মায়ের অবহেলিত রাত্রি মেয়েটা

মায়ের অবহেলিত রাত্রি মেয়েটা

সেদিন রাতে রাত্রি মেয়েটা ড্রেয়ার থেকে পুরানো এলব্যাম এর ফটো গুলো একটা একটা দেখতেছে আর মুচকি মুচকি হাসতেছে।রাত্রি মেয়েটা ফটোগুলো দেখে খুব চিন্তুা পড়ে গেছে।ভেবে কুল পাচ্ছে না বউ সেজে তার বাবার সাথে মেয়েটা কে?চোখে কাজল, হাতে লাল চুড়ি, পরনে লাল শাড়ি, মেয়েটা কে হতে পারে?অনেক ভেবে যখন কুল পাচ্ছে না তখন দৌড় দিয়ে আসলো আমার কাছে।খুব আবেগী হয়ে আমার রাত্রি মেয়েটা বলে-

_বাবা বাবা এ মেয়েটা কে আপনার সাথে বউ সেজে বসে আছে ?
রাত্রি যখন আমাকে এ কথা বলে তখন বুকটা ফেঁটে যাচ্ছিলো।খুব চিৎকার দিয়ে বলার ইচ্ছা ছিলো এটা তোমার আম্মু।কিন্তু আমি বলতে গিয়েও বলতে পারি নাই।কি করে বলবো- তার মা যদি মারা যেতো তাহলে আমি বলতে পারতাম?মামুনি তোমার আম্মু আল্লাহ্র কাছে গেছে কিছুদিন পরে আসবে।কিন্তু আমি কি করে এ কথা বলবো? তার মা’তো পরকীয়া প্রেমের মায়া জালে বন্দী হয়ে আছে, যেখান থেকে আর কখনো ফিরে আসবে না।দেখতে আসবে না ফুঁটফুঁঠে রাত্রি মেয়েটাকে।

আজ থেকে তিনবছর আগে পরিবারের সবার খুশিমতো অারহী’কে বিয়ে করছি।বিয়ের আগে অনেকবার জিজ্ঞাস করছি-
_অারহী তুমি কি কাউকে ভালোবাসো নাকি,কাউকে পছন্দ করেে নাকি?
উওর একটাই দেয় অারহী
_না।

বিয়ে পরে অারহী’কে কোনো অভাব এ রাখি নাই ভালোবাসা দিয়ে সব পূরন করে দিয়েছি।
অপূর্ণ ভালোবাসাকে পূরন করতে অারহীর পেটে রাত্রির বসবাস।আমার রাত্রি যখন পৃথিবীতে আসে তখন হয়তো অারহী খুব কষ্ট ফেয়েছে তাই লালনপালন করার ভয়ে পরকীয়া প্রেমিক এর সাথে চলে যায়।রাত্রির যখন একবছর তিনমাস তখন অারহী পালিয়ে আগের ভালোবাসার মানুষের সাথে চলে যায়।

অারহী চলে যাওয়াতে একটু আমি কষ্ট পাই নাই কেন পাবো?আমিতো সবকিছু তাকে উৎর্সগ করে দিয়েছি।আমার’তো কোনো দোষ ছিলো না।
সত্যি বলতে কি কাউকে অন্ধ বিশ্বাস করতে নাই।অন্ধ বিশ্বাসের ফলে পরকীয়া ভালোবাসার জন্ম হয়।

শতকরা ৭০% মেয়ে ঘরে অভাব আসলে স্বামীর সাথে কিছু না কিছু নিয়ে ঝগড়া করে। কিন্তু তারা স্বামীকে বলতে পারে না-
→প্রিয় স্বামী আপনি এতো চিন্তিত হওয়ার কারণ নাই দেখবেন আমাদের ঘরে আবার শান্তি ফিরে আসবে,দূর করে দিবে মহান আল্লাহ সব অভাব।

