জীবন

জীবন

আচ্ছা আমরা ছোট তাকতে কত অসহায় তাকি মা বাবার কাছে তাই না???!! রাস্তায় হাটার সময় একটি মেয়েকে তার দুই বান্ধবি বল্ল আজ ২ টা বাজে আসবো ওকে।। মেয়েটি ডাক দিয়ে বল্ল আসিচ না আমার আম্মু আছে আব্বুও আছে।

কিন্তু আমার ছোট বেলাটা ছিল একটু অন্যরকম আমি যা চায়তাম তাই হত মা – বাবার পক্ষ থেকে কোনো বাধা ছিল না।  যখন বড় ভাইরা (নিজের নয় এলাকার বড় ভাই) বলতো আম্মার জন্য কিছু করতে পারিনা
আব্বার জন্য কিছু করতে পারিনা।
তখন মনে মনে বলতাম কি বলে নিজের ঘরে নিজে ইচ্ছা মত কিছু করতে পারে না।
আমি যা চায় তাই করি আমার মা বাবা অনেক ভালো।
মনে মনে খুব খুশি হতাম এমন ঘরে জম্ম আমার।

একদিন একটা শব্দ কানে আসে তোকে আর বসায় বসায় খাওয়াতে পারবো না এবার কাজ কর!
মুখের উপর বলে দিলাম পারবো না।
যদিও কিছু হয়নি দিন দিন এটা প্রভাব বাড়তে লাগলো কতায় কতায় একি কথা কাজ কর না করলে বেড় হয়ে যা।
আরে নিজেয় বলে ছিলাম মনে মনে বড় ভাইয়ের কথা শুনে নিজের ঘরে নিজে কিছু করতে পারে না।
কয় ঘর আমার তো ঘর নায় এটা তো আব্বুর ঘর কাজ না করলে এখন বেড় করে দিবে।
তাহলে আমার আর কি রইল।
একটু চিন্তায় পড়ে গেলাম আমি কে,, কি আমার অধিকার,,, আমার কাজ কি??? হাজারো প্রশ্ন মনে আসা শুরু করলো।

চিন্তা করলাম আসলেই তো খায় আব্বার ভাত তাকি আব্বার ঘরে তার কথা মতো ই তো চলতে হবে সে পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে পেলে সেই টাকা আমার পেছনে খরচ করে আর আমি বসে বসে সেই টাকা খরচ করি।
কেনো আমি অন্যর টাকা নিবো কেনো আমি তো পুরুষ আমি নিজের টাকায় নিজে চলবো।
রাগের মাতায় আব্বুকে বলে দিয়েছি তোমার টাকায় আর খাবো না।
সেই তখন থেকে জীবনের সব স্বাদ ওটে যাচ্ছে টাকা আয় করা যে কত কষ্টের তা আজ হারে হারে টের পাচ্ছি।
কেনো যে বাস্তব জীবনে পা দিলাম জীবনের সব থেকে বড় ভুল করলাম।
সেই দিন আত্তসর্মার চিনে গেছি বিবেক নামে একটা জিনিস এই দেহে ছিল তাই বাস্তটাকে মেনে নিতে হয়েছিল।
বিশ্বাস করো আমি বুজে ছিলাম বাস্তবটা এমনি হবে অনেক কষ্ট কিন্তু জানা স্বত্তেও নিজেকে সেই
পথে নামিয়েছিলাম।

কারন আমি তো ছোট থেকে কারো কথা শুনার অভ্যাশ ছিলো না আমি যা চায় সেটায় হতে হবে। আজ আব্বু আমার পথের বাধা যার সাহসে কথা বলতাম সেই আজ সব সাহস কেরে নিয়েছে।
আজ দেখি সেই বন্ধুদের যারা মা বাবার ভয়ে বন্ধুকে ঘরে নিতে ভয় পেতো আজ তারায় ঘরে বন্ধু নিয়ে মজা করে।
আর আমি নিজেয় ঘরে যেতে সংখোজ করি ওইটা তো আমার ঘর নয় আমার কোনো কথা এই ঘরে চলবে না।
ভয়ে ভয়ে তাকি কোনো বন্ধু এসে এই বুজি বল্ল
ছল তোর ঘরে যাবো কি বলবো ওকে ওটা আমার ঘর নয় নাকি বলব আব্বু আছে।
হাসবে সে আমার কথা শুনে আমি হবো হাশির পাত্র। যেটা মোটেও পছন্দ করিনা।
সেই দিন তেকে নেমে পড়েছি জীবন যুদ্ধে। সব কিছু নিজের করে নিবো বলে।
খুবি কষ্ট এই জীবনটা। এই পথে যারা নেমেছে তারা জীবনের রং হারিয়ে পেলেছে যা আমার ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হয়নি।

আজ পায়ের তলে মাটি আছে,,, আছে মাথার উপর ছাদ,,, গায়ের পোশাক পেটের ভাত পকেটের টাকা সবি নিজের।
আজ আর কেউ বলবে না বের হয়ে যা ঘর থেকে কেউ বলবে না আমার ভাত খাবি না।
কারন এখন আর কারো ঘরে তাকি ও না কারো খায়ও না।
তবু মনকে শান্ত করতে পারলাম না। এটা দিয়ে তো কিছুই হবে না এটা দিয়ে তো শুধু নিজের টায় পোশাবে আগামি বংশদূত কি করবে।।
না এটা দিয়ে হবে না আরো চায়।
আমি চায়না আমার মত পরিস্তিতি আমার বংশদূতের হওক।
আমাকে যেনো বলতে না হয় যা কাজ করে খা।

আমি তার বদলে বলবো তুই কি করবি সব তো আমি করেই রেখেছি তুই যা করবি সব আমি আগেয় করে পেলেছি তুই শুধু মনের মত আনন্দ করবি যা আমি করতে পারিনি।
এতেই কি মন শান্ত হল?????
কই নাহ আমার আরো চায় আরো বেশি লাগবে।
এগুলো দিয়ে আমার হবে না।
সেই দিনের কথা বুলিনি যখন আব্বুকে রাগ করে বলেছিলাম যাও খাবোনা তোমার ভাত। রাগ করে সারাদিন বাহিরে ছিলাম মানিবেগটাও বাসায় পেলে আসলাম সেই কি যে খিদা লাগছে চোখের কোনে না চায়তে জল এসে ভির করেছে।।

কি করব বলেন কখনো না খেয়ে তাকিনি। মায়ের বকুনি খাওয়ার থেকে ভালো খেয়ে নেওয়া। রাতে না খেয়ে গুমিয়ে পড়লে মা নিজের হাতে শুকনো শুকনো করে মুখে খায়য়ে দিত গুমের মধো। সেই ছেলে আমি সকাল থেকে পানিও পেটে পড়েনি।
সে দিন থেকে না খেয়ে তাকার অভ্যাস করেছিলাম কষ্ট হয়েছিল তবে ধীরে ধীরে সব টিক হয়ে গিয়েছিল। না খেয়ে সারাদিন ও খাটিয়েছি।
আজ দেখি হাজারও মানুষ রাস্তায় ঘুমায় তার কোনো ঘর নেয় যেমন আমার ও ছিলোনা সে হয়তো করে নিতে পারে নি।
হাজারও মানুষকে দেখি কেউ কিছু খেলে তার কাছে গিয়ে হাতটা পেতে দেয় কেউ পায় কেউ পায়না।
না জানি তাদের কত কষ্ট আমি একটা দিন না খেয়ে ছিলাম চোখে জল এসে ছিল।
আমাকে এমন কিছু করতে হবে যাতে এই সব কষ্টে থাকা লোকদের কষ্ট দূর করতে পাড়ি।।
হে আল্লা তোমার কাছে দোয়া চায় তোমার রহমতের বরকতে যেনো আমি তাদের কষ্ট দূর করতে পারি।

এখন কি মন শান্তি পাবে। ওই মন তুই কি এখন শান্ত হলি নাহ মন কোনো সারা দিচ্ছে না তার মানে ভরে নি।
আরো বেশি আরো বেশি এতোটায় চায় যে, যা করার পর শেষ করতে কষ্ট হয়ে যাবে। আমি আমার মনকে শান্ত করার জন্য সব করতে রাজি জীবনের সব রংগ ত্যাগ করতে রাজি আমি একজন আনন্দ না করলে কি আর হবে লক্ষ লক্ষ লোক আনন্দ করবে। হোকনা জীবনটা তার পিছনেয় দিয়ে দিলাম সব মায়া ত্যাগ করে। অন্যদেরতো আর ত্যাগ করতে হবে না।

আমি সর্বোচ্ছ শিখরে পৌছাতে চায় যেখেনা গিয়ে আর যাওয়ার আখাংকা আসবে না।
জীবনের সিদান্ত দুইটা হয় ওই ওপড়ের আসনে যাবো না হয় ওই মাটির নিচে যাবো।
আল্লাহয় জানে কি হবে।
আল্লা মালুম শেষ পরিনতি।
জানি না তখনো মন শান্তি পাবে কিনা নাকি আরো চায়বে।।।?!

জানেন আমি আমার বাবার এই চোট্টা খুটিরে খুব আনন্দে ছিলাম এত কিছু আসা ছিল না মা বাবাকে নিয়ে এক সাথে তাকার স্বপ্নটাই ছিল মনে সাজানো হটাৎ করে বাবার উপর রাগ করে নিজের ঘর টা খুজতে বের হয়েছিলাম আর তামাতে পাড়িনি খুজাখুজি আর তামবে না খুজাখজি।
এটায় বাস্তবতা।

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত