বেলজিয়ামে লিয়েজ নামে একটি বেশ ছোট্ট শহর আছে। এই শহরের তেমন কোনও বৈশিষ্ট্য নেই, একসময় ছিল কয়লাখনির শহর, এখন আর কয়লা তোলা হয় না, সেই খনিকেই সুন্দর করে সাজিয়েগুছিয়ে দ্রষ্টব্য স্থান করে রাখা হয়েছে।
আর যারা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের খুঁটিনাটি ইতিহাস জানে, তাদের মনে পড়বে এই লিয়েজ শহরে সাংঘাতিক যুদ্ধ হয়েছিল, তা নিয়ে কয়েকটা ফিলমও তোলা হয়েছে। বর্তমানে অবশ্য সে-যুদ্ধের সামান্য চিহ্নও নেই, কোনও ধ্বংসের স্মৃতিও নেই, পুরো শহরটাই রূপকথার ছবির মতন। বেলজিয়াম, হল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক এইসব ছোট ছোট দেশ, পুরো জনসংখ্যা আমাদের একটা শহরের চেয়েও কম। যেমন, গোটা নরওয়ের লোকসংখ্যা শুধু উত্তর কলকাতার সমান। কিন্তু এরা প্রতিটি বাড়ি, প্রতিটি রাস্তা খুব চমৎকার করে সাজিয়ে রাখে। এদের মতন সৌন্দর্যবোধ আমাদের নেই, কিংবা রুচি থাকলেও জনসংখ্যার চাপে সামর্থ্য নেই।
লিয়েজের মতন একটা ছোট শহরেও প্রতি দু-বছর অন্তর এক বিরাট আকারের কবিসম্মেলন হয়। এরা বলে বিশ্ব কবিসম্মেলন, কিন্তু পশ্চিমি বিশ্বের কবিরাই গরিষ্ঠসংখ্যক প্রতিনিধি।
একবার ভারত থেকে শুধু আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তার অবশ্য একটা কারণ আছে।
এর আগেই একজন বেলজিয়ান কবির সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল কলকাতায়। তার নাম ভ্যারনাম ল্যামবারসি। সে এসেছিল ভারত সরকারের আমন্ত্রণে এদেশ সফরে। আই সি সি আর-এর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস) লোকেরা তাকে নিয়ে এসেছিল আমার বাড়িতে। এরকম তো মাঝে-মাঝেই কিছু গণমান্য লোক আসে, তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ শুকনো ভদ্রতার কথা হয়, তারপর তাদের নামও ভুলে যাই।
ভ্যারনার ল্যামবারসির ক্ষেত্রেও হয়তো সেইরকমই হত। কিন্তু সে ফিরে গিয়ে একটা চিঠি লিখল। সেই সঙ্গে আমার বাড়ির কয়েকটি ছবি। আমার চিঠি লেখার ব্যাপারে আলস্য আছে। তবু ভদ্রতা করে তাকে আমি একটা উত্তর দিয়েছিলাম। কিছুদিন পর সে আবার একটা চিঠিতে জানাল যে সে নতুন বিয়ে করেছে (দ্বিতীয় বিয়ে) এবং নবোঢ়া পত্নীকে নিয়ে হনিমুন করতে চায় ভারতে এসে, তা-ও আর কোনও শহরে নয়, কলকাতায়। সে
কোনও হোটেলেও থাকতে চায় না, আতিথ্য নিতে চায় কোনও বাঙালির বাড়িতে। আমার বাড়িতে কি সে আসতে পারে?
চিঠিটা পেয়ে প্রথমে বেশ বিব্রত বোধ করেছিলাম। এমনি অতিথি আর সাহেব-মেম অতিথিতে যে অনেক তফাত! আমরা ডাল-ভাত মাছের ঝোল খাই, তা তো ওদের রুচবে না। ওরা কী খায়, তা জানি, কারণ আমি অনেকদিন সাহেবদের দেশে কাটিয়ে এসেছি। কিন্তু মুশকিল হল ওরা যেমন পাউরুটি খায়, এদেশে তেমন পাওয়া যায় না। ফ্রান্সের লম্বা-লম্বা লাঠির মতন রুটি, যাকে বলে বাগেত, তা আমাদের দেশে হয় না। আর বুখেজার-এর আকারের ক্রেয়ার্স-ও খুব দুর্লভ। ওদের মতন স্বাদই পাওয়া যায় না। তা ছাড়া আমাদের বাথরুম ওদের পছন্দ হবে কি না কিংবা নববিবাহিত দম্পতির জন্য কুসুমকোমল শয্যাই-বা কোথায় পাব! কিন্তু বাড়ির মধ্যে সব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নেওয়ার অধিকারিণী তত গৃহকত্রী! আপত্তি করল না। বলল, আসতে চায় আসুক, বাঙালি বাড়িতে কী সুবিধে-অসুবিধে তা-ও বুঝে দেখুক!
যথাসময়ে এল দুজন। থেকে গেল সপ্তাহখানেক। এরকম আশ্চর্য অতিথি অতি দুর্লভ। কোনও ব্যাপারেই অভিযোগ নেই, কখনও মুখে বিরক্তির চিহ্ন ফোটে না, আমাদের সঙ্গে বসে ডাল-ভাত-মুরগির ঝোল সোনা মুখ করে খেয়ে নেয় আর সব কিছুরই প্রশংসা করে। আমি একদিন মাত্র ওদের নিয়ে গিয়েছিলাম গঙ্গাসাগরের কাছে হারউড পয়েন্ট দেখাতে, বাকি দিনগুলি এরা নিজেরাই কলকাতায় রাস্তায়-রাস্তায় চষে বেরিয়েছে। নিমতলা শ্মশানঘাটে গিয়ে কাটিয়েছে পুরো একটি বেলা।
প্যাট্রিসিয়া, নববধূটি ভারী মিষ্টি চেহারার এক তরুণী, কথা বলে খুব কম, সবসময় ঠোঁটে লেগে আছে হাসি। এমন লাজুক মেমসাহেবও কদাচিৎ দেখা যায়। ভ্যারনারের চেহারাও বিশেষ দর্শনীয়, তার মাথার সব চুল ও মুখভরতি দাড়ি একেবারে সাদা অথচ সে মোটেই বৃদ্ধ নয়। সুগঠিত চেহারার যুবক। কবিতা লেখা ছাড়া আর তার দুটি শখ হচ্ছে, তলোয়ার খেলা ও রান্না করা। পরে প্যারিসে আমি তার হাতের রান্না খেয়েছি। ব্লেড ওয়াইন দিয়ে ছোট ছোট পাখির মাংসের রান্নার স্বাদ কখনও ভোলা যাবে না।
কবি হিসেবে সে এক হিসেবে সারা বিশ্বে অনন্য। সে প্রতিজ্ঞা করছে, জীবনে কখনও এক লাইনও গদ্য লিখবে না, গল্প-উপন্যাস তো দূরের কথা। ভ্রমণকাহিনি বা গ্রন্থ সমালোচনাও না (শুধু চিঠিপত্র ছাড়া)। কবিতাও লেখে সে খুব কম, এবং খুবই দুর্বোধ্য তার কবিতা। তার একটি ছোট কাব্যগ্রন্থ আমি বাংলায় অনুবাদ করেছি যুগ্মভাবে অকাল প্রয়াত মঞ্জুষ দাশগুপ্তর সঙ্গে, সে কিছুটা ফরাসি ভাষা জানত। আনন্দ পাবলিশার্স প্রকাশিত সেই বইটির নাম, ‘এখনও হৃদয় গর্জমান’। এমনই কঠিন কবিতা যে অনুবাদ করতে আমরা হিমশিম খেয়ে গেছি।
ভ্যারনার আমারও একটি কবিতার বইয়ের অনুবাদ প্রকাশ করেছে ফরাসি ভাষায়। আমাদের এখানকার ফরাসিবিদ নারায়ণ মুখোপাধ্যায় একসময় প্যারিসে ছিল, তার সহায়তায়।
ভ্যারনার জাতে বেলজিয়ান, থাকে ফরাসি দেশে, লেখে ফরাসি ভাষায়, সে মূল ফরাসি সাহিত্যের অন্তর্গত হওয়ার স্বীকৃতি চায়। ফরাসিরা এ স্বীকৃতি সহজে দিতে চায় না।
এই ভ্যারনারই আমার নাম সুপারিশ করেছিল লিয়েজ-এর কবিসম্মেলন উদ্যোক্তাদের কাছে।
প্রথমে আমি গেলাম লন্ডনে, সেখানে থাকত আমার বাল্যবন্ধু ভাস্কর দত্ত। ইউরোপের যে-কোনও দেশে গেলেই ভাস্করের সঙ্গে একবার আমাকে দেখা করতে হবেই। লন্ডনে গিয়ে ভাস্করকে জিগ্যেস করলাম, কী রে, আমার সঙ্গে বেলজিয়াম যাবি নাকি?
ওদেশে চাকরি কিংবা কাজ থেকে ছুটি পাওয়া সহজ নয়। অনেক আগে থেকে ছুটির ব্যবস্থা করতে হয়। আমাদের মতন, আজ আকাশটা চমৎকার মেঘলা আজ আর অফিস যেতে ইচ্ছে করছে না, এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া ওদেশে সম্ভব নয়। কিন্তু ভাস্কর বরাবরই সব ব্যাপারে ব্যতিক্রম। আমরা যখন-তখন লন্ডনে ওর বাড়িতে উপস্থিত হলে, ভাস্কর কোনও সকালে সুট-টাই পরে তৈরি হয়েও বলে ফেলে, দূর, আজ আর যাব না। গুলি মারো অফিস। আজ সারাদিন আড্ডা হবে!
ভাস্কর রাজি হয়ে গিয়ে প্লেনের টিকিট কাটার উদ্যোগ নিল।
কিন্তু ওখানে ভাস্কর থাকবে কোথায়? অন্য হোটেলে থাকলে তো আড্ডা জমবে না!
আমি ওর বাড়ি থেকেই ফোন করলাম লিয়েজ সম্মেলনের সম্পাদককে। জিগ্যেস করলাম, তোমরা কি আমাকে ডাবল বেডরুমের ঘরে থাকতে দেবে? তাহলে আমি আমার এক বন্ধুকে কি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারি?
লোকটি হাসতে-হাসতে বলল, হ্যাঁ, হ্যাঁ, ডাবল বেডরুমেরই ব্যবস্থা করব। তুমি যদি তোমার স্ত্রীকে সঙ্গে আনতে চাইতে আমরা আপত্তি করতাম না। আর তুমি যদি হোমোসেকসুয়াল হও, আর তোমার পুরুষ সঙ্গীকে আনতে চাও, তাতেও আমাদের আপত্তি নেই।
এটা রসিকতা। তবে, ওদেশে যদি দুজন পুরুষ এক খাটে রাত্রি কাটায়, তাহলে ধরেই নেওয়া হবে, তারা সমকামী। প্রকাশ্য রাস্তায় কোনও পুরুষ যদি তার বন্ধুর কাঁধে হাত রাখে, সেটাও সমকামিতার চিহ্ন।
লিয়েজে পৌঁছে দেখলাম, প্রায় দেড়শোর মতন পুরুষ-নারী কবি উপস্থিত, তাদের প্রায় সবাই শ্বেতাঙ্গ, আমাদের মতন কালো বা খয়েরি রঙের ছাত্র ছ-সাতজন। কিন্তু কবিদের গায়ের রঙের তফাতে কী আসে যায়! কিন্তু ভাষার তফাত হয়ে গেলে দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যায় অনেকখানি।
বেলজিয়ামে দুটি সরকারি ভাষা, ফ্রেঞ্চ আর ফ্লেমিশ। তার মধ্যে ফরাসি ভাষাভাষীরই বেশি প্রাধান্য। এই সম্মেলনে যত কবিদের আহ্বান করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই ফরাসি ভাষায় লেখে। কানাডার ফরাসিভাষী অঞ্চল থেকেই কবিরা এসেছে, ইংরেজি ভাষার কবিরা আসেনি। ফরাসিরা যথেষ্ট স্নব, তারা ইংরেজি জানলেও প্রকাশ্যে কিছুতেই ইংরেজিতে কথা বলবে না। অনেকে সত্যিই ইংরেজি জানে না।
এখানে ঘোষণাটোসনাও হচ্ছে প্রায় সবই ফরাসি ভাষায়। আমরা হাবার মতন কিছু না বুঝে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকি।
ক্রমশ ফরাসি ও ইংরেজিভাষীদের মধ্যে স্পষ্ট দুটি ভাগ হয়ে গেল। আমাদের দলটি খুবই সংখ্যালঘু। কিন্তু তাদের মধ্যে আমি পেয়ে গেলাম আমার কয়েকজন পূর্ব-পরিচিত বন্ধুবান্ধবীকে। তাদের মধ্যে কেউ-কেউ ছিল আয়ওয়া শহরে। কয়েকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে অন্য কবিসম্মেলনে। যেমন পোলান্ডের ক্রিস্তফ, হাঙ্গেরির আনা, নরওয়ের ক্রিস্টিন। ইন্দোনেশিয়া ও জাপানের দুজন কবিও ইংরেজি জানে। ইন্দোনেশিয়ার কবিটির আবার এক জার্মান বান্ধবী এসেছে, সে-ও ইংরেজি জানে।
এরপর চলল, আমাদের দলটির অফুরন্ত আড্ডা ও খাওয়া-দাওয়া। খাওয়াদাওয়ার বেশি বর্ণনা দিয়ে পাঠকদের জিভে জল আনতে চাই না। সকালে, দুপুরে ও রাত্রে, তিনবেলাই বুফে পদ্ধতি। অর্থাৎ প্রায় পঁচিশ-তিরিশ পদের অতি সুখাদ্য সাজানো থাকে। যার যত ইচ্ছে খাও! বেলজিয়ামের আইসক্রিম ও চকোলেট বিশ্ববিখ্যাত, অনেক বড়-বড় দোকানে শুধুই তিরিশ-চল্লিশ রকমের আইসক্রিম ও চকোলেট কেক বিক্রি হয়। আর এখানকার বিখ্যাত স্নাফস নামের কড়া মদ। আর লাল-সাদা ওয়াইন তো আছেই। কোনও ব্যাপারেই উদ্যোক্তাদের কার্পণ্য নেই। আতিথেয়তার সব খরচ দিচ্ছে এই শহরের পৌঁরসভা।
