নতুন রিলেশান করেছি, বফটা আমার অতি ভদ্র। কোনো প্যাচগোছ নেই। এখন রোজ ই বান্ধবীদের দেখিয়ে দেখিয়ে প্রেম করি-ডেটিং করি। ওরা হিংসে চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে। এইতো কিছুদিন আগেও আমাকে উপহাস করেছিল, আমার কপালে নাকি বফ নাই।
ওদের কথাকে তুড়ি মেরে উড়ানোর জন্য ফ্রেন্ডলিস্টের সবচেয়ে সুন্দর-হ্যান্ডসাম ছেলেটার সাথে প্রেম শুরু করে দিয়েছি। তবে নিখিল সুন্দর হলে কি হবে! লেখাপড়ার ব্যাপারে যতটা মেধাবী, প্রেমের ব্যাপারে ঠিক ততটাই কাচা।
কোচিং শেষ করে বান্ধবীরা গোল হয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। গর্ব করে নিখিলের আমার প্রতি কেয়ারিং-ভালোবাসার কথা বলছিলাম। শুনে এক একটা মুখ শুকনো আমসত্ত্ব হয়ে গেছে। বেচারী মিথিলা তার বফকে আমার সামনেই ঝেড়ে ফোন সুইচ অফ করে দিল। আড্ডার মাঝখানে নিখিল কল করল। কল রিসিভ করে লাউডস্পিকার অন করে দিলাম।
— হ্যালো বাবু। কোথায় তুমি?
— আমি তো কোচিং এ বাবু।
— বাবু খাইসো?
— না বাবু, তুমি না খেলে আমি খেতে পারি? যেমন আমি না খেলে তুমিও খাওনা। এবার থেকে তুমি না খেলে আমিও খাবনা। ভেবেছিলাম হারামজাদাও একি ডায়লগ দিবে।
— বাবু আমি তো সেই কখন ৩প্লেট বিরিয়ানি খেয়ে নিয়েছি । এখন আম্মু জুনিয়র হরলিক্স দিয়ে গেছে, সেটা খাচ্ছি।
শুনে আমি বান্ধবীদের মুখের দিকে তাকালাম। একটু আগেই কত গর্ব করে বললাম, আমি না খাওয়া অবধি নিখিল এক গ্লাস পানিও খায় না। সেই হারামী ৩প্লেট বিরিয়ানি খেয়ে বসে আছে।
— তোর মায়েরে বল তোরে হরলিক্সের সাথে যাতে কমপ্লেইন ও খাওয়ায়। বলদা একটা, তোর লগে ব্রেকাপ। কিসের বফ তুই? আমি খাওয়ার আগে তুই গিলিস।
— কেন বাবু? তোমার হয়ে আরেক প্লেট খেয়ে নিব!
— গিল তুই, রাখ ফোন।
ফোন কাটার সাথে সাথে সব বান্ধবীগুলা একসাথে হাসা শুরু করল। রাগে নিজের চুল ছিড়তে মন চাচ্ছে।
কপাল চাপড়াতে চাপড়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম, “না আর না, এইবার তুমি না খেলে আমিও খাবনা টাইপ বফ না পেলে প্রেম-বিয়ে কিচ্ছু করমুনা। কেউ আমারে এমন বফ আইনা দাও”