স্বপ্ন বিভ্রাট

স্বপ্ন বিভ্রাট

ঠিক করেছি শাড়ি কিনবো,একটা শাড়ি।হ্যাঁ একটাই।তাতে যা খুশি হয়ে যাক।সস্তায় পেলেও দ্বিতীয় কিনবো না।এমনই প্রতিজ্ঞা যে মহাভারতের ভীষ্মও হার মানবে। তো আমি বেড়িয়ে পড়েছি শাড়ি কিনতে;কাঁধে ভ্যানিটি ব্যাগ দোদুল্যমান।এই যে কিনবো ঠিক করা আর কিনতে বেড়িয়ে পড়া,এই দুইয়ের মধ্যে বড়জোর মিনিট তিন-চার সময় ছিল।তার মধ্যে আমি কখনই বা পলেস্তারা খসে পড়া নাইটি ছেড়ে সেজেগুজে রেডি হলাম আর কখনই বা দরজায় তালা ঝোলালাম।আদৌ তালা দিয়ে এসেছি কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে আমার।যাকগে; গুরুজনেরা বলে গেছেন, এগিয়ে যাওয়াই জীবন, পশ্চাৎপানে তাকিয়ে পশ্চাত্তাপ করার কোনো স্থান সেখানে নেই।সেই মতো আমি এগিয়ে চলেছি,বেশি নয় হাতে গুনে দুটো কি তিনটে বাড়ি ক্রস করেছি এমন সময় দেখি, আমাদের পাড়ার পটলের দাদুর মুদিখানার দোকানটা বড়ো শপিং মল হয়ে গেছে।বাইরের যে সাইনবোর্ডে এতকাল বড়বড়ো করে লেখা থাকতো “ঝিঙে সেনের মুদিখানা, কেও ধার চাহিয়া লজ্জা দিও না”,এখন সেখানেই লেখা “বেনারসী টু মঙ্গলগিরি,পাঁচতলা মল পুরোটাই শাড়ি”।আমার কেন জানি মনে হচ্ছে,”বেনারসী টু ছাপা,পাঁচতলা মল পুুুরোটাই ধাপ্পা!”এইটা লেখা থাকলে ভালো হতো।যাইহোক রাতারাতি মল উঠে গেল, অথচ একচুটকি ধুলোও উড়লো না এ ক্যামন ব্যাপার!

ঝিঙের দোকানেই টুক করে ঢুকে পড়লাম।ঝিঙে হচ্ছে পটলের দাদু। ওদের খানদানি খাবার-দাবারের নাম।পটলের দিদার নাম ছিল স্বর্গবাসী শ্রীমতি পোস্তবালা দেবী।পটলের বাবা পনির,মা মটর।এখন পটলের জন্য চিংড়ির খোঁজ চলছে। তো আমি দোকানে ঢুকে পড়েছি ফটাস্ ফটাস্ শব্দে, তাকিয়ে দেখি বাড়ির স্লিপার পড়ে চলে এসেছি।যাকগে,দিদির রাজ্যে/চতুর্দিকে হাওয়ায় এর শব্দ বাজে। সোজা সাঁই সাঁই শব্দে ঢুকে গেলাম দোকানের ভেতর,দেখি ঝিঙে সেন বসে আছে কাউন্টারে,আর দ্বিতীয় লোক নেই।অর্থাৎ মলের তিনিই ম্যানেজার, তিনিই কর্মচারী।মাথাটা এবারে ভনভন করছে একগাল হেসে বললাম,

‘শাড়ি দেখবো দাদু’,
‘হ্যাঁ বাবা,দেখো,’ ;
‘না মানে শুধু দেখবোনা,কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরে দেখবো আর কি!’
‘হ্যাঁ বাবা, নিশ্চিয় কিনবে।তোমরা কিনবে বলেই তো কাল রাতে মুদিখানার দোকানটাকে মল বানালাম।
গাঁজার এক্সপায়ারি ডেট কতোটা এক্সপায়ার করে গেলে মানুষ তার এফেক্টে এসব বলে ভাবুন!

…এদিকে আমি কী বলবো ভেবে না পেয়ে দুম করে বলে বসলাম, ‘আমাকে ২/৩ লাখের মধ্যে শাড়ি দেখাবেন’ বাঁ-ডান সব দিকের বুক একসাথে চিনচিন করে উঠলো।২/৩ লাখ!নিজের মাথা খারাপের লক্ষণ আমি নিজেই বুুঝতে পারছি।..কিন্তু আমার একটা প্রেস্টিজ আছে,বলে দেয়া কথা আমি ফেরাই না,বিশাল ব্যাপার আমার!তাই আমি ডাঁটাচচ্চরির ডাঁটার মতো বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।মনে মনে ছক কষে ফেলেছি,ঝিঙে যা দেখাবে তাই বাখারি বলে রিজেক্ট করবো। সব মিলিয়ে যে গোটা তিরিশেক শাড়ি আমি এতক্ষণে দেখে ফেলেছি,সেগুলো কিন্তু সত্যিই পছন্দ হয়নি আমার।আমার হাবভাব একদম আলাদা।

কেন এরম করে বেড়াচ্ছি তা বোঝা যাচ্ছে না। এদিকে পটলের দাদুও নাছোড়বান্দা, যতোই বলি পছন্দ নয়,বোঝেনা কিছুতেই।ভাবখানা এমন যেন তার দোকান থেকে খালি হাতে ফিরে গেলে পৃথিবী তার কক্ষপথ থেকে ছিটকে পাশের পাড়ার মালতীদের বাড়ি ঢুকে যেতে পারে! পটলের দাদুুুর সাথে এক পাড়াতে সতেরো বছর ধরে রয়েছি, কিন্তু দাদু যে এতোও নাছোড়বান্দা আগে টের পাইনি!আমাকে বসতে বলে সারা মল ছুটে বেড়াচ্ছে,যেন সদ্য হাঁটতে শেখার আনন্দে দাদু পাগলপারা।এবার তো পুরো কাছা উঁচিয়ে দোতলা অভিমুখে ছুটছেন, বাছাই করা শাড়ি আমাকে দেখাবেন বলে এসব কি?অ্যাঁ!ম্যানেজার কবে কোন মলে ছুটে বেড়ায়!কাস্টমার নিজের নিজের পছন্দমতো সেই সেই স্থলে পৌঁছে যায়।যাতা,যাতা করছে পটলের দাদু।কিন্তু আর আমি কিছুতেই বরদাস্ত করবোনা।আমার ব্যাগে ৪/৫ হাজার যা আছে তাই দিয়েই কিনে নেবো শাড়ি।দাদু দোতলায় নাচ করছে, এটাই মোক্ষম সময়।ব্যাগে কতো টাকা আছে গুনে নেয়া যাক!হ্যাঁ লাখ-দুলাখের মধ্যে শাড়ি দেখাতে বলেছি,সেই মতো দেখতে গেলে ৪/৫ হাজারও তো লাখের মধ্যেই পড়ছে…ব্যাস, বলতে তো পারবে না কথার খেলাপ করেছি!

আমি এখন মলের মেঝেতে বসে রয়েছি।ব্যাগের ভিতরকার নাড়ি-ভুঁড়ি-চামড়া যা ছিল সব বার করে এনেছি।তাতে করে যা বেরিয়েছে: একটা পঞ্চাশ টাকা,দুটো কুড়ি টাকা,চারটে দশ টাকা,তিনটে দশের কয়েন,একটা আধুলি,আর দুুুটো একে-অপরের সঙ্গে চিপকে যাওয়া একটাকার কয়েন;এদের এক হতে সাহায্য করেছে বহুকাল ধরে পড়ে থেকে থেকে গলে যাওয়া আধখানা গার্ডার;তাকে সঠিক সময়ে সৎকার করা হয় নি বলে,সে এভাবে নিজের প্রতিশোধ সম্পূর্ণ করলো হি হি হা হা হা!আমি না, গার্ডার টা এরম করে হাসছে। আমিও হাসছি,সম্ভবতঃ মাথাটা আর কাজ করছে না।নয়তো আমার এখন সুর করে কাঁদার কথা।আমি যে কিনা ব্যাগে একশো ষাট টাকা পঞ্চাশ পয়সা নিয়ে ঘুরছি,আর শপিং মলে ঢুকে দু-লাখের শাড়ি অর্ডার করেছি!সজ্জন ব্যক্তিরা দয়া করে আমাকে পাগলাগারদে নামিয়ে দিয়ে আসার ব্যবস্থা করুন।পাগলাগারদে নামাবার কথাতেই মাথায় এলো দাদু এখন আশেপাশে নাই।টুক করে বেরিয়ে বাড়ি ঢুকে পড়লেই হোলো!গুটি গুটি পায়ে আমি বেরিয়ে আসছি মল থেকে।একটা টোটো দাঁড়িয়েই ছিল, চেপে বসলাম।বললাম বাড়ি চলো।সাঁসাঁ বেগে টোটো ছুটতে শুরু করেছে।বুঝলাম টোটো চালক পাইলট হতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি।তাই রকেটের বেগে টোটো ছুটিয়ে সে ভাঙা স্বপ্ন গোটা করার চেষ্টা করে চলেছে।
খানিকটা এগোতেই আমার মনে পড়লো মল থেকে দুটো গোটা আর একটা আধখাওয়া গোটা বাড়ি পার করলেই আমার বাড়ি।তবে আমি টোটোয় কেন?আর টোটো এদিকে কেন!জিঞ্জেস করলাম,

‘কোথায় যাচ্ছ?’
‘বাড়ি’
‘কার বাড়ি!’
‘আমার’
‘কেন যাচ্ছ তোমার বাড়ি?যাবার তো কথা আমার বাড়ি!’
‘সেইটা তো বলেন নি আপনি..আপনি বললেন বাড়ি চলো,তাই ভাবলাম…’
‘তাই ভাবলে আমি তোমার বাড়ি যেতে চাইছি!তুুমি তো জিঞ্জেস করবে কোথায় যেতে হবে না হবে!তা নয়..’
‘প্যাসেঞ্জার ভগবান, তাই মুখের ওপর কিছু বলিনা’
‘উফফফ্!গাড়ি ঘোরাও।জলদি…’

গলিটা এতো ন্যারো যে টোটো ঘুরছে না,অন্য যে বিভিন্ন উপায়ে এই কাজ সম্ভব হতে পারে, সে চেষ্টা টোটো চালক ভুল করেও করছে না।আমি শুধু পেছন থেকে ‘জলদি করো,জলদি!কাম অন!ফাস্ট ফাস্ট,ইউ ক্যান ডু ইট..’ যেন আমার ছেলে ২০০মিটার দৌড় দিচ্ছে, আর আমি পাশ থেকে মোটিভেট করছি,কাম অন!ফাস্ট ফাস্ট,ইউ ক্যান.. আমি এখনও টোটোতে বসে আছি,এর চাইতে নেমে হাঁঁটা দিলে আগে পৌঁছতাম।কিন্তু সেটা কে বোঝাবে আমার মতো মাথামোটাকে। ….হঠাৎ দেখি কিসব স্লোগান দিতে দিতে কয়েকজন আমার দিকেই এগিয়ে আসছে।মাঝে মধ্যে চিৎকার করে একজন দাদুগোছের লোক লাফিয়ে উঠছে।দাদুর পাশের ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা ঠেকছে,কিছুতেই মনে করতে পারছি না।কোথায় যেন দেখেছি!আরে ইনি তো আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড,বর্তমানে দেশের বাইরে থাকেন। কিন্তু মাত্র পাঁচ মিনিটে ইউএসএ থেকে সরাসরি গোবরডাঙায় নামিয়ে দিয়ে যায়, এমন কোন্ ফ্লাইট আছে ফ্র্যান্দস্?তিনি দাদুর হয়ে শ্লোগান দিচ্ছেন, “বুড়ো মানুষকে মলে ছুটিয়ে/ও মেয়ে তুমি পালালে কেন শাড়ি না নিয়ে!,জাতির জনগণ আজ তোমার মুখোমুখি/তুমি আর খেলোনা টুকিটুকি!” শ্লোগান দিচ্ছেন আর আমার দিকে এগিয়ে আসছেন।এদিকে আমার টোটো যেখানে যেমন অবস্থায় ছিল, তেমনই আছে।শুধু ফালতু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গাড়িটাকে ঘোরানোর।ডিজ্গাস্টিং! হঠাৎ দুওয়াটের মাথায় দুুুশোওয়াটের বাল্ব জ্বলে উঠল।চট করে বললাম, ‘আরে তুমি কি বোকা গো!তোমার টোটোটাকে ছোটো করে নিতে পারছোনা!এই বুদ্ধি নিয়ে টোটো চালাও?ছোটো করে নিলে তো ওদের পায়ের ফাঁক দিয়ে গলে চলে যাবে।’ টোটোওয়ালা

স্যালুটের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।মানে এমন লেভেলের আইডিয়া,বস আপনি তো মন ছুঁয়ে নিলেন! এদিকে ওরা শ্লোগান দিতে দিতে সেই একই গতিতে এগিয়ে আসছে, কোথাও টি ব্রেক নিচ্ছেনা,অথচ কিছুতেই আমার কাছে পৌঁছচ্ছেনা।আমি নিশ্চয় কোনো জন্মে ডেট পেরোনো গাঁজা খাইয়ে ছিলাম কাওকে!নয়তো এসব চোঁয়া ঢেকুুরের মতো কাণ্ড আমাকে সহ্য করতে হয়! শুধু কি চোঁয়া ঢেকুুর!অ্যানাকোণ্ডার প্যাঁচে পড়লে যেরম দমবন্ধ হয়ে আসে,আমার কেন জানি না সেরম অনুভূতি হচ্ছে।তাকিয়ে দেখি, টোটো ছোটো হতে হতে খেলনা টোটোয় পরিনত হয়েছে।ড্রাইভার ঠিকমতো সেট হয়ে গেছে।কিন্তু আমি তো সেই পূূূ্র্বের আয়তনেই রয়ে গেছি।তাই দমবন্ধ হয়ে আসছে।কিন্তু আমি মরে যাচ্ছিনা,টোটোও ভেঙে-ফেটে যাচ্ছে না।আমি কখনো কখনো উঁহ্ উঁহ্ করে নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যাথার জানান দিচ্ছি।তো কখনো রোলের ভিতরকার মাংসের টুকরোর মতো পরোটা ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসতে চাইছি,মানে টোটো ভেঙে-ছিঁড়ে কিছুু একটা করে আর কি…