ইংরেজি দলটির আজ্ঞা প্রায় সবসময়েই জমে ওঠে আমাদের ঘরে। তার একটি কারণ, ভাস্করের ব্যক্তিত্বের আকর্ষণ। ভাস্কর যেখানেই যায়, আড্ডার কেন্দ্রমণি হয়ে পড়ে। ইয়ার্কি-ঠাট্টায় তার জুড়ি নেই।
দু-একজন আমাকে চুপি-চুপি ভাস্করের পরিচয় জিগ্যেস করেছিল। আমন্ত্রিত কবিদের তালিকায় তার নাম নেই। তবে সে কে? আমি বলেছিলাম, ও কবিতা লেখে না, কিন্তু কবিতার মস্ত বড় সমঝদার, আর খুব নামকরা সমালোচক! শুধু আড়ার লোভে একজন নিজের কাজকর্ম ছেড়ে চলে এসেছে, এটা ওদের কিছুতেই বোধগম্য হয় না।
আমাদের আড্ডার আর-একটি আকর্ষণ, হাঙ্গেরির আনা। এর মধ্যে সবাই স্বীকার করে নিয়েছে যে এখানে সে-ই সবচেয়ে রূপসি। ভারী সরল আর স্নিগ্ধ তার ব্যবহার। সে বিয়ে করেছে, তার থেকে দ্বিগুণ বয়েসি এক কবিকে, সে নিজেও কবিতা লেখে। তাকে দেখেও এই আড়ায় অনেকে আসে।
আড্ডার বিবরণ তো লিখে বোঝানো যায় না। এই আড্ডা থেকেই অনেক কবির সঙ্গে অন্তরঙ্গতা হয়। ছোট-ছোট কথাতেই বোঝা যায় তাদের সৃষ্টিপ্রক্রিয়া।
মূল কবিসম্মেলন কীরকম?
সকাল, দুপুর ও সন্ধে পর্যন্ত একই প্রেক্ষাগারে কবিতা পাঠ। টানা তিন দিন। প্রথম দিন দুটি পর্যায়ের কবিতা পাঠ শুনতে গিয়ে বিরক্তি ধরে গেল। গোড়ার দিকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে শুধু ফরাসি ভাষায় কবিদের, একেবারে শেষে কয়েকজন কবি রীতিমতন ক্ষোভ প্রকাশ করতে লাগল। ইংরেজি ভাষার কবিদের তাহলে ডাকা হয়েছে কেন?
ব্যাপারস্যাপার দেখে শুনে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, মঞ্চে আর উঠবই না! এরকম ফাঁকা হলে কবিতা পড়া, না-পড়া সমান। দ্বিতীয়দিন একজন কর্মকর্তা আমাকে জিগ্যেস করল, তুমি কোন অধিবেশনে পড়তে চাও? আমি অম্লানবদনে বলে দিলাম, আমার তো পড়া হয়ে গেছে। তিনি খুশিমনে বললেন, ও!
চমৎকার শহরটি ঘুরে ঘুরে দেখে, খানাপিনা ও আড়ার সময় নতুন-নতুন বন্ধু সংগ্রহ করেই আমার এবারের যাত্রা সার্থক হল।
তা-বলে কবিতা পড়া কি হয়নি?
প্রতি রাতেই, আমার ঘরের আড্ডায়, শেষের দিকে ভাস্করের তাড়নায় প্রত্যেককেই একটি-দুটি কবিতা পড়তে হয়েছে। শ্রোতার সংখ্যা কম, কিন্তু আন্তরিকতা একশো ভাগ! রাত্রি একটা-দেড়টা বেজে যায়, তবু কবিতা পড়া থামে না।
সেখানে আরও একটি চমৎকার ব্যাপার হয়েছিল।
একজন কেউ কোনও এক বিখ্যাত কবির একটি কবিতা পাঠ করে শোনাবে। অন্যরা সে কবিতার নিজস্ব ব্যাখা করবে। একই কবিতার চার-পাঁচরকম ব্যাখ্যাও পাওয়া গিয়েছিল। এই খেলাটা জমেছিল খুব।
আমি পড়েছিলাম অ্যালেন গিনসবার্গের এই কবিতা :
Because I ley my
head on pillows,
Because I weep in the
tombed studio
Because my heart
sinks below my navel
Because I have an old airy belly
filled with soft
sighing, and
remembered breast
Sobs-or
a hands touch makes
tender—
Because I get scared
Because I raise my
voice singing to
my beloved self—
Because I do loved thee
my darling, my
other, my living
bride…..