একজন অমানুষের গল্প

একজন অমানুষের গল্প

তোফায়েল আহমেদ ওরফে তোফা স্যার চেয়ারের উপরে
এসে আরাম করে বসে সামনে দাড়িয়ে থাকা যুবককে বললেন,
— হুম, তো কি দরকারে এসেছেন? বলে ফটাফট রুম ত্যাগ করুন।
— দরকার টা এখানে বলা যাবেনা। এর জন্য আপনাকে আমার সাথে বাইরে যেতে হবে।
— হুহ .. আজাইরা। আমি আপনার দরকার সারাতে সময় নষ্ট করে বাইরে যাবো কেন?
— ভুল বললেন, দরকার টা আমার নয়। আপনার …

সুতরাং আমার সাথে বাইরে যাবেন কি না ভেবে দেখুন।
.
তোফায়েল আহমেদ সাহেব যুবকের কথা শুনে কিছুক্ষণভাবলেন।

তারপর যুবককে বললেন,
— চলুন, আমার কি দরকার বাইরে গিয়েই শুনি।
বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথেই তোফায়েল আহমেদের
চোখ মুখ বেধে ফেললো দুইজন যুবক। একজন বোধহয়
বাইরেই দাড়িয়ে ছিলেন।
.
তোফায়েল আহমেদ কে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাওয়া হলো
দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে। এরপর একটা লালপাহাড়ের চুড়ায় উঠিয়ে
তোফায়েল আহমেদের চোখের কালো কাপড় খুলে
দেওয়া হলো, হাত আর পায়ে বাধন থাকায় মাটিতে শুয়ে আছেন
তোফায়েল আহমেদ।
একটুপর যুবক ছেলেটি এগিয়ে এসে অসম্ভব ভয়ঙ্কর মুখবিকৃতি
করে হাসতে শুরু করলো। তোফায়েল আহমেদ ভয়ে
কুঁকড়ে আছেন।
— আমাকে এখানে নিয়ে এলেন কেন? আমাকে ছেড়ে দিন।
যত টাকা চাইবেন দেবো।
— তোফা! এই জায়গাটা চিনতে পারছিস?
একটা কমবয়সী যুবকের মুখে নিজের নাম আর তুইতুকারি শুনে
আৎকে উঠলো তোফায়েল আহমেদ।
— কে আপনি?
— আমি একজন অমানুষ। মনে পড়ে এই জায়গাটার কথা?
— কি বলতে চাইছো তুমি? কে তুমি?
— মনে পড়ে চাঁদনীর কথা? বাচ্চা একটা মেয়ে ছিলো চাঁদনী।
— কোন চাঁদনী?
— পাঁচবছর বয়সী চাঁদনী। চাঁদের মতো ফুটফুটে একটা
মেয়ে। যাকে তুই ধর্ষণ করে এই পাহাড় থেকে ফেলে
দিয়েছিলি।
— এতকিছু তুমি জানো কি করে? কে তুমি?
— আমি কেউ না। তবে তোর কাছে আজকের জন্য আমি
তোরই মতো একজন অমানুষ। চাঁদনী তোর মৃত্যু দেখতে
চায়। যা চাঁদনীর কাছে!
যুবক ছেলেটি একটা লাথি দিয়ে পাহাড়ের চুড়া থেকে ফেলে
দিলো তোফায়েল আহমেদ ওরফে তোফা কে।
.
তারপর একটা পরিতৃপ্তির হাসি দিয়ে আস্তে আস্তে হারিয়ে
গেলো পাহাড়ী বনের গাছপালার আড়ালে।

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত