তুমি কাল ফেসবুকে গিয়েছিলে ?
– নাতো।
– মিথ্যা বলো কেন ?
– তোমার সাথে আমি মিথ্যা বলব কেন ? আজব তো।
– তোমার সাথে আমার আরেকটা আইডি এড আছে। আমি তোমাকে কাল ফেসবুকে দেখেছি।
– ওহ হ্যা, গিয়েছিলাম একবার। মনে নাই।
– তাহলে আমাকে অফলাইনে রাখছ কেন ?
– কই নাতো!!
– হ্যা তুমি আমাকে অফলাইনে রাখছ !
– আচ্ছা আমি দেখব। মনে নেই আমার।
– তুমি ফেসবুকে যাও তাতে আমার কোন সমস্যা নাই কিন্তু আমাকে অফলাইনে রাখার মানে কি ?
– বললাম তো কবে রাখছি মনে নেই। দেখতে হবে।
– তারপর কার কার সাথে কথা হল ?
– কারোর সাথে না। এমনি কিছুক্ষণ থেকে বের হয়ে গেছি।
– মিথ্যা বলো কেন ??? তোমার সাথে রাতুলের চ্যাটিং হয়নি ??
– আরে না কি বলো ! তোমার বারণ করার পর থেকে আমি রাতুলের সাথে কথাই বলি না।
– আবারো মিথ্যা বলো ? রাতুল তো আমাকে বলেছে “তোর গার্লফ্রেন্ড এর সাথে চ্যাটিং করছি”।
– ওই রাতুল একটু hii/hlw বলল এই আর কি!!
– তুমি কিছু বলো নাই ?
– পাগল নাকি। তুমি বারণ করার পর আবার ওই ছেলের সাথে কথা !!!
– মিথ্যা বলতেছো কেন ??? তুমি তো ওর সাথে অনেক রোমান্টিক চ্যাটিং করছ আমি জানি।
– দেখো তুমি কিন্তু আমাকে অবিশ্বাস করছ।
– যা সত্য আমি তাই বলছি। তুমি রাতুলকে, “I Love You” বলো নাই ???
– তোমার কাছে আমার কথার চেয়ে রাতুলের কথার মূল্য বেশী হল ? তুমি না আমাকে বিশ্বাস কর, এই তোমার বিশ্বাস ?
– হ্যা তোমাকে আমি অনেক বিশ্বাস করি কিন্তু এই ঘটনার পর আমার নিজেকেও বিশ্বাস করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
– আমি সত্যি বলছি ওর সাথে আমার এমন কোন কথা হয়নি।
– দেখো নাবিলা তোমার ফেসবুক পাসওয়ার্ড আমি জানি। তোমার পাসওয়ার্ড ****** না ???
– কি ? 😮 আমার পাসওয়ার্ড তুমি কেমন করে জানো ???
– যেমন করেই হোক আমি জানি। আর তোমার সাথে আমার কোন আইডি এড নাই এবং রাতুলও আমাকে কিছু বলে নাই। তবে, তুমি যখন রাতুলের সাথে চ্যাটিং করছিলে আমি তখন তোমার আইডিতেই ছিলাম। তোমাদের সব চ্যাটিং আমি পড়েছি আমি মিথ্যা বলছি এই কারণে, আমি দেখতে চেয়েছিলাম তুমি আমার কাছে কতটুকু সত্যি বলো। কিন্তু আপসোস তুমি আমাকে শুধু মিথ্যাই বলে গেছো।
– তুমি আমাকে না বলে আমার আইডিতে ঢুকছ কেন ? তুমি আমার পাসওয়ার্ড চুরি করছ ??
কথাটা বলেই লাইনটা কেটে দিলো নাবিলা। নাবিলা আর অপুর ছয় মাসের রিলেসনশীপ। নাবিলাকে খুব ভালোবাসে অপু কিন্তু নাবিলা বার বার অপুর বিশ্বাস ভঙ্গ করে আসছে। তবুও সর্ম্পকটা টিকিয়ে রাখার জন্য অপু নাবিলার সব ভুল ক্ষমা করে দেয়। তবুও নাবিলা বার বার এই রকম করে যায়। সেদিন নাবিলা আর অপুর কোন কথা হয়নি। পরদিন অপুকে ফোন দিলো নাবিলা।
– হ্যালো
– বলো
– সরি
– কেন ?
– কালকের ঘটনার জন্য।
– কি করেছিলে তুমি যে সরি বলছো ?
– রাতুলের সাথে ওই রকম চ্যাটিং করার জন্য। আসলে আমি মজা করে করছি এইসব। আমি সিরিয়াসলি বলি নাই।
– ভালোবাসা তোমার কাছে মজা ? তাহরে কি আমার ভালোবাসাও তোমার কাছে মজা ছিলো ??
– আরে তা না। আমি ওর সাথে Just Fun করছি। আর করবো না প্রমিস।
– এই নিয়ে পাঁচ বার তুমি প্রমিস করছো আর এমন করবা না।
– এটাই লাষ্ট, trust me baby, plzzz….
– অনেক বিশ্বাস করেছি তোমাকে, আর না।
– সরি সরি, তিন সত্যি আর হবে না, সত্যি বলছি প্রমিস।
– আই এম সরি, ভালো থেকো।
কথাটা বলেই লাইনটা কেটে দিলো অপু। একজন মানুষকে কতবার বিশ্বাস করা যায় অপু জানে না কিন্তু সর্ম্পকটা টিকিয়ে রাখার জন্য অপু বার বার নাবিলাকে বিশ্বাস করেছে, তাকে সুযোগ দিযে গেছে। কিন্তু নাবিলা বার বার অপুর বিশ্বাস ভঙ্গ করে গেছে। আসলেই কিছু কিছু মানুষের কাছে ভালোবাসাটা Just Fun.
আজ নাবিলা হয়ত অন্য কারোর হাতে হাত রেখে ঘুরছে আর অপু নামক ছেলেটি এখনো নাবিলার অপেক্ষায় আছে……….!!!! কিন্তু নাবিলা আজও ধরা ছোঁয়ার বাইরে!!