অটলবিহারী বাজপেয়ী কেন যে আমার দিকে রাগ-রাগ চোখে তাকালেন, তা আমি বুঝতেই পারলাম না!
স্থান : ন্যু ইয়র্ক। সাল ২০০৩, শরৎকাল। উপলক্ষ, এক পাঁচমিশেলি লেখক কবিসম্মেলন।
কারুর মাথায় এই পরিকল্পনা এসেছিল যে ভারতের বিভিন্ন ভাষার প্রতিনিধিমূলক লেখকদের সঙ্গে আমেরিকায় যেসব ভারতীয়রা লেখালিখি করেন (যাঁদের বলে ডায়াসপোরা) তাঁদের নিয়ে একটা সাহিত্যমেলা করতে হবে। বিশাল আয়োজন, তার খরচ দেবে কে?
ন্যু ইয়র্কে আতিথ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বিভিন্ন ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। আর প্লেন ভাড়ার জন্য আবেদন জানানো হয় এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে। আরও কেউ-কেউ সাহায্য করেছিলেন।
সাহিত্য অকাদেমির পদাধিকারবলে আমাদের এই ধরনের আমন্ত্রণ গ্রহণের কোনও অসুবিধে নেই। আমাদের প্লেন ভাড়া অকাদেমিই দেয়।
সেখানে পৌঁছে দেখা গেল, বিশাল আয়োজন বটে, কিন্তু সব মিলিয়ে জগাখিচুড়ি ব্যাপার। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে প্রচুর বক্তৃতা, আলোচনা ও রচনা পাঠের ব্যবস্থা বিভিন্ন ভাষায়, কোথাও কোথাও কোনও শ্রোতাই নেই।
যাই হোক, শেষ দিনের কবিসম্মেলনের কথা বলি।
সেসময় অটলবিহারী বাজপেয়ী ভারতের প্রধানমন্ত্রী, তিনিও ন ইয়র্কে এসেছেন রাষ্ট্রসংঘে ভাষণ দিতে। তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, কবি হিসেবে।
যথারীতি তিনি এলেন প্রায় এক ঘণ্টা দেরি করে। সেটাই তো রীতি। তিনি প্রদীপ জ্বালিয়ে উদবোধন করবেন, তাই একঘণ্টা অনুষ্ঠান শুরু না করে গুঞ্জন চলল।
বাজপেয়ীজি এসে পৌঁছবার পরে সিকিউরিটির হুড়োহুড়ি পড়ে গেল। এইসব ব্যাপার থেকে আমি সবসময় দূরে থাকতে চাই। কিন্তু এসে পড়েছি, বসে থাকতেই হবে।
বাজপেয়ীজি প্রথমে আসন গ্রহণ করলেন, মঞ্চে নয়, মঞ্চের পেছনে। তিনি সব লেখকদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। প্রায় তিরিশজন লেখক-লেখিকা, সকলের সঙ্গে আলাপ করবেন কী করে, তাঁর সময়ই-বা কোথায়? তখন ঠিক হল, সবাই লাইন করে দাঁড়াবে, তিনি একে একে প্রত্যেকের সঙ্গে করমর্দন করবেন। আমি ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়াতে চাই না। সরে পড়বার উপক্রম করেছিলাম, কিন্তু আমাদের সাহিত্য অকাদেমির সভাপতির অনুরোধে দাঁড়াতেই হল।
অটলবিহারী এক-একজন লেখকের নাম জেনে করমর্দন ও দু-একটি মিষ্টালাপ করছেন। যখন আমার নাম ঘোষণা করা হল, তিনি যেন কিছুটা চমকে উঠে আমার দিকে তাকালেন, দৃষ্টিতে খানিকটা রাগ-রাগ ভাব, কোনও কথা বললেন না। আমিও করমর্দনের জন্য হাত না বাড়িতেই চলে এলাম।
কেন তিনি ওরকমভাবে তাকালেন? আমাকে চেনা তো তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি নিশ্চয়ই আমার কোনও লেখা পড়েননি। বাংলা পড়তে পারেন কি না, তা-ও জানি না। হিন্দি-ইংরেজিতে আমার কিছু কিছু বইয়ের অনুবাদ আছে, তাও পড়ার সময় না পাওয়াই তাঁর পক্ষে স্বাভাবিক। তবে? একবার তিনি কলকাতায় কিছু লেখক-লেখিকাকে চায়ের আসরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমি সেখানে যাইনি, যেতে ইচ্ছে করেনি। সেই প্রত্যাখ্যান তিনি মনে রেখেছেন? বিশ্বাসযোগ্য নয়। আর-একবার, কলকাতা ঢাকা সরাসরি বাস যখন চালু হয়, তখন প্রথম দিনের বাসে একদল শিল্পী-লেখকদের পাঠানো হয় ঢাকায়। সেই দলে আমার নাম সুপারিশ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। দিল্লি থেকে কেটে দেওয়া হয় আমার নাম। তা নিয়ে অবশ্য জলঘোলা হয়। খবরের কাগজে লেখালেখি হয়েছিল। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু নাকি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ও-ব্যাপারে আপত্তি জানান। বাস-যাত্রার দেড়দিন আগে দিল্লির পররাষ্ট্র বিভাগ থেকে আমাকে জানানো হয় যে, ওই প্রতিনিধিদলে আমার ঠাঁই হয়েছে। তখন আমার খেলার পালা। আমি উত্তর দিলাম, এভাবে শেষ মুহূর্তের আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে আমি মোটেই রাজি নই। আমি ঢাকায় এমনিতে প্রায়ই যাই, ওভাবে যেতে আমার বয়ে গেছে!
সেই ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রী মনে রেখেছেন? তাঁর এত স্মৃতিশক্তি? বিশ্বাসযোগ্য নয়। যাই হোক, এত লেখকদের মধ্যে শুধু আমার প্রতিই কেন তিনি রাগত দৃষ্টিপাত করলেন, তা একটা ধাঁধাই রয়ে গেল।
এর পরের কবিতা পাঠের সময় কমে গেল অনেক। সাধারণত যা হয়। প্রথম দিকের কেউ-কেউ লম্বা কবিতা পড়েন, শেষের দিকের কবিদের ছোট করতে অনুরোধ জানানো হয়, একেবারে শেষের কয়েকজনকে বলা হয়, দু-মিনিট। অর্থাৎ ভারত থেকে বিমানে চেপে ন্যু ইয়র্ক গিয়ে কবিতা পাঠের জন্য মাত্র দু-মিনিট বরাদ্দ। আমি অবহেলার সঙ্গে ঠিক চার লাইনের একটি কবিতা পড়েছিলাম, তাতে উদ্যোক্তারাও অবাক হয়েছিলেন।
সেই সভায় অটলবিহারী একটি লিখিত বক্তৃতা এবং তিনটি কবিতা পাঠ করেন। শেষের কবিতাটি জনসাধারণের অনুরোধে। সেটি নাকি খুব জনপ্রিয় গানও হয়েছে। আমি হিন্দি তেমন বুঝি না। আমার পাশে-বসা প্রখ্যাত লেখক কমলেশ্বরকে জিগ্যেস করেছিলাম, কবিতা হিসেবে অটলবিহারী বাজপেয়ীর রচনার মান কেমন?
তিনি একটু চিন্তা করে বলেছিলেন, ক্লাস এইটের ছাত্রের রচনার মতন!
এবার আসল কবিসম্মেলনের কথা।
সেইসময়েই কানাডার রাজধানী অটোয়াতে একটি আন্তর্জাতিক’ কবিসম্মেলন চলছিল। অনেক জায়গাতেই কবিসম্মেলনকে এরকম ‘আন্তর্জাতিক’ কিংবা ‘বিশ্ব কবিসম্মেলন’ আখ্যা দেওয়া হয়। কিন্তু তার মধ্যে কারচুপি আছে। মাত্র পাঁচ-সাতটা দেশের কবিরাই সেখানে উপস্থিত থাকেন। অনেক জায়গায় এরা কবিদের গাড়ি ভাড়াও (অর্থাৎ বিমানের টিকিট) দেয় না, নিজেদের পয়সায় যেতে অনুরোধ করে। কানাডার এই কবিসম্মেলনটিও প্রায় সেই অবস্থা। আমি নিজের টাকা খরচ করে এ-অবধি কোনও কবিসম্মেলন বা সাহিত্যসভায় যাইনি, সেরকম আগ্রহও আমার নেই। আমি ওইসময় নিউ ইয়র্কে থাকছি জেনে অটোয়া সম্মেলনের কর্তৃপক্ষ আমাকে আগে থেকেই আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছিল। ন্যু ইয়র্ক থেকে অটোয়ার ভাড়া বেশি নয়, ওটুকু তারা দিয়ে দেবে। তাই সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি।
আসলে সে-যাত্রায় অটোয়া যাওয়ার ইচ্ছে এমনিতেই ছিল। স্বাতী আমার সঙ্গে এসেছে। অটোয়াতে ঠিক ওর পরের বোন জয়তী থাকে, তার সঙ্গে সে তো দেখা করতে যাবেই। আমারও ওই শ্যালিকার সঙ্গে সাক্ষাতের বাসনা ছিল।
অটোয়ায় নেমে একটা বিচিত্র ব্যাপার ঘটল। জয়তী এসেছে আমাদের নিতে, কমিসম্মেলনের একজন প্রতিনিধিও উপস্থিত। আমি আর স্বাতী থাকব জয়তীর কাছে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কবিসম্মেলনের প্রতিনিধিটি বললেন, তা তো হবে না, আমার ওপর নির্দেশ আছে আপনাদের হোটেলে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে অন্য কবিরা আছেন। সেখানেই একসঙ্গে থাকবেন আপনারা, সেটাই আমাদের রীতি।
