মস্তিষ্ক ঠান্ডা হয়ে আসছে।হাত-পা কাপছে আর চুলকাচ্ছে।আর সহ্য করতে পারছি না।এখনি কিছু একটা করতে হবে।প্যান্টের বাম পকেটে হাত ঢোকালাম। দুইটা প্যাকেট বেরিয়ে আসল।তারমানে এখনো দুই প্যাকেট পাউডার বাকি আছে।পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে গোল করলাম।প্যাকেট খুলে পাউডার বের করতে যাব,তখন ফোন আসল।মোবাই বের করে দেখলাম প্রেমিকা ফোন দিয়েছে।শালী ফোন দেওয়ার সময় পায়নি,নেশা করার সময় ফোন দিয়েছে।ফোন ব্যাক করলা।
-হ্যালো..
-ঐ..কী করছিস…?
-কিছু না…।
-তুই আবার পাউডার নিচ্ছিস…।
-না…।আমি পাউডার পাব কই…।
-ঐ..মিথ্যা বলিস না।তর কাছে কয় প্যাকেট পাউডার আছে…।
-দুই প্যাকেট…।
-কয় প্যাকেট শেষ করেছিস…?
-একটাও না…?
-আমার জন্য এক প্যাকেট রাখ।আমি আসছি।
-কিন্তু আমার ত দুই প্যাকেটই লাগবে…।
-বেশি কথা বলবি না।শালা আমি তরে বলছি আমার জন্য এক প্যাকেট রাখতে,মানে তুই রাখবি।তুই জায়গায় থাক আমি আসছি।
আধাঘন্টা পর__
-আমার প্যাকেট কই…?
-আমি নিয়ে শেষ কইরা দিসি…?
-কুত্তা,তুই শেষ কইরা দিসস মানে…!!।তরে না কইলাম আমার জন্য এক প্যাকেট রাখতে।
-বিশ্বাস কর,আমি সহ্য করতে পারিনি…।তাই দুইটাই নিয়া নিছি।
-তাইলে আি এখন তর কোন বা* দিয়ে নেশা করমু।শালা তুই আমারে টাকা দেয় আমি পাউডার কিনব।
-আমার কাছে আর টাকা নাই।
-তর মোবাইল দেয়…।
-আমি মোবাইল দিমুনা।
-কেন দিবি না…?
-এইটা বিক্রি করে আমি আরেকবার নেশা করমু…।
-ঐ শালা তর মোবাইল দেয় কইছি….।প্লিজ তর মোবাইলটা দিয়া দেয়।তরে আমি ভাই ডাকতেছি,তুই আমারে মোবাই দেয় আর নাহয় নেশা করার টাকা দেয়…।
-তরে বলছি ত আমার কাছে টাকা নাই।
-প্লিজ ভাই কিছু টাকা দেয়।সারাদিন থেকে পাউডারের একটুও স্বাদ পাইনি।
-তুই আমারে ভাই ডাকছিস কেন।আমি ত তর বয়ফ্রেন্ড।আর তুই আমারে এখন ছাড়…।তরে বলছি ছাড় আমারে…ছাড়…ছাড়…শালী।
-প্লিজ জাইস না।প্লিজ…প্লিজ…প্লিইইইই…জ।