শাড়ি কেনার কথা ভাবাটাই আমার ভুল হয়ে গেছে,অন্যায় হয়ে গেছে।নয়তো এএইসব পচা ডিমের গন্ধযুক্ত কাণ্ড আমার জীবনে কারখানা খুলে বসে!সকাল থেকে যাতা ঘটে চলেছে আমার সাথে,যাতা!কিন্তু আর না,ব্যাগে আট আনা তো কি হয়েছে?আমার প্রেস্টিজ ষোলোআনার।তাই বাঘের মতো এর মোকাবেলা করতে হবে, মানে বাঘিনী!ছয় বছরের বিবাহিত জীবনে এর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে আমার।অতএব টোটো থেকে নেমে বুক চিতিয়ে দাঁড়াবার মনস্থির করে ফেললাম। উঁহু্,আআআআ,ইয়াআআ উরিবাবারে কিছুতেই টোটো থেকে নামতে পারছি না।এদিকে ওরা সলিগান দিতে দিতে চলে আসছে।মলে শাড়ি না কিনে চলে আসলে মলের লোকজন স্লোগান দিয়ে পিছু নেয়! কবে কে শুনেছে এসব!আর শাড়ি না কেনার সাথে এই বিপ্লবের কি ইয়ে? আমিও পাল্টা শ্লোগান শুরু করে দিয়েছি টোটোর ভিতর থেকেই; ‘নিজেরা বাইরে থেকে টোটোর ভেতরে গুঁজে রাখা নিরীহ পাাবলিককে ভয় দেখানো চলছে না, চলবে না।’এইসব ফালতু বকে চলেছি আর গুটিপোকার মতো নড়ছি,এদিকে আর ওদিকে,ওদিকে আর সেদিকে।দমবন্ধ হয়ে আসছে।বাঁঁচার চান্স তলানিতে ঠেকেছে।এবার টোটো ভেঙে না ফেললেই নয়।ইয়াআআআআআ, আজ অব্দি যতো ভেজালে ভরা ফাস্ট ফুড খেয়েছি তার দিব্যি, আজ আমায় টোটো ভেঙে ফেলা থেকে কেও আটকাতে পারবেনা।ইয়ায়াআআআআআআআআআআআআআহুহ্!শেষ অব্দদি ক্যারাটে করে আমি সব বন্ধন ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলেছি;তবে সেটা টোটোর নয়,আমার বেডরুমের ব্ল্যাঙ্কেটের! তুলো উড়ছে এখন…

আর কতো জয়জয়কার করবেন আমার!আপনারা তো আমার দুটো চিকবোন পুরো লাল টমেটো বানিয়ে দিয়েছেন।আমি জানি, আপনারাও এখন ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন,এমন লেভেলের স্বপ্ন প্র্যাকটিক্যালি চেখে দেখবার জন্য।তার জন্য বিশেষ কিছুই করতে হবে না আপনাদের।সারাদিনমান মূলো আর কপির বিভিন্ন পদ বানাতে থাকুন আর থেকে থেকে সেসব খেতে থাকুন।আমার রান্নার মাসি গত কাল মূলো আর ফুলকপির কিছু এক্সপেরিমেন্টাল ডিশ বানিয়ে আমাকে মেন্টাল বানিয়ে দিয়েছে।গতকাল আমি দিনরাত এক করে শুধুই মূলোর বিরিয়ানি,ফুলকপির পায়েস,মূলোর কাবাব গিলে চলেছি।বাঁধাকপির রাইতা!তাও আমি ছাগলের মতো কচকচ করে চিবিয়েছি।তারই ফলাফল আমার শাড়ি বিভ্রাট, আই মিন স্বপ্ন বিভ্রাট!

আর একটা কথা ফ্র্যান্দস্,আশেপাশে আমার বর নাই তো!আসলে ফ্রয়েডীয় তত্ত্ব বলে সারাদিন যার কথা বেশি ভাবা হয় সেই অবচেতন মনে নিজের স্থান করে।এখন বুঝতেই পারছেন, আমার বর যদি এসবের কথা জানতে পারে তবে কি সে আমাকে শাড়ি কিনে দেয়া থেকে নিজেকে সামলাতে পারবে!!কিন্তু, কিন্তু আমি তো মোটেই সেরম মেয়ে নই যে সঞ্চয় বোঝে না! তাই বলছিলাম আর কি!

আশেপাশে আমার বর নাই তো!

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত