মামাতো বোনের বিয়েতে যাব।রেড়ি হচ্ছি তখনই নীরা মানে আমার বউ এসে বলল,,
– এত রেড়ি হওয়া,লাগবে না,কালো কালারের পাঞ্জাবীটা পড় আর তাড়াতাড়ি আসো।
– নীরা, নীল পাঞ্জাবীটা পড়ি।
– বললাম না কালো পাঞ্জাবী পড়তে।
– ওকে পড়ছি। বউ নাকি জল্লাদনী।বিয়ের পর থেকে নিজের ইচ্ছেয় কিছুই করতে পারলাম না।
– হাসিব,তাড়াতাড়ি এসো।
দেখছেন,,নিজের স্বামীকে নাম ধরে ডাকে।ইচ্ছে করে ধরে কয়েকটা দুমসে পিটা দিই।কিন্তু,,আমার সেই সাহসের বড়ই অভাব।বউরে পিটাইতে যাই পুরুষ নির্যাতনের শিকার হতে হবে।তবুও বউরে একটু টাইটে রাখা প্রয়য়োজন।জোরে চিৎকার করে বললাম,,
– আসতাছি,,সময় তো দিবা।বিয়ে তো শেষ হয়ে যাচ্ছে না।
– তুমি এখনই আসবা নাকি আমি আসবো এখন।
– না,না,না,আসছি আসছি।
রিক্সায় বসে আছি।মন খারাপ।কালো পাঞ্জাবী আমার পছন্দের না।অন্যদিকে তাঁকিয়ে আছি।হঠাৎ নীরা আমার গালে একটা চুমু দিয়ে দিল।
– নীরা,এটা কি করলা।গালে তোমার বিচ্ছিরি লিপিস্টিকের দাগ লাগাই দিলা।
– কি আমার লিপিস্টিক বিচ্ছিরি।
– হ্যা,, নীরা আমার কানে জোড়ে একটা কামড় দিয়া দিল।
-আহহ,,এটা কি করলা।
– আমার লিপিস্টিক বিচ্ছিরি!!!
– আরে ওইটা তো আমি এমনে বলছি।
– এমনে বলছিলা,,
– হুমম।
এখন অন্যদিকে তাঁকিয়ে কান ঢলতাছি।বউ আমার রাক্ষসী।কিছু হলেই কামড়ে দেয়।ভালো লাগে না আর।
বিয়ের গেটের সামনে নামলাম।ভেতরে ঢুকতেই মামাতো চাচাতো বোনের পাল আমার দিকে দৌড়ে আসল।এর মধ্যে মাধুরিমাও আছে দেখছি।এই মেয়ের পিছনে ব্যাচেলর লাইফে অনেক ঘুরা ঘুরছিলাম।সবগুলো এসে আমাকে আর নীরাকে ঘিরে ধরল। সবাই একসাথে বলল,,
– ভাইয়া,,
– হুম,বল।
– ভাবীর সাথে বিবাহিত জীবন কেমন চলছে।
– অনেক খারাপ। নীরা এই কথাটা শুনেই বলল,,
– কি বললা,,
– আরে বলছিলাম অনেক ভালো,
এইরকম বউ পৃথিবীতে কি পৃথিবীর বাইরেও একটা নাই। সবাই একসাথে হেঁসে উঠল।সবার সাথে কথা বলছিলাম তখনই মাধুরীমা আমায় ডাক দিল। ব্যাচেলর থাকলে হয়ত,,”দিলমে লাড্ডু ফুটতো কিন্তু এখন আর দিলমে লাড্ডু ফুটবে না। মাধুরীমার সামনে যেতেই বলল,,
-ভাইয়া,আপনি তো ভালোই গল্প লিখেন।
– কই নাতো। পিছনে একবার তাঁকিয়ে নীরাকে দেখলাম।সবার সাথে কথা বলছে।
– আমি আপনার সব গল্প আমি পড়ছি। খুবই ভালো লেগেছে।
-ওওও।
– আপনার বিবাহিত জীবন কেমন চলছে।
– পুরাই বাজে।
– কেন?
– তোমার ভাবী হল পুরাই জল্লাদনী,,গুন্ডী।গুন্ডীকে বিয়ে করলে যা হওয়ার কথা তাই হচ্ছে।
-ওওও। মাধুরীমা হেঁসে উঠল।
– ভাবী কি বেশি ঝারি দেই নাকি!
– তোমার ভাবী প্রত্যেক কাজে আমাকে ঝারি দেই।এত ঝারি মনে হয় আমি আমার আব্বু-আম্মুর কাছেও খাই নাই।
মাধুরীমা আবার হেঁসে উঠল।
– আমাকে বিয়ে করলে মনে হয় এত ঝারি খেতে হত না।
– সত্যি,,
-হুমম,,,
আমি এবার মুচকি হাসলাম।পিছনে তাঁকিয়ে দেখি নীরা নেই। কই গেলো আবার।মাধুরীমার দিকে তাঁকিয়ে লাফিয়ে উঠলাম।নীরা সামনে দাড়িয়ে আছে।
-বা,বা,বা,বাবু,তুমি এখানে?
– বাসায় চলো।
-খাবার তো খেয়ে যায়।
– বাসায় যেয়ে খাবে।
মাধুরীমা হাসতে হাসতে বলল,, ভাইয়া,আপনি শেষ। এখন বাসায় বসে আছি।নীরা কোমরে শাড়ি গুজে আমার দিকে রাগী চোখে তাঁকিয়ে আছে।
– বাবু,খিদা লাগছে।
– কিসের খিদা।আজকে আমি তোমাকে ভালো মত খাওয়াবো।
– কিন্তু আমি কি করলাম।
– কিছু করো নাই।তাইতো আজকে খাওয়াবো। শুরু হয়ে গেল।
-মাম্মি,,মোরে বাচাঁও। ডাক্কি,ডিক্কি,ডাক্কি,ডিক্কি,আওওও