অনেক আলাপ-আলোচনার পরও প্রতিনিধিটি জেদ ধরে রইলেন। জয়তীরও দাবি, তার বাড়িতে আমাদের নিয়ে যাবেই, সে সব ব্যবস্থা করে রেখেছে।
শেষ পর্যন্ত একটা ভাগাভাগির ব্যবস্থা হল।
স্বাতী যাবে তার বোনের বাড়িতে, আমি যাব হোটেলে। এই ব্যবস্থায় আমি উপকৃতই হয়েছিলাম, নইলে অনেককিছুই আমার অজানা থেকে যেত।
এরকম হোটেলে আমি আগে থাকিনি। এ-হোটেলে কোনও ঘর নেই, সব সুইট। অর্থাৎ স্বয়ংসম্পূর্ণ অ্যাপার্টমেন্টের মতন। দুখানা শয়নকক্ষ, একটি বসবার ঘর, একটি খাবারঘর, রান্নাঘর ও দুটো বাথরুম। সবই সুসজ্জিত। এমনকি রান্নাঘরের চা-দুধ নানারকম বিস্কিট (ওদেশে বলে কুকি) রয়েছে। এতবড়ো ফ্ল্যাটে আমি একা! নিশ্চয়ই খুব দামি। যারা প্লেন ভাড়া দিতে পারে না, তারা এত দামি হোটেলের ব্যবস্থা করে কীভাবে? হয়তো কেউ স্পনসর করেছে।
এই হোটেলের দশতলার একটি সুইটে কবিতা উৎসবের কার্যালয়। সেখানে সব কবিরা জমায়েত হন। সেখানে রয়েছে নানাবিধ রাশি-রাশি খাদ্য এবং প্রচুর বিয়ার ও লাল মদ। লেখক-লেখিকারা সেখানে আড্ডা দেন এবং পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত হন।
প্রথমেই নতুন কারুর সঙ্গে সহজভাবে ভাব জমাবার ক্ষমতা আমার নেই। একপাশে বসে পাত্র হাতে নিয়ে অন্যদের কথা শুনি। ইংরেজি ভাষার কবি ছাড়াও রয়েছেন কিছু
স্প্যানিশ ও ইতালিয়ান ভাষার কবি, এঁরা সকলেই আমেরিকাপ্রবাসী, একজন শুধু এসেছেন ফরাসি দেশ থেকে। এই হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক’। অনেক পোস্টারে আমার নাম ঘোষণা করে বলা আছে, ভারতের প্রতিনিধি কবি। আমার ভাষার কোনও উল্লেখ নেই।
প্রথম সন্ধ্যায় কারুর সঙ্গে আলাপ না করে শুধু শুনে গেলাম। দ্বিতীয় দিন কিছুক্ষণ বসে থাকার পর ভারী কোমল চেহারার এক যুব তাঁকে বললাম, তুমি স্প্যানিশ ভাষায় কবিতা লেখো, তা শুনেছি। আমি বাংলা ভাষায় লিখি।
মেয়েটি অবাক চোখে চেয়ে বলল, বাংলা!
তুমি বাংলা ভাষার নাম শোনোনি?
সে দুদিকে মাথা নাড়ল।
আমি বললাম। আমি স্প্যানিশ ভাষায় কিছু কবি-লেখকের রচনার সঙ্গে পরিচিত। যেমন, লোরকা, নেরুদা, ওনামুনো। হিমেনেথের একটি কবিতা আমার এত প্রিয় যে মুখস্থ :
–ওখানে কেউ না। জল।–কেউ না।
জল কি কেউ না?–ওখানে
কেউ না। ফুল।–ওখানে কেউ না?
তবু ফুল কি কেউ না?
-–ওখানে কেউ না। হাওয়া।–কেউ না?
হাওয়া কি কেউ না?—কেউ
না। মায়া।–ওখানে কেউ না? আর
মায়া কি কেউ না?
কবিতাটি আবৃত্তি করার পর জিগ্যেস করলাম, আর তুমি বাংলা ভাষার নামই শোনোনি? তুমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম শুনেছ?
মেয়েটি অপরাধীর মতন মুখ করে বলল, না শুনিনি। আমাকে মাপ করো। আমি ইংরেজি খুব কম জানি।
সেখানে উপস্থিত প্রায় দশ-বারোজন নারী ও পুরুষ কবি, বিভিন্ন বয়েসি। আমি জনে জনে ওই একটি প্রশ্ন করতে লাগলাম।
তাজ্জব ব্যাপার। কেউই বাংলাভাষা কিংবা রবীন্দ্রনাথের অস্তিত্ব সম্পর্কে অবহিত নন।
একজন প্রবীণ কবি শুধু বললেন, তিনি শুনেছেন, বাংলাদেশ নামে একটা দেশ আছে, সেখানকার ভাষা কি বাংলা? আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামটা তিনি অনেক বয়েসে কোনও সূত্রে শুনেছেন বটে, কিন্তু তাঁর লেখা কিছুই পড়েননি!
আমি কি একদল মূখের মধ্যে এসে পড়লাম! নাকি অন্যান্য ভাষার কবিদের কাছে বাংলা ও রবীন্দ্রনাথের এখন এই অবস্থা?
কবিসম্মেলন টানা দশ দিনের। শুধু সন্ধেবেলা দু-এক ঘণ্টা। প্রতি সন্ধ্যায় পাঁচজন করে কবি, প্রত্যেকের কবিতা পাঠের জন্য বরাদ্দ সময় কুড়ি মিনিট। জাতীয় গ্রন্থাগারের একটি হলে এই আসর বসে, শ্রোতা-দর্শক শ-খানেকের বেশি নয়। তাদের হাতে ওয়াইন বা বিয়ারের গেলাস থাকতেও পারে। তাতে কোনও বাধা নেই।
আমি ঠিক করলাম, এখানে আমার কবিতা পাঠ করা এমন কিছু প্রয়োজনীয় নয়। আমার জন্য নির্ধারিত সময়ের পনেরো মিনিটই ব্যয় করলাম বাংলা ভাষা ও রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত বিষয়ে। সবাইকে জানিয়ে দিলাম। বাংলা ভাষা পৃথিবীর প্রধান ভাষাগুলির মধ্যে পঞ্চম, ফরাসি-জার্মান-রাশিয়ানের থেকে অনেক বেশিসংখ্যক মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। এই ভাষায় অত্যন্ত উন্নত সাহিত্য রচিত হয়েছে, বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে যারা অজ্ঞ, তাদের বিশ্বসাহিত্যের জ্ঞান সম্পূর্ণ হতে পারে না!
অনুষ্ঠান শেষে বাইরে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছি। অটোয়ায় কয়েকজন বাঙালি এসেছেন, টরেন্টো থেকে সস্ত্রীক অশোক চক্রবর্তী এসেছেন আমার কবিতা শুনতে ও আড্ডা দিতে। এর সঙ্গে একজন মধ্যবয়স্কা শ্বেতাঙ্গিনী এসে বললেন, আপনাকে কি একটু বিরক্তি করতে পারি? আমি এখানকার লাইব্রেরিয়ান। আপনার কাছে একটা সাহায্য চাই। এই গ্রন্থাগার ভবনটি যখন তৈরি হয়, তখন বড় হলঘরটির দেওয়ালে, অনেক উঁচুতে বিশ্বের কয়েকজন বিখ্যাত কবি-লেখকের মূর্তির মুরাল তৈরি করা হয়েছিল, তার মধ্যে একজনকে এখন কেউ চিনতে পারে না। তলায় নাম লেখা নেই, কেউ সঠিক বলতে পারে না, কে ইনি। আপনি একটু দেখবেন? যদি আপনি চিনতে পারেন
তাঁর সঙ্গে গেলাম সেই হলঘরে। অনেক উঁচুতে কয়েকজন লেখকের পূর্ণাঙ্গ প্রতিকৃতি।
দান্তে, শেকসপিয়র, টলস্টয়ের পাশে…আর কে? আমাদের রবীন্দ্রনাথ! বিশ্ব সাহিত্যিকদের মধ্যে এখনও তাঁর স্থান রয়েছে এখানে।
রবীন্দ্রনাথ যেন আমাদের দিকেই তাকিয়ে আছেন। উজ্জ্বল চক্ষু, মুখে স্নিগ্ধ হাস্য।
মন থেকে সব ক্ষোভ দূর হয়ে গেল।