স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বাবার বাড়ি আসার আগেই স্বামীকে বললাম,
“ কোন কিছুর জন্যে যদি নির্লজ্জের মতো আমাকে ফোন করো তাহলে তোমাকে আমি গুন্ডা দিয়ে পেটাবো। ”
“ হিহ! শখ কতো। তোমাকে ফোন করবো আমি? তোমার কোন প্রয়োজনই নেই আমার। ”
বাবার বাড়ি আসার ২০ মিনিটের মধ্যেই তাওসিফের ফোন! ফোন রিসিভ করতেই তাওসিফ বলে,
“ এই শুনো আমার জুতাগুলো কই রাখো তুমি? অফিসের সময় হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এখনো জুতা খুঁজে পাচ্ছিনা। ”
“ আলনার নিচে বক্স করে রাখা আছে দেখো এবং তারাতাড়ি অফিসের জন্যে বের হও। ”
ঘন্টাখানেক পর আবার তাওসিফের ফোন,
“ এই শুনো, অফিসের এসাইনমেন্টের ফাইল কোনটা? লাল নাকি নীলটা? ”
“ বাসা থেকে সব ঠিক করে যাওনি কেন? লালটাই তোমার অফিস এসাইনমেন্টের ফাইল। ”
রাতে আবার তাওসিফের ফোন,
“ এই শুনো, আমি ভাত রান্না করতে এসে না ভাত পুড়ে ফেলছি! ডিমভাজি করতে গিয়ে হাতে গরম তেলের ছিটকে পড়েছে। শর্টকাটে কি রান্না করে খাওয়া যায় একটু টিপস দাওনা। ”
“ উফ! তোমাকে রান্নাঘরে যেতে বলেছে কে? নিজের হাতটাই জ্বালিয়েছো আর পুরো রান্নাঘরটাই তুমি উলটপালট করে ফেলেছো তা আমি বুঝে গেছি। আজকের জন্যে বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করে খাও। ”
রাত ১২টার দিকে ঘুমের মধ্যে ফোনের আওয়াজে বিরক্ত হয়ে জাগলাম! খুবই রেগে গিয়ে তাওসিফের ফোনটা রিসিভ করলাম,
“ এই শুনো, আমার কম্বলটা কোথায় রাখছো? খুবই ঠান্ডা লাগছে আজ। ”
“ আলমারির দ্বিতীয় ড্রয়েরটাতে দেখো পেয়ে যাবে! আমাকেতো তোমার নাকি কোন প্রয়োজন নাই তবুও কেন এতো ফোন দাও? এই মধ্যরাতেও ফোন দিয়ে আমার ঘুমটা ভাঙলে। স্বীকার করো আমাকে ছাড়া তুমি চলতেই পারোনা। ”
“ হুহ! নিজেকে কি মনে করো? তোমাকে ছাড়া আমি দিব্যি চলতে পারি। তোমাকে আমার প্রয়োজন নেই। ”
এই বলে তাওসিফ ফোনটা কেটে দেয়!
কিছুক্ষণ পরেই আবার তাওসিফের ফোন,
“ এই শুনো, মশা মারার স্প্রেটা কই বলোতো? মশার কামড়ে পুরো শরীর জ্বলে যাচ্ছে। ”