একটা ছেলে সে যখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ত, প্রেম ভালোবাসা কিছুই বুঝত না। কিন্তু তার এলাকার একটা মেয়েকে দেখতে তার খুব ভালো লাগে এটাই বুঝত, তাই প্রত্যেকদিন বিকেলে মেয়েটির বাসার সামনে মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করত, মেয়েটি ছাদে উঠলে দেখত টা টা দিত পাজলামি করত, এতই সে আনন্দ পেত। একদিন ছেলেটি তার তিন বন্ধুর সাথে পাহারে বেড়াতে যায়, পাহারে জঙ্গল মধ্যে এক ধরনের গাছ আছে, যাকে এসিড গাছ বলা হয়ে থাকে। এই গাছের রসটি শরীলের যে কোন স্থানে লাগানোর সাথে সাথে স্থানটি আগুন পোড়া মত হয়ে যায়।
ছেলেটির বন্ধুগুলো ছিল তার থেকে advance বড় ও চালু। তারা যে যার প্রমিকার নাম এই গাছের রস দিয়ে ছোট লেখছে, কিন্তু ছেলেটি তার প্রমিকা “কে” বা কি লেখবে খুঁজে পাচ্ছে না, তাই মন পড়ল ভালোলাগা মেয়ের কথা, তাই সে ভালোলাগা মানুষটির নাম বড় করে লেখল P+*, তার পর হাটতে হাটতে বাসায় আসতে আসতে হাত লাল থেকে কালছে হয়ে ফুলতে শুরু করল। এখন বাসায় গিয়ে কি বলবে খুজে পাচ্ছে না তাই সারা দিন বাসায় যায়নি। পেটের ক্ষিধা আর আর না পেরে সন্ধ্যায় একটু আগে হাতে একটা গামছা পেছিয়ে বাসায় গেল। বাসায় গিয়ে গামছা খুলার সাথে সাথে গামছা সাথে চামড়া উঠে আসে এবং blooding শুরু হয়ে গেলে, তার বাসার সবাই দেখত পেল কিছু না বলে আগে ডাক্তার নিয়ে যায়। সবাই অবাক এত ছোট ছেলে এত কঠিনভাবে প্রমিকার নাম লেখল, তার পর ডাক্তার দেখিয়ে তাকে বাবা বাসায় নিয়া আসে এবং খুব গালি গালাজ করে। তার পর দু সপ্তাহের মধ্যে পেকে গলে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু নামটা আজ ও আছে, মরে গেলেও থাকবে কালো হয়ে fixed হয়ে বডির সাথে মিশে গেছে।
তারপর থেকে ছেলেটির ভাবনায় শুধুই একটি ভেসে উঠত, ভাবতে ভাবতে একসময় ছেলেটি বুঝতে পেল মেয়েটিকে ভালোবেসে ফেলেছে। একদিক না দেখলে যেন তার ঘুম আসতো না। সে মেয়েটিকে অন্ধভাবে ভালোবাসত, এক সময় ছেলেটির পড়া-লেখায় অমনোযোগী দেখে তার পরিবার তাকে একটি দোকানে লাগিয়ে দেয়। কিন্তু তার কিছুতেই দোকানে মন বসত না। প্রতিদিন একবার হলেও মেয়েটিকে দেখার জন্য আসতো। দোকান বন্ধ করে সন্ধ্যার দিকে মেয়েটিকে দেখতে আসত, কিন্তু তাকে দেখতে পেত না। কিন্তু মেয়েটির বাসার সামনে এসে সাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরি করে গেলেও ছেলেটির ভালো লাগত।
যখন মেয়েটির বাসার সামনে আসত, সে মনে করত এই বাসার আশে পাশে তার ভালোবাসার মানুষটির নিঃশ্বাস ছড়িয়ে আছে। এই রাস্তায় তার পায়ের ধুলো মিশে আছে। আবার সকাল ৬টায় মেয়েটি তার মায়ের সাথে স্কুল বেগ নিয়ে যেন স্কুল বা কোচিং যেত, আর ছেলেটি মেয়েটিকে দেখার জন্য মাঝেমধ্যে রাস্তায় অপেক্ষা করতো মেয়েটিকে একনজর দেখার জন্য। হঠাৎ রাস্তায় দেখা হলে ছেলেটির যেন সারাদিন ঈদ হয়ে যেত। এভাবে ৫ থেকে ৬ বছর কেটে যায়। কিন্তু ছেলেটি আজও জানে না মেয়েটি তাকে ভালোবাসে কি না। নাকি মেয়েটি আজও বুঝে নি ছেলেটি তাকে কতটুকু ভালোবাসে। কিন্তু ছেলেটি তার মনের কথা কখনো মেয়েটিকে বলতে পারেনি, কারন মেয়েটির মা মেয়েটিকে সবসময় স্কুল কোচিং সব জায়গায় নিয়ে কখনো একাকি ছাড়ত না। আজ পর্যন্ত ছেলেটি অনেকজনকেপ দিয়ে তার মনের কথা মেয়েটির কাছে পাটাইছে, কয়টি খবর মেয়েটির কাছে গেছে সে জানত না।
মেয়েটির সাথে ছেলেটির কখনো সরাসরি কথা হয় নি, কিন্তু সপ্নে সব সময় যোগাযোগ তাকত। ছেলেটি মেয়েটিকে এতটাই ভালোবাসতো যে, যতটা সে নিজেকেই ভালোবাসতো না। যখন ছেলেটির বয়স ১৯বা ২০ তখন ছেলেটি বুঝতে শিখল বাস্তবতা। সে বুঝল এই ভালোবাসাটি কখনো সম্ভব নয়। মেয়েটা কি আর আমি কি? মনে প্রশ্ন জাগলো। কিন্তু তাকে বলতে হবে এতদিনের অনুভতি ও ভালোবাসার কথা। হয়তো মেয়েটি ছেলেটিকে ভালোবাসবে না। কিন্তু কোন একদিন মেয়েটি ভাববে যে একটি ছেলে আমাকে কতটুকু ভালোবাসত। তখন মেয়েটি ইন্টার ১ম বর্ষের ছাত্রী, তখন ছেলেটি কলেজে যায়, গিয়ে দেখে মেয়েটি অন্য একটি ছেলের সাথে কথা বলছে, মেয়েটির মাঝে অন্য রকম ভাব। ছেলেটি তার মোবাইল নাম্বার একটি কাগজে টুকে দিতে চাইলে মেয়েটি হাত বাড়িয়ে নিল না। ছেলেটি খুব কষ্ট পেল। রাতে কিছুতেই ঘুমাতেই পারছিল না। তাই সে নেশা গ্রহন করল।
তারপর ধীরেধীরে পুরোপুরি নেশা জগতে ঢুক্র গেল। আড্ডা মারত, মারামারি করত, তারপর রাজনীতিতে যোগ দিল। আজ ছেলেটির রাজনীতি জগতে অনেক প্রভাব কিন্তু aimless. বেছে থাকার কোন আবিলম্বন নাই। হয়তো জেলে, নয়তো রাস্তায় কোন এক সন্ত্রাসীর হাতে তার সুনিশ্চিত মৃত্যু। আমি আর আপনাকে ডিস্টার্ব করব না। অনেক দিনের ইচ্ছা এই গল্পটা আপনাকে জানাবো। আজ জানিয়ে দিলাম। ছেলেটি সারাজীবন মেয়েটিকে ভালোবেসে যাবে, মেয়েটিকে ভালোবাসতে হবে না।