আভিক ও রিয়ার প্রেমের গল্প

আভিক ও রিয়ার প্রেমের গল্প

– হ্যালো.. আভিক তুমি কোথায় সারাদিন তোমার ফোন সুইচড অফ ছিলো। জানো সারাদিনে কতবার ফোন দিয়েছি।
– রিয়া আমি সারাদিন ইন্টার্ভিউ নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম তার মধ্যে আবার কাল রাতে চার্জারটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাই চার্জ দিতে পারিনি।
– কালকে কি টাইম হবে দেখা করার একটা ইম্পরট্যান্ট কথা আছে।
– কাল সকালে একটা ইন্টার্ভিউ ওটা শেষ হতে প্রায় লাঞ্চ হয়ে যাবে তারপরে ফ্রী আছি।
– আচ্ছা।

★★পরের দিন★★
– এতক্ষণে তোমার আশার সময় হলো।
– আর বলো না রাস্তায় যে জ্যাম বনানী থেকে নেমে মহাখালী পর্যন্ত হেটে এসে Then গাড়িতে উঠে আসছি।দেখোনা ঘামিয়ে গিয়েছি।

– হুম দাঁড়াও বাতাস করে দিচ্ছি।
– ইন্টার্ভিউ কেমন হইছে??
– হুম ভালো।আশাকরি এটা হবে।
– লাঞ্চ করেছো?
– হুম।
– কি দিয়ে করেছো?
– ওখান থেকে বেরিয়ে ফুটপাথের একটা চায়ের দোকান থেকে শুকনা একটা রুটি আরেকটা কলা দিয়ে।
– আমি যানতাম এটা খাবে। এসব খাবার খেয়ে খেয়ে তোমার চেহারা কেমন হয়েছে দেখছো?
– কি করবো বলো চাচা বাসায় থাকতে দেয় খেতে দেয় তারপরে কি আর তাদের কাছে কি এক্সট্রা টাকা চাওয়া যায়।তাওতো চাচি মাঝে মাঝে লুকিয়ে টাকা দেয় তাই দিয়ে চলি।
– হুম এখন চলো..
– কোথায়??
– রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করবা।
– না বাসায় গিয়ে করবো এখন না।
– না আমি বলছি চলো..

★★রেস্টুরেন্টে★★
জানো আজ কতোদিন পরে আমার এই প্রিয় খাবার মোরগ পোলাও খাচ্ছি। আমার birthday তে তুমি খাইয়ে ছিলে প্রায় ৮ মাস পরে।মাঝে মাঝে খেতে মন চায় but এটা খেতে যে টাকা লাগবে তা দিয়ে দুদিন চলে যাবে এই ভেবে আর খাওয়া হয় না। যাই হোক তুমি কি বলবে বলে ছিলে…?
– তোমাকে আমার কাজিন রাফির কথা বলেছিলাম না। ও আগামি পরশু দেশে আসতেছে আর তার পরের দিন সন্ধ্যায় বিয়ে।
– হুম ভালো।
– ভালো মানে কি আমার বিয়ে হয়ে গেলে তুমি বেচে যাও তাইনা। আর কেউ তোমাকে যালাবেনা তাইনা। আচ্ছা ঠিক আছে আর কখনো ফোন দিবোনা আর দেখা করার কথাও বলবো না ok.
– দেখো আমি কি করবো বলো আমিতো চেস্টা করছি একটা Job এর জন্য।দেখো আর কয়েকদিন একটু ম্যানেজ করে নাও। আশাকরি এর মাঝে হয়ে যাবে।
– এই বলে বলে ৩ বছর ঘুরিয়েছি but এবার আর কিছুই করার সম্ভাব না।যা করার দুয়েক দিনে করো প্লিজ। আভিক তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।

★★আজ সন্ধ্যায় বিয়ে★★
– আভিক আর দুই ঘন্টা পরে বিয়ে কিছু কি করতে পেরেছো?
– না।
– তাহলে চলোনা আমরা পালিয়ে বিয়ে করি?
– দেখো তোমাকে নিয়ে যাবো কোথায়। বাসায় গেলে চাচা বাসায় উঠতে দিবে না। আর বাইরে হয়তো বা দু একদিন ফ্রেন্ডসদের বাসায় থাকলাম তারপরে কোথায় যাবো।আর বাসা নিয়ে যে থাকবো তা এই মূহুরতে সম্ভাব না।
– আভিক আমার একাউন্টে যে টাকা আছে তা দিয়ে আগামি ছয় মাস চলে যাবে আর তার মাঝেতো তোমার চাকরি হয়ে যাবে।
– রিয়া এটা আমি নিতে পারবো না। এমনিতেই তুমি এ পর‍্যন্ত যতো টাকা দিয়েছো তা হয়তো হিশাব করে পাবো না।
– তার মানে কি বলতে চাও?
– দেখো বিধাতা হয়তো আমাদের ভালোবাসার হ্যাপি Ending দেয়নি তাই এ অবস্থা। তোমাকে আমি ভালোবাসি তাই তোমাকে যদি ভালো রাখতে না পারি তখন নিজের কাছেই খারাপ লাগবে।আর দূরে থেকেওতো ভালোবাসা যায় তাই না হয় দূর থেকে ভালোবেসে যাবো আজিবন।এটাই হয়তো আমাদের শেষ কথা তাই বলছি #_ভালো_থেকো_খুব_ভালো।

আভিক আর রিয়ার গল্প হয়তো এখানেই শেষ হতে পারতো #কিন্তু_না….

কিছুক্ষণ পরে কলিং বেল বাজছে। চাচি ডেকে বললো আভিক বাবা দেখতো কে আসছে।আমি চোখ মুছে দরজাটা খুললাম দেখি কেয়ারটেকার। একটা খাম দিয়ে বললো স্যার এটা আপনার।
খুলে দেখি সোনার হরিন মানে Appointment letter.
আমি তৎখনাত ছুটে গেলাম রিয়ার বাসায়।রিয়াকে ইষারায় বললাম বাসার পিছনে আসতে।

– হুম বলো.
– আমার চাকরি হয়েছে।
– হুম ভালো।আর কিছু?
– না।
– তাহলে চলো!
– কোথায়?
– কাজী অফিসে নাকি যাবানা?
– হুম যাবো মানে দিব্বি যাবো।আর তোমাকে বিয়ের শাড়িতে অনেক সুন্দর লাগছে।
– দেখেন স্যার এখানে বসে এভাবে কথা বললে আর বিয়ে করতে হবে নানে। বাসার কেউ বুজতে পারলে কেলানি দিয়ে ছেরে দিবেনে।
– ওহ হ্যাতো চলো…
– এই কি করছো এখন কি দৌড়ে যাবা নাকি এখান থেকে।
– ইয়ে মানে হয়েছেটা কি যে আশার সময় বাসা থেকে পার্স নিয়ে আসতে ভুলে গেছি।তাই দৌড়ে যেতে হবে একটু।
– তাই না বুদ্ধু আচ্ছা শোনো ভুল যেহেতু করেই ফেলছো একটা অবশ্য Solution আছে।আমি তোমাকে কিছু টাকা লোন দিচ্ছি সেটা দিয়ে তুমি তোমার হবু বউ কে বিয়ের আশরে নিয়ে যাও।
– আচ্ছা ওকে চলেন ম্যাডাম।

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত