বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে পার্লারে গেলাম! ও সবসময় বলে পার্লারে গিয়ে কি করো? পার্লারে গিয়ে কি করো? আজ আমি সাইফকে দেখাতে চাই আমি পার্লারে এসে কি করি।
.
পার্লারে এসে প্রথম ব্ল্যাক মাস্ক ফেসিয়াল দিয়েই কাজ শুরু করি! ৩০মিনিট পর এই ফেসিয়াল হওয়ার পর সাইফ বলে, “ আসো এইবার। ” সাইফকে আমি বলি, “ এখনওতো আমার কোন কাজই হয়নি। ”
.
তারপর ফ্রুট ফেসিয়ালটা করলাম! যে ফেসিয়ালটা করলে চেহারায় গ্লু আসে। প্রায়ই ১ঘন্টা লাগলো এই ফেসিয়াল করতে। ফ্রুট ফেসিয়াল শেষ হবার পর সাইফ বলে, “ এইবার হয়েছে? তাইলে চলো। ”
“ এই এতো তাড়া কিসের হ্যাঁ? ওয়েট করো। ”
.
তারপর গলার ত্বকটা মসচুয়েরাইজিং করি। এইটা করলে গলার নিচের সব ময়লা চলে যায়! প্রায়ই ২০মিনিট পর এইটা শেষ হয়।
শেষ হওয়ার পর সাইফ আবার এসে বলে, “ এইবারতো হয়েছে! এইবার যাওয়া যাক? ”
“ মাথা খারাপ করো কেন? বসো বলছি। ”
.
তারপর আমি আমার চুলগুলো ভালোভাবে ওয়াশ করিয়ে নিই। প্রায়ই ১৫মিনিট পর এইটা শেষ হয়! সাইফ আবার এসে বলে, “ এইবারতো পুরোপুরি শেষ? চলো বলছি যাবে। ”
“ আমি আমার চুল রিবন্ডিং না করেই চলে যাবো?পাগল তুমি? ”
.
তারপর আমি আমার চুলগুলো রিবন্ডিং করিয়ে নিই। রিবন্ডিং করতে টাইম লাগে! প্রায়ই দেড় ঘন্টা পর শেষ হয় চুল রিবন্ডিং করা। সাইফ এসে বলে,
“ হয়েছে চুল রিবন্ডিং করা? চলো তারাতাড়ি! ”
“ আরেকটু বসো প্লিজ! আর বেশি দেরি হবেনা। ”
সাইফকে এই উত্তরটা দিয়ে সামনের দিকে ফিরে আয়নায় তাকাতেই পিছনে ধপাস করে কিসের যেন আওয়াজ হলো! পিছনে ফিরে দেখি সাইফ মাটিতে পড়ে আছে।
“ এই সাইফ এতো তারাতাড়ি পড়ে গেলে হবে? এখনওতো আমার হেয়ার স্পা, ম্যানুকেয়ার্ড, বডি ট্রিটমেন্ট স্পেট এইসব করা হয়নি। উঠো বলছি! ”