সকাল সকাল চায়ের দোকানে এসেছে মুন্না, রশিদ এর দোকানের এক কাপ চা না পেলেই নয় মুন্নার.
বাসায় এত চিত্কার চেচামেচি আর ভাল্লাগেনা . খালি শালা বলে কামাই কর. ধুর শালা সকাল সকাল এসব কথা মনে করা মানে দিনটাই মাটি. আর ভাল্লাগেনা. রতন এসেছে, রতন মুন্নার ছেলেবেলার বন্ধু. এখন খুব ভালো জায়গায় জব করছে…খালি মুন্নাকে ঠেস মেরে মেরে কথা বলবে. মুন্না মনে মনে বলল আজ দিনটাই খারাপ যাবে.
—-কিরে মুন্না কাজ কম নাই….সকাল সকাল চা এর দোকানে কি করছিস?
মুন্না——-কি আর করব?. চা বানানো শিখছি. M . A পাস করে চায়ের দোকান দেব ভাবছি….
রতন——তা দে, দুটা পয়সা কামাই হবে, তোর দ্বারা এর থেক বহাল কিসু হবে না.
মুন্না— —-তা ঠিক বলেছিস….
রতন—-২০ তারিখে তুই ফ্রী আছিস তো?
মুন্না—-আমি তো ALL Time এ ফ্রী. তোর মত ভালো জব আর পেলাম কই বল?..
মুন্না খুব ভালো করেই জানে রতন এই জব টা পেয়েছে refference এর জোরে. …মুন্না রেফ্ফেরেন্চে দিয়া জব নেবেনা. শালা সব জায়গায় অনুগ্রহ ভালো লাগে না .
কেন রে ২০ তারিক এ কি আছে?.কি কাজ?
রতন——কাজ না রে, আমার গায়ে হলুদ.
মুন্না——-যা বাবা …বিয়া করছিস? কই কিছু বললি না তো…
রতন——বলব কিরে …এটা কি বলার মত নাকি….মেয়ের বাবা আছে হোম মিনিস্ট্রি তে. ..ওদের টাকা পয়সার অভাব নেই বুঝলি…
মুন্না——–টা অবস্সো, তুই তো আর যেন তেন জায়গায় বিয়ে করবি না. আফটার all তুই একটা ভালো জব করছিস ..
রতন—–তুই বিয়া কবে করছিস?
মুন্না——-ভালো জোকে বলেছিস দোস্ত. বিষ খাবার ও পয়সা নাই আর তুই বলছিস কিনা বিয়া . আমাকে কে মেয়ে দেবে ?
রতন—তা অব্বস্সো ঠিক. তা রত্নার বেপারটি কি হলো রে?
মুন্না খুব ভালো করেই জানে রতন জানে রত্নার বেপার টা. রত্না ভালো জব করছে. খুব ভালো ছেলে কে বিয়ে করবে. মুন্না আসলে তত ভালো নয়তো.
মুন্না কিসু বলল না, মনে মনে হাসলো. এই রতন মল্লিকার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছে চার বছর. একবার মল্লিকা প্রেগনেন্ট ও হলো. এই রতন এসে সেদিন মুন্না কে বলেছিল —-কিসু একটা কর মুন্না. ….মুন্না পুরো বেপারটা manage করে মল্লিকার বিয়েতে সাহায্য করেছে . রতন মল্লিকাকে বিয়ে করেনি. মেয়েটি পরে যাছিল বিশাল ঝামেলায়. শেষমেষ আশিক এর সঙ্গে মল্লিকার বিয়েতে মুন্না অনেক হেল্প করছে. আর আজ সেই রতন দিয়ে যাছে তার গায়ে হলুদ এর দাওয়াত. কি বিচিত্র সেলুকাস. আজ রতন যোগ্য পত্র. কাড়ি কাড়ি টাকা ওলা পাত্রী পক্ষ কিনে নিয়েছে রতন এর মত পত্র কে. হাহ হাহ ভাবতেই ভালো লাগে. সৌভাগ্য যে এমন পাত্র মুন্না হয়নি. মাঝে মাঝে ইছে করে রতন র মত হয়ে যাই. সে ধাপ্পাবাজিতেও Number one . যাক সেসব কথা.
রতন—-তা আসিস তাহলে….আজ উঠি …
মুন্না —- যাবখন
উঠে বাসার পথ ধরল মুন্না …..বাসায় আসতেই মা বাজার এর বাগ ধরিয়ে দিয়ে বলল—বসে বসে তো বাবার হোটেল এ ভালই চলছে এবার কিছু কর্ম কর…বাজার করে এনে আমাদের উদ্দার কর… বাজারের বাগ আর কটা টাকা হাতে নিয়ে হাটা দিল মুন্না…
মনে মনে খালি বলল ===শালার জীবন তাই ঝাস্চেতাই …