-হিজাবটা একটু খুলবে? তোমায় দেখতাম।
-হ্যাঁ,খুলছি।
-শাড়ি পরেছো?
-হ্যাঁ।
-কি রঙের?
-দেখবে?
-হ্যাঁ, দেখবো।
-আচ্ছা।একটু অপেক্ষা করো।ওপাশের লোকটা যাক।
-তোমায় তো আজ বেশ লাগছে।
-তাই…
-হ্যাঁ। লজ্জ্বা পেলে?
-হুমমম,একটু।
-বোরকাটা খুলি তাহলে।
-হ্যাঁ খোলো।
-চোখ বন্ধ করো।
-আচ্ছা…!!
-হুমম,এবার।
-বাহ্!! দারুন লাগছে তোমায়।
-হিহি
-সেই শাড়িটা?
-হ্যাঁ…!! শাড়িটা বের করার সময় তোমার পাঞ্জাবীটা দেখে তোমার কথা মনে পড়ছিলো।
-কেঁদেছো?
-হুমমম..
-কেনো?
-তুমি স্বার্থপরের মতো আমাকে ছেড়ে চলে এসেছো।একা একা খুব কষ্ট হয় আমার।আমি যখন চা বানাতে যাই,ভুলে ভুলে তোমার মগেও বানিয়ে ফেলি।গভীর রাতে ঘুমের ভিতর তোমার বালিশের উপর হাত পড়লেই আমার ঘুম ভেঙে যায়।তোমাকে দেখতে না পেলেই আমার কান্না আসে।
-খুব কষ্ট পেয়েছো তাই না?
-অনেক।
-সরি..
-হুহ,সরি বলতে হবে না।
-আচ্ছা শোনো,
-হুম বলো.
-তুমি আমার হয়ে সবাইকে কিছু কথা বলে দিতে পারবে?
-কি কথা?
-ওদের সবাইকে বলবে ওরা যেনো একটু সাবধানে চলাচল করে।সড়ক দুর্ঘটনা যেনো আর কারো প্রিয়জন ছিনিয়ে নিতে না পারে।
-আচ্ছা….. (অশ্রুশিক্ত চোখে)
-উফ..!! এখন কেঁদো না তো।তোমার চোখের কাঁজল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।পায়ে আলতা দিয়েছো?আচ্ছা আমার জন্য বসন্তের ফুল আনোনি?
-হ্যাঁ এনেছি।
-কই দাও..
ফুলগুলো কবরের উপর রেখে,ব্যাগ থেকে কোরআন শরীফটা বের করে পড়তে শুরু করলো মেয়েটা। কথা ছিলো এই বসন্তে শাড়ি-পাঞ্জাবী পরে দুজনে বের হবে।কিন্তু সড়ক দূর্ঘটনা তাদের স্বপ্নের মাঝে এপার ওপারের দুরত্ব তৈরী করে দিয়েছে! 💔