এমন করে সব স্ত্রী বলতে পারে না তারা নিজের সুখের জন্য পরকীয়া প্রেম করে পালিয়ে গিয়ে সুখের ছায়া থাকতে চায়।কিন্তু আমি’তো সবকিছু দিয়ে অারহী’কে খুশি রেখেছি তাহলে সে কেন আমাকে, আমার রাত্রি মেয়েকে ছেড়ে চলে গেলো?হয়তো আরেকটু সু্খে থাকার জন্য।

আপনি কি জানেন?
শতকরা৮০% ছেলে অল্প কিছু ফেলে খুশি থাকে।হ্যাঁ আমি জানি এবং বিশ্বাস করি।কারণ আমি অনেক বড়ভাইদের সাথে ঘুরছি আড্ডা দিয়েছি তাদের মুখে শুনছি-
→অালহামদুলিল্লাহ্ আমি অনেক খুশি।আমার স্ত্রী আজ পর্যন্ত আমার উপরে নারাজ হয় নাই।সুখে দুঃখে আমার পাশ থেকে ভরসা দিয়েছে।এমন ভাইদের স্ত্রীরা গভীর রাতে স্বামীর কানে হয়তো এটা বলে?অালহামদুলিল্লাহ্ আপনার মতো একজন সত্যবাদী স্বামী ফেয়ে আমি নিজেকে আজ ধন্য মনে করতেছি।

এমন করে যে ভাইদের স্ত্রীরা বলে তারা হলো ৩০% এ থাকা মেয়েরগুলো।এ ৩০% মেয়েরগুলোর জন্য দেশটা এখনো সুন্দর। মহান আল্লাহ তাদের যেনো সবসময় হাসিখুশিতে রাখে।আর ৭০% মেয়েদেরকে যেনো মহান আল্লাহ হেদায়েত দান করুক স্বামীর কষ্টটুকু বুঝার তৌফিক দান করুক।
আমাকে চিন্তিত দেখে আমার রাত্রি মেয়েটা আবার জিজ্ঞেস করে-

_বাবা বলো না এ মেয়েটা কে?
_এ হচ্ছে একটা প্রতারক মেয়ে,দেখতে খুব সুন্দর কিন্তু তার মনটুকু অনেক কালো।
_তবে মেয়েটা কে,আমাদের বাসায় কেন আসছে?
_আমাদের সাথে প্রতারণা করতে আসছে,
প্রতারণা করে আবার চলে গেছে।
_তাই বুঝি।
_হ্যাঁ,
_আচ্ছা বাবা আমার আম্মু কোথায়?
_তোমার আম্মু নাই।
_তাহলে আমি কিভাবে আপনার কাছে আসছি?
_আমি আল্লাহকে বলছি-
আমাকে খুব সুন্দর একটা মেয়ে দাও।যার কণ্ঠ শুনে আমার যেন ঘুম ভাঙ্গতে পারে।তাই আল্লাহ তোমাকে আমার কাছে পাঠিয়েছে আমার খুব ভাঙ্গার জন্য।
_তাই আব্বু?
_হ্যাঁ তাই।
_যাও দাদীমার কাছে ঘুমাতে যাও।
_আচ্ছা!

রাত্রির কাছে এখন তার মায়ের চরিত্র লুকিয়ে রাখছি।কিন্তু আমার রাত্রি মামুনি একদিন ঠিকে জানতে পারবে তার গর্ভধারণী মা তাকে রেখে সুখের জন্য পালিয়ে বিয়ে করছে।তার গর্ভধারণী মা নিজের ভালোবাসা সার্থক করতে রাত্রি মেয়েটা মায়ের ভালোবাসা থেকে আজ বঞ্চিত।
মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হলে কি হবে রাত্রি মেয়েটা বাবার এত্তগুলি ভালোবাসা পেয়ে একদিন বড় হবে ইনশাআল্লাহ্।

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত