিকে তাকিয়ে বলতেছে, কিরে শুনলি তো স্যার কি বলে গেলো? এখন কি করবি? এতদিন তো ড্রেস ছাড়াই স্কুলে আসতি এখন তো ড্রেস তোদের পড়তেই হবে ( স্যারের এগুলা বলার কারণ আমরা ড্রেস পড়ি না যত কড়া নিয়মই করুক আমরা ড্রেস পড়ি নাই) আমরা সবাই বললাম স্যার সাত দিন তো আগে যাক তারপর দেখা যাবে কি হয়।
.
প্রথম ক্লাস শেষ করে আমরা কয়েকজন স্কুলের সামনে আম গাছের নিচে বসলাম। সবাই বলাবলি করছি এখন কি করবো? স্যার যে ভাবে বলে গেলো মনে তো হয় না সাতদিন পর ড্রেস ছাড়া ঢুকতে দিবে। আমার এক ফ্রেন্ড বললো টেনশন করিস না। সাত দিনে কেউ ড্রেস বানাতে পারবে না। তারপর দেখা যাবে কি হয়।
.
আসলে আমাদের ড্রেস না পড়ার কারণ হলো স্কুল ড্রেসের যে প্যান্ট সেটা ভাল না। সাদা শার্টের সাথে যে প্যান্ট ওটা কারো পছন্দ নয়। কালার তো একদম চৌকিদারের প্যান্টের মত। প্যান্ট আর সাদা শার্ট পড়লে চৌকিদার চৌকিদার ই লাগে। আবার এক দুই দিন পড়লে ভাঁজ হয়ে যায়। আর খুব তারাতারি নষ্ট হয়। তাই কেউ প্যান্ট পড়তো না কালো জিন্স আর শার্ট পড়তো অনেকেই। হেড স্যারকে অবশ্য বলা হয়েছিলো কালো প্যান্ট আর সাদা শার্টের কথা কিন্তু তিনি রাজি হন নাই।
.
আমাদের একটু চিন্তা বেশি হচ্ছে কারণ অন্য শ্রেণীর স্টুডেন্ট মাঝে মাঝে ড্রেস পরে স্কুলে আসলেও আমরা খুবই কম সময় ফুল ড্রেস পড়ে ক্লাস করছি। এর আগেও অবশ্য হেড স্যার ড্রেসের কথা বলছেন কিন্তু তাতে লাভ হয় নাই। কিন্তু এবার পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে হেড স্যার এইবার সত্যি সত্যি ড্রেস ছাড়া ক্লাস করতে দিবে না।
.
বড় সমস্যা হলো ড্রেস ছাড়া ক্লাস করতে দিবেন না ভাল কথা ক্লাস করলাম না। ক্লাস না করে ৪২০ মেরে ঘুরবো কি মজা আহা। কিন্তু ঝামেলা তো পরপর তিন দিন এ্যাবসেন্ট থাকলে বাড়িতে ফোন দিবে। ড্রেস ছাড়া ঢুকতেও দিবে না আবার তিন দিন পর বাড়িতে ফোন। মানে জলে কুমির আর ডাঙ্গায় বাঘ। তাছাড়া বাড়িতে বলছি ক্লাস করতে ড্রেস লাগে না। বাবা অনেকবার ড্রেস এর কথা বলছিলো আমি বানাতে নিষেধ করেছি। এখন যদি হেড স্যার বাবাকে ফোন দিয়ে বলে আপনার ছেলের ড্রেস নাই বলে পরপর তিন দিন ক্লাসে এ্যাবসেন্ট তাহলে বাবা আমার পিঠের উপর লাঠি দিয়ে আদর করবে। আর বাড়ি থেকে কিক মারবে। থাক আর কিছু ভাববো না তাহলে আবার ওয়াশরুমে যেতে হবে। হেড স্যার মনে হয় আমাদের ড্রেস পড়াই ক্লাস করায়ে ছাড়বে।
শেষ বয়সে স্যারের মাথায় এই ড্রেসের ভুতটা যে কেন চাপলো আল্লাহ্ ভাল জানে।
.
দেখতে দেখতে ৭দিন শেষ। হেড স্যারের কথা মতে আগামী কাল থেকে ড্রেস ছাড়া কেউ ক্লাস করতে পাড়বে না। আমি সবাই কে ফোন দিলাম ক্লাসে আসার জন্য এবং বললাম গেইট পর্যন্ত তো যাই তারপর দেখা যাবে কি হয়।
সবার সাথে ফোনে সাহস দেখিয়ে কথা বললাম ঠিকই কিন্তু বাকীরাত আল্লাহ্ করছি।
.
পরের দিন স্কুলে আসতে আমার পা কাপছে। ভাবছি স্যার যদি বাড়িতে ফোন দেয় তাহলে বাবা আমাকে, থাক বেশি ভাবলে আমার ওয়াশরুমে যেতে হবে তাছাড়া রাস্তায় ওয়াশরুম কই পাবো। বুক আর পা দুইটাই কাপতে কাপতে সবাই স্কুলের এসেই তো অবাক। গেইটে এসে যা দেখলাম সেটা দেখার জন্য কেউই প্রস্তুত ছিলাম না। গেইটে অনেকে ড্রেস ছাড়া দাড়িয়ে আছে। মানে ড্রেস নেই বলে তাদের ঢুকতে দেয় নাই। দারোয়ান বললো আগে হেড স্যার আসুক তারপর স্যার যা বলবে তাই হবে।
এটা দেখে আমরা তো সবাই ডান্স দেওয়া শুরু করে দিলাম।
.
আমরা সবাই তখন শিওর হলাম স্যার সবাইকে আজ ক্লাস করতে দিবে কারণ ৮০% ছাত্র আজ ড্রেস ছাড়া স্কুলে এসেছে।
এদের যদি ক্লাস করতে না দেয় তাহলে বেঞ্চ থাকবে শুধু। স্টুডেন্ট তো সব গেইটের বাহিরে।
.
অবশেষে ১০ টার দিকে হেড স্যার আসলো এবং আমাদের কথাকে সত্যি করে গেইটে যারা দাড়িয়ে ছিলো সবাইকে ক্লাস করার অনুমিত দিলেন।
.
প্রথম ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই হেড স্যার সবাইকে ডাকলেন ( ড্রেস ছাড়া তাদের) অফিসের সামনে। স্যারের কথা মত সবাই গেলাম। স্যার তখন রাগান্বিত কন্ঠে আমাদের উদ্দেশ্য বলছেন,
তোদের এত করে বলার পরও ড্রেস ছাড়া ক্লাসে আসার সাহস হয় কিভাবে? আমাদের কথা পছন্দ হয় না? কাল থেকে সবাই সাদা শার্ট পড়ে আসবি আর তিন দিন সময় দিলাম তিন দিন পর ফুল ড্রেস পড়ে ক্লাসে না আসলে সবাইকে গেইটে দাড়িয়ে থাকতে হবে। ভাবিস না আজকের মত প্রতিদিন তোরা ড্রেস ছাড়া গেইটে দাড়িয়ে থাকবি আর আমি আজকের মত প্রতিদিন ক্লাস করতে দেবো। তিন দিন সময় তারপর দেখবো ড্রেস ছাড়া কেমনে ক্লাস করিস।
.
স্যারের কথা শুনে আমরা সবাই একটা ডিসিশন নিলাম শুধু সাদা শার্ট পরবো না পরলে ফুল ড্রেস পরেই ক্লাস করবো। আর যতদিন কালো প্যান্ট দিবে না ততদিন ফুল ড্রেস আমরা পরছি না। কালকে কি হয় সেটা কালকেই দেখা যাবে।
.
আগামী কাল আমরা সবাই যোগাযোগ করে স্কুলে আসলাম। এসে দেখলাম সবাই সাদা শার্ট পড়ছে শুধু আমরা কয়েকজন বাদে। অবশেষে দারোয়ান কে বললাম আমরা ঢুকবো। দারোয়ান সরাসরি না বলে দিলো। এবং সে আরো বললো এতদিন তো তোমরা ড্রেস ছাড়াই ক্লাস করছো এখন কি করবে? আমি জানি সারা স্কুলের স্টুডেন্ট ড্রেস পড়লেও তোমরা পড়বে না। আর ড্রেস ছাড়া যখন পরপর তিন দিন এ্যাবসেন্ট থাকবে তখন তোমাদের সবার বাড়িতে ফোন দেওয়া হবে তখন মজা বুঝবে। দারোয়ানের কথা শুনে আমরা সবাই চলে আসি।
.
রাতে আমি সবাইকে ফোন দিয়ে ৮:৪৫ মিনিটে স্কুলে আসতে বললাম। সবাই একই প্রশ্ন করলো ক্লাস করতে পারবো না গিয়ে কি করবো? আমি বললাম সেটা আমি দেখবো তোদের আসার কথা আয়। সবাই আসতে রাজি হলো।
.
সবাইকে ফোন করার শেষ আমি শেষ এক বন্ধুকে ফোন দেই কারণ আমি জানি ওর সাদা শার্ট আছে যেটা মোটামুটি আমাদের সবার গায়ে লাগবে এবং আগামীকাল শার্টটা ব্যাগে করে আনতে বলি।
.
পরের দিন সবাই ৯টার মধ্যে স্কুলের গেইটে মিলিতো হলাম এবং পাশের একটা দোকানে গিয়ে দাড়ালাম আর যে ফ্রেন্ডকে শার্ট আনতে বলছিলাম তাকে জিজ্ঞাস করলাম শার্ট আনছিস নাকি? সে বললো হ্যাঁ আনছি। আমি ওকে শার্ট বের করতে বললাম।
.
ফ্রেন্ড শার্ট বের করে আমার হাতে দিলো। তারপর আমি বললাম এখন আমি যা বলি সবাই মনোযোগ দিয়ে শোন,
প্রথমে আমাদের মধ্যে কেউ একজন নিজের শার্ট খুলে সাদা শার্ট পড়ে ঢুকবি তারপর সোজা ক্লাসরুমে ব্যাগ রেখে সাদা শার্ট খুলবি আর এখন যেটা পড়ে আছিস ওটা পড়বি এবং দোতলা তে আসবি এখন তো মেয়েরা আসে নাই। তাই যেকোনো একটা ক্লাসরুমের জানালা দিয়ে সাদা শার্ট ফেলে দিবি আর আমি জানালার নিচেই থাকবো। তারপর আরেকজন সেইম ভাবে যা যা বললাম সেভাবে কাজ করবি। সবাই হা হা হা করে হেসে উঠলো আমার কথা শুনে। আর বললো তুই শালা পারিসও বটে।
.
আর এই ভাবে যদি সবাই গেইট দিয়ে ঢুকি তাহলে দারোয়ান আমাদের বাধা দিতে পারবে না। আর বুঝতেও পারবে না আমরা এক শার্ট পড়ে সবাই ক্লাসে ঢুকছি। তাছাড়া একবার ক্লাস রুমে ঢুকলে স্যার তো আর বের করে দিতে পারবে না। আর বাড়িতেও স্যার ফোন করতে পারবে না কারণ আমরা ক্লাসে যেভাবেই হোক উপস্থিত তো ছিলাম।
.
আমাদের ক্লাস রুমটা নিচ তলাতে আর রুমের সামনে পাচিল দেওয়া যার ফলে রুম থেকে কিছু বাইরে দিতে গেলে পাচিলে আটকা পড়বে। তাই শার্ট দেওয়ার জন্য দোতলায় মেয়েদের ক্লাস রুম থেকেই নিচে ফেলতে হয়েছিলো।
.
তারপর একএক করে সবাই এই সিস্টেমে ঢুকলো এবং সবার শেষে আমি। বলে রাখা ভাল আমাদের উচ্চতা আর শারীরিক গঠন প্রায় একই হওয়াতে একজনের শার্ট আরেকজন পড়তে খুব একটা সমস্যা হয় নাই।
.
গেইট দিয়ে যখন আমি ঢুকবো তখন দারোয়ান আমাকে ডেকে বললো, কি এবার তো শার্ট পরতে হলো। তবে সত্যি বলতে আমি তোমাদের এই অবস্থায় দেখে বিশ্বাস করতে পারি নি। আমি চিন্তাও করি নাই তোমরা শার্ট পড়বে। তবে আমি শিওর তোমাদের শার্ট পড়ার পিছনে তো রহস্য আছেই। হটাৎ করে চেঞ্জ হওয়ার বান্দতো তোমরা না। আমি তখন বললাম আপনি তো আমাদের মজা দেখাতে চাইছিলেন আজকে হেড স্যার আসলে মজা দেইখেন। কথাগুলা বলে সোজা ক্লাসে চলে আসলাম।
.
প্রথম ক্লাসের স্যার এসে যখন দেখলো আমাদের কারো গায়ে ড্রেসের শার্ট নাই স্যার সোজা হেড স্যারকে ফোন দিলো এবং আমাদের নিয়ে স্যারের রুমে গেলেন।
.
হেড স্যার তো আমাদের ড্রেসের শার্ট ছাড়া দেখে মাথা গরম। স্যার তো রেগে আগুন। সেই আগুন মাখা কন্ঠে আমাদের প্রশ্ন করলেন শার্ট কই আমাদের। আমরা সবাই চুপ। আর স্যারের সামনে চুপ থাকতে আমিই সবাই বলেছি। তোদের তো প্যান্ট নিয়ে সমস্যা আমি তো প্যান্ট পড়তে বলি নাই শুধু শার্ট পরতে বলছি তবুও শার্ট ছাড়া আসলি কেন? আর তোরা ঢুকলি কিভাবে? দারোয়ান তোদের ড্রেস ছাড়া ভিতরে আসতে দিলো কেন? ওকে দারোয়ান কে দেখছি এইবার। স্যার দারোয়ান কে তার রুমে ডেকে পাঠালেন।
.
একটু পর দারোয়ান আসলো। দারোয়ান যেই স্যারের সামনে দাড়িয়েছে স্যার অমনি শুরু করে দিলেন, আমি না তোমাকে বলেছি শার্ট না পরে আসলে কাউকে ভিতরে আসতে দিবে না। এত করে বলার পরও তুমি এদের ভিতরে আসতে দিলে কেন? আমার কথা তোমার কানে যায় না?
.
স্যারের কথা শেষ হওয়ার পর দারোয়ানের মুখের দিকে তাকাতেই হাসি পাচ্ছিলো খুব কিন্তু এই পরিস্থিতিতে হাসলে আমার ১২ বাজবে এটার কোনো ভুল নাই। তাই অনেক কষ্টে হাসি আটকালাম। আর মনে মনে বললাম বেটা আমাদের মজা দেখাতে চাও এবার দেখো কেমন লাগে হেডি স্যারের নীতিবাক্য শুনতে।
.
স্যারের ঝাড়ি শোনার পর দারোয়ান ভয়ে আর কথা বলতে পারছে না। তারপরেও কাপা কাপা গলায় বললো স্যার ওরা যখন ভিতরে ঢুকছিলো তখন সবাই শার্ট পরেই ঢুকছে। শার্ট ছাড়া কাউকে ভিতরে আসতে দেই নাই। হেড স্যার তখন বললো তাহলে শার্ট কই গেলো? দারোয়ান উত্তর দিলো ওরাই ভাল জানে।
.
স্যার একটু চুপ থাকার পর আমাদের প্রশ্ন করেন আচ্ছা কি করছিস বলতো? আমি জানি দারোয়ান মিথ্যা কথা বলছে না। তোরা ভিতরে আসলি কিভাবে খুলে বলতো। সবাই তখনো চুপ কেউ কোনো কথা বলছে না। আমি ভাবলাম উত্তর না দিলে স্যার আরো ক্ষেপে যাবে, এমনি যে পরিমাণ মটকা গরম হয়ছে এখন যদি চুপ থাকি তাহলে ১২ টা বাজাবে। তাই সাহস করে আমি স্যারকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যা কিছু করছি সব বললাম।
.
স্যার আমার কথা শোনার পর আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। স্যার হাসবে নাকি রাগ করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। নিজেই কনফিউজশন এ পরে যায়।
.
কয়েক মিনিট চুপ থাকার পর স্যার বলতেছে আমি জীবনে তোদের সাথে পারলাম না। আজকে কেমনে পারবো। অবশেষে স্যার হেসেই বললেন সত্যি তোরা পারিসও। এত শয়তানি বুদ্ধি যে তোদের মাথায় কেমনে আসে আমি নিজেও জানি না। আচ্ছা একটা কথা বলতো এই বুদ্ধি টা কার মাথা থেকে আসছে? সবাই এক বাক্যে বলে দিলো স্যার শাহরিয়ারের মাথা থেকে। আমি চিন্তা করলাম খাইছে রে এইবার। হেড স্যার আবার বাড়িতে ফোন না দেয় এই ভয়ে মাঝে থেকে দৌড় দিবো তখনই স্যার বললো শাহরিয়ার কে ধর শয়তান পালালো। সবাই আমাকে ধরে সামনে নিয়ে আসলো। হুম আমি জানতাম এটা তোরই কাজ। তুই ছাড়া এই বুদ্ধি কারো মাথায় আসার কথাও না। তুই পারিসও। তবে এই বুদ্ধি যদি পড়াশুনার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতিস তাহলে ভাল কিছু করতে পারতি। যাই হোক যা হইছে ঐ সব বাদ দে যা এখন ভাগ আর ক্লাস কর গিয়ে।
.
তারপর থেকে ড্রেস ছাড়াই আমরা ক্লাস করতাম। আর বিদয় অনুষ্ঠানে সবার সামনে আমাদের এই দুষ্টুমির কথা মাইকে বলেছিলেন স্যার সেদিন অনেক হেসেছিলাম। চলে আসার দিন স্যার আমাদের বলেছিলেন তোদের ভুলে গেলেও তোদের দুষ্টুমির কথা আমি ভুলতে পারবো না। সেখানে থাকিস ভাল থাকিস।
গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প