শুভ্র— কই শুনছ? একবার এ দিকে আসোনা।
—বাড়িতে কি ডাকাত পরছে নাকি যে চিল্লাইতেছেন এভাবে?
শুভ্র—ডাকাত পড়বে কেন? দরকারে ডাকতেছি।
— তা কি দরকার তাড়াতাড়ি বলেন আমার অনেক কাজ আছে।
শুভ্র—শুনোনা, বলছি টাই টা একটু বেঁধে দাওনা।
–নিজে বেঁধে নিতে পারেননা?
শুভ্র— বউ থাকতে আমি বাঁধব কেন? দাও না বেঁধে।
— বউ যখন থাকবেনা তখন তো বাঁধতে হবে।
আগে থেকে প্র্যাকটিস করেন।
শুভ্র—- কই যাবা শুনি?
— আকাশের তারা হতে।
শুভ্র— বললেই হল। আমাকে রেখে কোথায় যাবে হুম। আমি তোমাকে কোথাও যেতে দেবনা। এসব কথা কখনও আর বলবানা।
পাগল জামাইটার কথা শুনে না হেসে পারলামনা। এত নিস্পাপ চেহারা। দেখলেই প্রেমে পড়তে ইচছা হয়। খুব ভালবাসে
আমাকে। অবুঝের মত। কিনতু এখনও মুখে বলেনি। তাতে কি আমি ঠিক বুঝে নিয়েছি।
আমি মেঘলা। আমার আর শুভ্রের বিয়ে হয়েছে একমাস আগে। বিয়েটা পরিবার থেকেই হয়েছে।ওর সাথে কথা বলার সুযোগই
পাইনি। বিয়েটা হুট করে হয়ে গেছে কিনা।
শুভ্র—- এইযে মহারাণী, কোথায় হারালেন।
তাড়াতাড়ি বেঁধে দাও, লেট হয়ে যাবেতো।
আমি একটু এগিয়ে ওর পায়ের পাতায় ভর করে দাঁড়ালাম। মুচকি হেসে টাই টা বেঁধে দিলাম।
এই প্রথম ওর এত কাছে আসছি।।।ও একটু লজ্জাও পাচ্ছে। হিহিহিহি ওর লজ্জা রাঙগা চেহারা দেখতে ভালই লাগছে।
শুভ্র—- এহেম এহেম, টাই বাঁধা হয়ে গেছে।
এইযা আমি যে ওকে দেখছি ওতো টের পেয়ে গেছে, ধেত। এখন এখান থেকে কেটে পরতে হবে।
—–কিহল আটকে গেলাম কোথায়?( মনে মনে বললাম)। পেছনে তাকিয়ে দেখি ও আমার হাত ধরে আছে।
শুভ্র— ডাকলাম আমি, আমার পারমিশন ছাড়া যাওয়া হচেছ কোথায়?
—– জ্বী, বলেন।
শুভ্র—– তাকাও আমার দিকে।
—- উহু।
শুভ্র— তাকাতে বলছি।
—- পারবনাতো।
শুভ্র—পারবা,একবার তাকিয়েই দেখ।
—- ভীরু ভীরু চোখে তাকালাম ওর দিকে।
শুভ্র—- কপালে চুমু দিয়ে বলল
“”” প্রকৃতির সব রং তোমার মাঝে তাইতো প্রকৃতিকে ভালবাসি।
“”” বাতাসে তোমার চুলের গন্ধ তাই বাতাস কে ভালবাসি।
“” ভালবাসি ভীষন মহারানী “””
আবেশে ওর বুকে মুখ লুকালাম।
“যাক না ভালবাসার রাজ্যে হারিয়ে ক্ষতি কি তাতে।
নিজেকে তুলে দিলাম আজ তার ই হাতে”