মাদারিপুরের এক গ্রামে জন্ম, কিন্তু বাল্যকালে আমি ঢাকা দেখিনি, এমনকি একবারও পদ্মা নদী পার হইনি।
অবিভক্ত বাংলায় খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া এইসব জেলার মানুষদের সঙ্গে কলকাতা শহরের যোগাযোগই ছিল বেশি। কারণ এদিকে ছিল রেল-যোগাযোগ। আমি প্রথম ঢাকা শহর স্বচক্ষে দেখি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, সেই ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবসের দু-তিন সপ্তাহের মধ্যেই।
গিয়েছিলাম গাড়িতে, প্রখ্যাত লেখক মনোজ বসু এবং তাঁর দুই ছেলে মনীষী ও ময়ুখ আমাকে সঙ্গী করে নিয়েছিলেন, তখনও রাস্তার অনেক অংশ যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং বেশ কয়েকটি সেতুর মাজা ভাঙা।
প্রথমে উঠেছিলাম কবি জসীমউদদীনের বাড়িতে। তিনি মনোজ বসুর বন্ধু ছিলেন, তাঁর মস্ত বড় বাড়ি, সেখানে তিনি আমাকেও আশ্রয় দিয়ে ধন্য করেছিলেন। অত বড় একজন কবি! আমরা ছাত্র বয়েসে টেক্সট বইতেই যাঁর কবিতা পড়েছি তাঁকে চর্মচক্ষে দেখতে পাওয়াই তো বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার, তার ওপর তাঁরই বাড়িতে শয্যা ও আহার গ্রহণ যেন অকল্পনীয়!
প্রথম দিন ঢাকা শহরে বেড়াতে বেরিয়ে রমনার মাঠে এক জায়গায় একটা জমায়েত দেখে কৌতূহলী হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম জনতার পেছনে। সেখানে কবিতা পাঠ চলছে, তরুণ কবিরা বিনা মাইক্রোফোনে উচ্চকণ্ঠে কবিতা শোনাচ্ছে। ক্রমে তাদের দু-চার জনের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় হল।
অর্থাৎ, স্বাধীন বাংলাদেশ সম্পর্কে আমার প্রাথমিক অভিজ্ঞতা কবিতা সংসর্গিত। এর পরের বছর ঢাকায় যাই একুশে ফেব্রুয়ারির এক কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে। তারপর আরও অনেকবার একুশে ফেব্রুয়ারির নানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছি ঢাকায়। কিন্তু প্রথমবারের অভিজ্ঞতা অবিস্মরণীয়।
যদিও বাংলাভাষার আন্দোলনে শহিদদের প্রাণদানের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি চিহ্নিত এবং এখন রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে দিনটিকে পৃথিবীর সব দেশের মাতৃভাষা দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, কিন্তু ওই দিনটির বাংলা তারিখ আমরা অনেকেই জানি না। এবং বাংলাদেশেও দিনটি উৎসবে-আবেগে পালিত হয় ইংরেজি মতে। অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারি রাত বারোটার পর থেকে।
সেবার কোথায় উঠেছিলাম মনে নেই। ওখানকার বন্ধুরা আমাকে ও শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে ঠিক রাত বারোটায় নিয়ে গেল শহিদ বেদিতে মালা দিতে। সে-স্থানটি তখন দিনের আলোর মতন আলোকময়, সাদাশাড়ি পরা অনেক মেয়ে আলপনা দিচ্ছে রাজপথে। কিছুদিন আগেও ঢাকা শহরে মেয়েদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত ছিল, অত রাতে মেয়েদের রাস্তায় বেরুনোর তো প্রশ্নই ছিল না, তখন যেন সব বাঁধ ভেঙে গেছে।
সারারাত ধরে পথে-পথে দেখেছি মিছিল, সেইসব মিছিলে ধ্বনিত হচ্ছে গান, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি!’ আবদুল গাফফার চৌধুরী রচিত এই গানটি যে এত জনপ্রিয় হবে, তা হয়তো তিনি নিজেও ভাবতে পারেননি। ইতিহাসের এমনই নির্মম পরিহাস, এই গানের রচয়িতা একসময় দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন, তারপর বহু বছর ধরে তিনি প্রবাসী। বাংলাদেশের সমস্ত উত্থান-পতনের খুঁটিনাটি তাঁর নখদর্পণে, বহুদূর থেকেও তাঁর মন পড়ে থাকে বাংলাদেশে, কিন্তু আপন দেশে তাঁর ফিরে আসার বোধহয় উপায় নেই।
আগের দিন রাত বারোটা থেকে পরদিন মধ্যরাত পর্যন্ত টানা চব্বিশ ঘণ্টা ধরে চলে উৎসব, এবং তার প্রধান উপজীব্য কবিতা ও গান। গরম-গরম বক্তৃতাও কোথাও কোথাও থাকে বটে, কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে যায় কবিতা। এত লক্ষ-লক্ষ মানুষ কি কবিতা নিয়ে মেতে থাকতে পারে? নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না।
মাঝখানের অনেকগুলি বছর পূর্ব বাংলা–তথা পূর্ব পাকিস্তান–তথা বাংলাদেশের কবি ও লেখকবৃন্দের সঙ্গে পশ্চিমবাংলার লেখক-কবিদের অপরিচয়ের দূরত্ব ছিল অনেকখানি। পশ্চিমবাংলার কিছু কিছু জনপ্রিয় বই ওদিকে জাল সংস্করণে বিক্রি হত, কিন্তু ওদিককার লেখকদের রচনা পশ্চিমবাংলায় প্রায় পাওয়াই যেত না। হঠাৎ উনিশশো একাত্তর সালের পঁচিশে মার্চ থেকে হঠাৎ যেন সব অবরোধ ছিঁড়ে খুঁড়ে গেল। পশ্চিমাবংলার বহু পত্রিকায় ছাপা হতে লাগল পূর্ব পাকিস্তানের লেখকদের নানাবিধ রচনা। নতুন বা পুনর্মুদ্রণ। যুদ্ধকালীন অবস্থায় ওদিক থেকে অনেক লেখক-সাংবাদিক প্রাণ বাঁচিয়ে চলে এলেন কলকাতায়। তখন ব্যক্তিগত যোগাযোগ হল অনেকের সঙ্গে।
শামসুর রাহমান এবং আল মাহমুদের কিছু-কিছু কবিতা আগেই ছাপা হত ওদিককার পত্র-পত্রিকায়, বিশেষত বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘কবিতা’ এবং ‘কৃত্তিবাস’-এ। ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকার একেবারে প্রথম সংখ্যায় সেই ১৯৫৫ সালে, সম্পাদকীয়তে আমি লিখেছিলাম, এই পত্রিকা প্রকাশের অন্যতম উদ্দেশ্য হবে পূর্ববঙ্গীয় কবিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। দেশভাগ হয়ে গেলেও আমরা সাংস্কৃতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। সেই আদর্শ পুরোপুরি রক্ষা করতে না পারলেও এই পত্রিকায় আমরা কিছু-কিছু পূর্ববঙ্গীয় কবিদের রচনা প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছি।
সেই যুদ্ধের বছরে আল মাহমুদ এসেছিলেন কলকাতায়, শামসুর রাহমান আসেননি। কোনওক্রমে ওদিকেই আত্মগোপন করেছিলেন, কবিতা পাঠিয়েছিলেন, যার নাম ‘বন্দী শিবির থেকে’। মজার ব্যাপার এই যে, ওখানকার অন্যতম তরুণ কবি বেলাল চৌধুরী কলকাতায় এসে আমাদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন এইসব যুদ্ধের ডামাডোলের অনেক আগে থেকেই। এমনকি ‘৬৫ সালে যে একটি মূখের যুদ্ধ হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে, যখন যে-যাকে পারছে স্পাই বলে দেগে দিচ্ছে, এমনকি পরম শ্রদ্ধেয় সৈয়দ মুজতবা আলিও এই আঁচ পেয়েছিলেন, তখনও কিন্তু বেলাল নিঃশঙ্ক চিত্তে, অম্লানবদনে আমাদের সঙ্গে নানান অভিযানে অংশ নিয়েছে।
একাত্তরে যাঁরা কলকাতায় এসে পড়েন, বেলালের সূত্রেই তাঁদের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ পরিচয় হয়। আল মাহমুদ ছাড়াও শহীদ কাদরীকে সেই প্রথম দেখি। আল মাহমুদ ও শহীদ কাদরী কয়েকদিন থেকেছিল আমার বাড়িতে। আড্ডা জমেছিল তুমুল। পাকিস্তানি আমলে যে কৃত্রিম দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা ঘুচে যেতে মোটেই সময় লাগেনি। যেন নাড়ির টান ছিলই। একই ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষদের মধ্যে বিভেদ ঘটাবার চেষ্টা হয়েছে বারবার, বহু দেশের ইতিহাসে, সবক’টিই বিফল হয়েছে। তবু তার থেকে শিক্ষা নেয় না স্বৈরতন্ত্রীরা।
কল্লোল যুগে কাজী নজরুল ইসলাম, প্রেমেন্দ্র মিত্রের মতন পশ্চিমবঙ্গীয় লেখকরা আড্ডার টানে প্রায়ই চলে যেতেন ঢাকায়, যেন তাঁরই পুনরাবৃত্ত শুরু হল। তবে সেই আমলে লেখকরা অনেকেই তখন নেই। নজরুলকে জাতীয় কবি হিসেবে নিয়ে যাওয়া হল ঢাকায়, কিন্তু কোনটা কলকাতা আর কোনটা ঢাকা, তা আলাদা করে চেনবার মতন বোধ আর তার তখন ছিল না। কল্লোল যুগের প্রখ্যাত ত্রয়ী, প্রেমেন্দ্র-অচিন্ত্যকুমার-বুদ্ধদেব কেন জানি না ঢাকায় যাওয়ার জন্য কোনও ব্যাকুলতা প্রকাশ করতেন না। বুদ্ধদেব বসু তাঁর ঢাকার জীবন নিয়ে কত স্মরণীয় লেখা রেখে গেছেন, কিন্তু পাকিস্তানি আমলের পর নতুন ঢাকায় ফিরে যাওয়ার জন্য তাঁর কোনও আগ্রহ দেখিনি। হয়তো তাঁর কৈশোর-যৌবনের ছবি তিনি ভাঙতে চাননি। প্রবোধকুমার সান্যাল ‘হাসু-বানু’ নামের একটি উপন্যাস লিখে ঢাকার অনেকের বিরাগভাজন হয়েছিলেন, তিনিও যাননি বোধহয়। অন্নদাশঙ্কর রায় গিয়েছেন কয়েকবার, তিনি একসময় ঢাকায় ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, বাংলাদেশের অনেক প্রবীণ সরকারি অফিসার তাঁকে দেখে স্যার সম্বোধন করে স্যালুট দিতেন, আমি দেখেছি।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় ও নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী গিয়েছেন কয়েকবার, তরুণতর আমরা যেতাম ঘন-ঘন। ওদিক থেকেও শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, সৈয়দ শামসুল হক, রফিক আজাদ, নির্মলেন্দু গুণ প্রমুখ যোগ দিতে আসতেন বিভিন্ন কবিতা পাঠের আসরে। আমাদের সৌমিত্র মিত্রর ব্যবস্থাপনায় এইসব কবি শান্তিনিকেতন ও কুচবিহারে গিয়েও কবিতা পাঠ করেছেন। এসময় সৌমিত্রদের আবৃত্তিলোকের এক অনুষ্ঠান চলছিল শিশির মঞ্চে, আমি ছিলাম সেদিন কাব্যপাঠের পরিচালক, পূর্বনির্ধারিত তালিকার বাইরেও একজন কবিকে পাঠ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করা হয়। সে একজন সদ্য তরুণী, অতি লাজুক এক কবি, তার নাম তসলিমা নাসরিন।
আমাদের এখানকার কবিতা পাঠের আসরগুলির একটা নির্দিষ্ট রূপ আছে। নির্বাচিত কয়েকজন কবি, বড়জোর আড়াই তিন ঘণ্টার আসর। প্রথমদিকে শ্রোতার সংখ্যা যথেষ্ট হলেও শেষের দিকে কমতে শুরু করে। কিন্তু বাংলাদেশে কবিতা পাঠের আসর অন্য একটি মাত্রা পেতে শুরু করে।
এক-একটি দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক চেহারা অনুযায়ী কবিতার ভাষা ও আঙ্গিকও পৃথকভাবে গড়ে ওঠে। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলিতে যেমন কবিতার বিষয়বস্তুতে সমাজ বাস্তবতার প্রতি ঝোঁক প্রায় বাধ্যতামূলক ছিল। স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কিংবা ধর্মীয় জোরজবরদস্তির দেশের কবিতা হয় প্রতিবাদমূলক। আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বিরাট বৈষম্য, তাই এখানকার কবিতায় কোনও-না-কোনওভাবে তার প্রতিফলন ঘটেই। আবার সেইসঙ্গে ভাষার সূক্ষ্মতার সাধনাও চলতে থাকে নিরন্তরভাবে। প্রেমের কবিতাও কবিরা কিছুতেই ছাড়তে পারেন না। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের কিছু পর থেকেই নানারকম রাজনৈতিক উত্থান-পতন ঘটতে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, পরবর্তীকালেও সরকার বদলের ব্যাপারে ছাত্ররা বারবার উত্তাল হয়েছে, অনেক নেতাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। কবিরাও, বারবার নিয়েছেন সক্রিয় ভূমিকা। মঞ্চ থেকে কবিদের কণ্ঠ থেকে সমবেতভাবে ধ্বনিত হয়েছে যে প্রতিবাদের ধ্বনি, তার শক্তি কোনও সরকারপক্ষই উপেক্ষা করতে পারেনি। জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠন করে বাংলাদেশে যে কবিসম্মেলনের আয়োজন হয় প্রতি বৎসর তা অনেকটাই বিরোধী আন্দোলনের মতন, তার পরিসরও বিশাল।
সেরকম কবিসম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে আমি প্রতিবারই বিস্ময়ে হতবাক হয়েছি। এত কবি? এমন হাজার-হাজার শ্রোতা? কোনও হলের চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ নয়, বিশাল প্যান্ডেল বাঁধা হয় রাজপথের ধারে। মঞ্চ এতবড় যে, তাতে অনায়াসেই বসতে পারে একসঙ্গে তিরিশ-চল্লিশজন। মঞ্চ থেকে প্যান্ডেলের শেষ পর্যন্ত যেন দেখাই যায় না।
সারা দুপুর-বিকেল-সন্ধ্যা ধরে কবিতা পাঠ, তবু শ্রোতার সংখ্যার বিশেষ হ্রাস-বৃদ্ধি হয় বিভিন্ন জেলা থেকে কবিরাই আসে না, অনেক শ্রোতাও আসে। আবার পথচলতি মানুষও কবিতা শুনতে দাঁড়িয়ে যায়। আমি একবার দেখেছি একজন সাইকেল রিকশাচালক তার পেশা থামিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কবিতা শুনছে। কোনও সওয়ারি এগিয়ে গেলেও সে নিতে চাইছে না। সত্যিই কি তার এতখানি কবিতা প্রীতি? সব কবিতা বুঝছে? রিকশাচালক হলেই যে কবিতা বুঝবে না, তা নয়। হতেও পারে। আবার এমনও হতে পারে, কিছু-কিছু কবিতায় দেশের বর্তমান অবস্থার বিরুদ্ধে যে তীব্র প্রতিবাদ সেটাই তার প্রাণ স্পর্শ করছে!
আমেরিকা কিংবা ইউরোপের অনেক দেশে কোনও কবিতা পাঠের আসরে দুশো আড়াইশো শ্রোতা পাওয়া গেলেই মনে হয়, তাই যথেষ্ট। পঞ্চাশ-ষাটজন শ্রোতা থাকলেও কবিরা হতাশ হন না। একবার প্যারিসের কবিতা ভবনে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়ে দেখি, শ্রোতার অভাবে অনুষ্ঠান শুরুই করা যাচ্ছে না। বারো-চোদ্দোজন লোক বসে আছে। সেখানকার পরিচালক খানিকটা লজ্জা-লজ্জা ভাব করে বললেন, এখন তো মনোরম গ্রীষ্মকাল, অনেকেই বাইরে বেড়াতে চলে যায়। তাই আজ এত কম। অন্য সময় শ’দেড়েক তো আসেই।
একটু পরে তিনি আমাকে জিগ্যেস করলেন, তোমাদের দেশে কবিতা শুনতে অনেক লোক আসে, তাই না?
আমি বললাম, আমাদের দেশে এখনও বেশ কিছু লোক কবিতা শোনে ঠিকই। তবে, তুমি একবার ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে ঢাকা শহরে যেও, সেখানকার কবিসম্মেলন দেখলে নিশ্চিত তোমার চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে।
অবশ্য তখনও আমি দক্ষিণ আমেরিকার কলমবিয়ায় যাইনি।