— এই সোহান ।
— হুম ।
— শুনতে পাচ্ছিস ??
— হুম ।
— হুম হুম করছিস কেন ? কথা বল ।
— হুম বলছি তো ।
— আবার !
— কি হইছে বল ।
— কেমন আছিস ?
— ভালো ।
— আমি কেমন আছি জানতে চাইবি না ?
— হুম কেমন আছিস ?
— ভালো ।
— কথা শুনে তো মনে হচ্ছে না ।
— কেন ?
— এতো আস্তে আস্তে কথা বলছিস কেনো ? কি হইছে ?
— কিছুনা ।
— বলতে না চাইলে বলার দরকার নাই । জোর করে শুনতে চাইবো না ।
— কোথায় তুই ?
— ছাদে বসে আছি ।
— কি করিস ছাদে বসে ?
— গান শুনছি ?
— একটা গান গাইবি ?
— না ।
— তোর কি মন খারাপ ?
— কিছুটা ।
— কি হইছে ?
— জানিনা ।
— একটা গান শুনবি ?
— না ।
— তুই কি প্রেম করিস ?
— না ।
— আমার সাথে প্রেম করবি ?
— না ।
— আমার তোকে খুব ভালো লাগে ।
— তো ?
— না কিছুনা ।
— এসব কথা আমাকে আর বলবি না ।
— আচ্ছা বলবো না । তুই কি রাগ করলি ?
— রাগ করার মতো কিছু তো হয়নি । রাগ কেন করবো ?
— আচ্ছা এখন রাখি , পরে ফোন করবো । ভালো থাকিস ।
ফোন কেটে দেয় তনয়া।
মেয়টি মনে মনে খুব ভালবাসতো সোহানকে।
অনেক সাহস করে আজ বলেছিল।
কিন্তু কোন লাভ হয় নি ।
সোহান তাকে বন্ধুর মতোই দেখছে সব সময় ।
আজ ও তার ব্যতিক্রম করেনি।
খুব কাঁদছে তনয়া । বন্ধু হিসাবেই সোহানকে দেখতো কিন্তু কেন জানি আজ ওকে প্রপোজ করে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে তনয়ার।
নিরবে কাঁদছে।
খুব একা একা।
পৃথিবীটাকে খুব শুন্য মনে হচ্ছে।
তনয়া আবার ফোন করে সোহানকে:
— কি করিস?
— ছাদে বসে আছি ।
— এখনও ?
— হুম ।
— তুই কি রাগ করেছিস ?
— না রাগ করিনি । ভুলে যা এসব কথা ।
— ওকে ভুলে গেলাম । একটু হাসবি ?
— কেন ?
— তোর হাসি শুনতে ইচ্ছে করছে ।
— হি হি হি । খুশি ?
— হুম ।
— আচ্ছা এখন রাখি ,,, পরে ফোন করবো ।
** কখনও কখনও দুঃখের মাঝেও সুখ থাকে ,, আর কখনও কখনও সুখের মাঝে ও দুঃখ থাকে **