একদিন একটা লোক বিয়ে করে বউকে নিয়ে পালকিতে চড়ে আসতেছিলেন ।হঠাৎ আধার ঘনিয়ে এল। তাদের আসার পথে একটা বিশাল জঙ্গল বাধল। জঙ্গলটা ছিল খুবই ভয়াবহ। আধার ঘনিয়ে আসার পর এই ভয়াবহ জঙ্গল দিয়ে কেউ চলাফেরা করে না। যদিও লোকটা সেটা জানতো না। তারপর ও তারা কিছুটা ভয় পাইতেছিল।
হঠাৎ করেই লোকটা এবং পালকি চালকদের মূত্র ত্যাগের ইচ্ছা জাগিল। তারা বধুকে পলকিতে রাখিয়া পাশেই মূত্র ত্যাগ করিতে গেল। পালকি যে স্থানে রাখা তার পাশেই ছিল বিশাল আকৃতির কয়েকটা তালগাছ। সেই বিশাল আকৃতির কয়েকটা তালগাছের একটি তালগাছে ছিল একটি মেয়ে ভুত। উক্ত লোকটার বিবাহ দেখিয়া তার ও বিবাহ করার ইচ্ছা জাগিল।
তখন ভুতটা উক্ত বধুটাকে তালগাছে নিয়ে বসিয়ে রেখে আসল এবং বধুর রুপ ধরিয়া পালকিতে গিয়া বসিল। যখন লোকটা এবং পালকি চালকেরা আসল তখন তারা ভুতটাকে বধু ভাবিয়া বাড়িতে নিয়া গেল। বাড়িতে গিয়ে ও তারা আসল বিষয়টা বুঝতে পারল না। কিছুদিন পর তাদের একটা ছেলে হলো।
ছেলেটা তার ভুত মাকে বললো মা আমি নারকেল দিয়ে পিঠা খেতে চাই। তখন তার ভুতমা দেখল ঘরে নারকেল নেই। তখন ভুতটি গাছের নিচে দাড়িয়ে নিচ থেকে হাত বাড়িয়ে দিল এবং মুহূর্তের মধ্যেই হাত বড় হয়ে গেল। এক পর্যায়ে হাত নারকেল স্পর্শ করে নারকেল পেরে নিয়ে আসল। এরপর নারকেলটি হাতে নিয়ে মুখ হতে বড় দাঁত বের করলেন এবং দাঁত দিয়ে কড়মড় শব্দ করে নারকেল ছুললেন।
তারপর পিঠা বানালেন। এটা যে কতটা ভয়াবহ ছিল সেটা দেখলেন তার শ্বশুর। তিনি আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না, ঞ্জান হারালেন। এই কথাটা তিনি তার ছেলেকে বললেন।কিন্তু তার ছেলে বিশ্বাস করলেন না। এই রকম অন্য আরেকটা ঘটনাই তিনি তার ছেলেকে দেখালেন।তখন তিনি বিষয়টি বিশ্বাস করলেন। পরেরদিন তিনি ওঝা ডাকতে গেলেন।
ওঝাকে অন্য বাড়ি রেখে তিনি জুতা নিতে আসলেন।বিষয়টি ভুতটি বুঝতে পারলেন।ভুতটি তার স্বামীর জামার কলার ধরে বললেন তুই ওঝা ডাকতে গেছিলি ওঝা।তখনই ওঝা চলে আসে ও ভুতটাকে মন্রবলে আকরে ধরেন এবং জুতাপিটা করেন।তখন ভুতটা সকল সত্যি কথা বলে দেয়। এছাড়া তার আসল বউকে ফিরিয়ে দেবেন এবং নিজে চলে জাবেন বলেন। এভাবেই গল্পের সমাপ্তি ঘটে।