এ্যানা মাথা নিচু করে বসে আছে দেয়ালে হেলান দিয়ে, টেবিলে একটা পিস্তল রাখা। ফ্লোরে পরে আছে ওর বান্ধবী শায়লার রক্তাক্ত মৃতদেহ, একটা কাঁচের গ্লাসের ভাঙা অংশ। কি হয়েছিলো এখানে? কেন এ পরিস্থিতি? জানার জন্য পিছনে যাওয়া যাক।
এ্যানা আর শায়লা ভাল বন্ধু, কলেজ লাইফ থেকে। এ্যানা একটা ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টে কাজ করে আর শায়লা একটা প্রাইভেট ফার্মে, দুজনে একটা ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকে। এ্যানা একজনকে খুব ভালবাসে কিন্তু এখন ছেলেটা এড়িয়ে চলছে, এদিকে বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ দিচ্ছে। এ্যানা রাজি নয় দেখে শায়লাকে বলে এ্যনার মা।
সেদিন রাত্রে অফিস থেকে ফিরে ফ্রিজ থেকে পানি বের করে গ্লাসে নিয়ে বোতল রেখে দেয় এ্যনা। পানি পান করতে করতে রুমে শায়লা আসে।
– তুই কি সারাজীবন কুমারী থাকবি?
– তুই কি মায়ের মত জ্ঞান দিতে আসছিস?
– আন্টি খারাপ কি বলে, মেয়ে বয়স হলে বিয়ে দিতেই হয়।
– তুই জানিস আমি জ্যাক কে ভালবাসি।
– জানি, আর এও জানি যে জ্যাক তোকে বিয়ে করবে না
– শায়লা
– সত্য এটাই, ও তোর সাথে টাইম পাস করেছে। এখন ফ্যামিলির অজুহাতে অন্য কাওকে ঠিকই বিয়ে করে নিবে।
– এখনও তো করে নি!
– তোর কি মনে হয়, ও এমনি চুপ করে আছে, তোকে এড়িয়ে চলছে??
– শায়লা চুপ কর
– ও অন্য কোন মেয়ের সাথে সময় দিচ্ছে, আর তোকে তো সেদিন আমার সামনেই বললো, সুইটি না কে যেন, তার সাথে বের হতে হবে।
– তো?
– ও অন্য মেয়ের সাথে ঠিকই ফুর্তি করছে, বিয়েও করবে অন্য মেয়েকে, তোকে নয়। তোকে শুধু ব্যবহার করছে।
– অনেক হইছে, আমি আর শুনতে চাচ্ছি না তোর জ্ঞান (এ্যনা গ্লাস ফ্লোরে ছুড়ে মারে)
– সত্য তোকে মানতেই হবে এ্যনা, তুই বিয়ে করে নে। জ্যাক তোর কাছে ফিরবে না। তুই ওর জন্য দিন দিন সাইকো হয়ে যাচ্ছিস।
– শায়লা, চুপ (শায়লার মাথায় পিস্তলের হাতল দিয়ে বাড়ি দেয় এ্যনা। শায়লা মাটিতে পড়ে যায়, তারপর দুইটা গুলির শব্দ। হুম, শায়লাকে গুলি করে। পিস্তল টেবিলে রেখে শায়লার লাশের পাশে বসে এ্যনা।) আমি তোকে মারতে চাই নি। কিন্তু তুই যখন জ্যাকের সম্পর্কে উল্টো পাল্টা বললি আমি নিতে পারি নি, সত্যি বুকে অনেক বিঁধেছিলো, মাথায় রক্ত উঠে যায়, তাই তোকে মেরে দিলাম, ক্ষমা করিস বোন।
(দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে থাকে এ্যনা। আসলেই ও সাইকো হয়ে গেছে। ভালবাসা মানুষকে সাইকোও করে দেয়। এখন সকালের অপেক্ষা।)