আজ বলব ভালবাসি

আজ বলব ভালবাসি

আজকে মেরূনার এম বি বি এস ক্লাসের শেষদিন। তাদের ছয়জনের একটা গ্রুপ আছে। সবজায়গায় তারা একসঙ্গে ঘুরে।আরিফ নিশু সেলিম রুমানা শাদীদ। তার মধে আরিফ নিশু আর সেলিম রুমানা তারা ফাষ্ট ইয়ার থেকে জানাশোনা প্রেম। শাদীদ মেরূনা দুইজন এখন ও সিঙ্গেল। ছয়জনের সম্পর্ক বন্ধুত্বের সম্পর্কটা বেশী। তারা সবাই সবাইকে তুই বলে সম্বোধন করে।

ক্লাস শেষে সংসদ ভবনের চত্তরটাতে এসে বসল।তাদের মধ্যে কথা হচ্ছিল এরকম
কিরে শাদীদ তোরা কি গোপনে কোন মালা বদল করছিস সেলিম মেরুনাকে ঈঙ্গিত করে বলে।

ধেৎ বলে শাদীদ আরেকদিকে মুখ ঘুরায়।সে খুব লজ্জা পেয়ে যায়।মেরুনা আরেকদিকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।ইচ্ছে হয় সেলিম টারে একটা চটকনা দেয়।

এবার বাকী তিনজনে মিলে চেপে ধরল ওদের দুইজনকে।এই তোরা দুইজনে আজকে এত ব্লাশ করতেছিস কেনরে?রহস্য টা কি? চারজনে চোখাচোখি করা শুরু করল।

আমি আর মেরুনা আজকে কোর্ট মারেজ করতেছি আর কি।বলে যেন বোমা ফাটাল আসরে শাদীদ।
এসব কি মজা শাদীদ বিরক্তির স্বরে বলে মেরুনা।
পাগলগুলি এসব শুনতে চাচ্ছে মেরুনা এইজন্য বললাম এবার শাদীদ বলে।

ওহ গড আমিতো সত্যি মনে করলাম রে এবার নিশু চিৎকার দিয়ে উঠল।বাকী চারজন ই সারাক্ষন ই চেষ্টা করতছে যেন মেরুনা শাদীদের একটা সম্পর্ক হয়ে যায় তাহলে তাদের গ্রুপ কোনদিন বিচ্ছিন্ন হবেনা।

ওরা আমাদের মত প্রেমকাতুরে পাখী না ।বাবা মার খুব অনুগত।বাবা মা যাকে ঠিক করবে কবুল কবুল করে তার গলায় ঝুলে পড়বে।

কিরে তোরা এখন ও আই লাভ ইউ বলা শিখিসনি?রুমানা বলে আরেক সহপাঠী মজা করে বলে।
এবার শাদীদ মজা করে জিজ্ঞাসা করে এই বলতো কিভাবে আই লাভ ইউ বলব?ধর আমার পছন্দের একজনকে আজকে বলব।

এটা কোন ব্যাপার সোজা হাতে হাত চোখে চোখ রেখে বলবি তুমি যেই হও না কেন তোমাকে আমার জীবনে দরকার।আমি তোমাকে অনেক ভালবাসব।

এদের এই গ্রুপে সবচেয়ে শান্ত আর মেধাবী হচ্ছে মেরুনা।সে এমনিতে অনেক চুপচাপ আজকে যেন আরও চুপচাপ হয়ে আছে।
হঠাৎ সে উঠে দাড়াল বলল যাইরে আমি।

যাই মানি আজকে আমরা কড়াই চিকেনে খাব।শাদীদ আমাদের কে খাওয়াবে ও নাকি কাকে আই লাভ ইউ বলবে।সেলিম বলল মজার ভঙ্গিতে।

আমি যাকে বলতে চাচ্ছি সে তো চলে যাওয়ার জন্য রেডি।ওকে জিজ্ঞাসা কর সে যদি আমাকে রিফিউজ না করে তো এক্ষুনী আই লাভ ইউ বলব।শাদীদ মজা করে মেরুনাকে ঈঙ্গিত করে বলে।

শাদীদ ইদানীং অন্যরকম সুরে তার সাথে কথা বলা শুরু করছে।সে ঠিক শাদীদকে কষ্ট দিতে চায়না আবার শাদীদ কে ঠিক স্বামীর জায়গায় ভাবতে পারেনা ।সে একটা আদর্শ নিয়ে চলে জীবনে একজনের সাথে প্রেম করবে তাকেই বিয়ে করবে অথবা বাবা মায়ের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে তাকে ই ভালবাসবে।তার বন্ধুরা এইজন্য তাকে ভিক্টোরিয়ান মনমানসিকতার মেয়ে মনে করে।

শাদীদ উঠে বলে আয় তোকে বাসায় নামিয়ে দেই।

২এই ভয়টা করছিল এতক্ষন মেরুনা।আজকে সে কিছুতে শাদীদের সাথে একা রিকশায় একসঙ্গে যেতে চায়না।তবু ও একসময় উঠতে হল ।একরিকশায় পাশাপাশি যাওয়া।

শাদীদ বারবার তার দিকে তাকিয়ে হাসছে ব্যাপার কি সোনা তুমি এত জবুথবু কেন?আমি তোমাকে কিছু করতে যাচ্ছিনা শুধু আই লাভ ইউ বলব বলে নিজে হা হা করে হেসে ফেলল।

রিল্যাক্স বেবী রিল্যাক্স বলে মেরুনার কাধ হাত ঘুরিয়ে চাপড়ে দিল।মেরুনা জোরে কেপে উঠল।
শাদীদ এবার আর ও জোরে হেসে উঠল।

মনে হল তোর জীবনে প্রথম পুরুষ স্পর্শ হল।এরকম কেপে উঠলি কেনরে?
এবার মনে মনে মেরুনা রেগে গেল।

শাদীদ গাঢ় গলায় বলতে শুরু করল তুই কি জানিস আমাদের সবফ্রেন্ডের চেয়ে তুই অনেক আলাদা।আমি তোকে অনেক রেসপেক্ট করি তোর মেধা আর বাক্তিত্বের জন্য।

এবার মেরুনা কথার মাঝখানে থামিয়ে দেয় শাদীদকে
শাদীদ আমি আসলে তোকে একজন ভাল বন্ধু হিসাবে দেখি অন্য কোনভাবে না।

এবার শাদীদ হেসে ফেলল।
তুমি কি এক্সপেক্ট করছ আমি প্রোপোজ করতে যাচ্ছিলাম তোমাকে বেবী নো নো। সে কৌতুকের স্বরে বলল।

ধ্যেৎ সারাক্ষন বাজে কথা রাগে ঝেজে উঠে বলে মেরুনা।

শোন এবার সিরিয়াস কথা একটু ও বাজে কথা না।এই শুক্রবারে আমার এনগেজমন্ট হতে যাচ্ছে এক স্বর্ণকেশীর সাথে।সিরিয়াস মুখ করে বলে শাদীদ।

এবার সত্যি থাপ্পড় খাবি যদি ফাজলামী করিস।সত্যি মেরুনা মারার জন্য হাত উঠায়।

নারে সিরিয়াসলী এজন্য দেখিস না আমি একটু উদাস।যদি তুই আমার প্রেমে পড়ে যাস তখন তো গৃহ অশান্তি হবে ।মাবাবার মতের বিরুদ্ধে তোকে বিয়ে করতে হবে।আমার মাবাবা তোর মত শ্যাম বর্নারে পছন্দ করবেনা।

তোর মনে আছে ক্যান্টিনে একদিন তুই আর আমি নাস্তা করতেছিলাম খুব হাইফাই একটা মেয়ে আমাদের পাশে বসে খাচ্ছিল আর তুই মেয়েটারে নিয়া কুটনামী করতেছিলি।

এবার মেরুনা জোরে একটা থাপড় দিল শাদীদের পিঠে বলল বাদর আমি কখন কুটনামী করলাম।বললাম শার্ট প্যান্ট পরে কলেজে আসছে কেন?

ওই হল ওইটা কুটনামী।তোর দেখার দরকার কি? ও শাট প্যান্ট পরল নাকি ধুতি পান্জাবী পরল।
বুঝতে পারছি এখন আসল ঘটনা বলেন ।

এইতো বাবা মার পছন্দের মেয়ে।বাবার কিরকম বন্ধুর মেয়ে নাকি।
শুনে প্রথম রিয়েকশানে মেরুনার একটু মন খারাপ হল।সে একটু অপ্রস্তুত হয়ে অফ হয়ে গেল।

পরক্ষনে কৃত্রিম উচছলতার সঙ্গে বলল বলিস কি তোর মা বাবা না হুজুর এরকম ডাটিয়াল মেয়ে পছন্দ করল।

বাবা মা হুজুর আমি তো হুজুর না।তারা আমার চয়েস বুঝে এরকম চয়েস করছে।আমার মতামতের জন্য ওয়েট করতছে।আমি চিন্তা করলাম তোর অনুমতি নিয়ে নেই।যদি তুই মনে মনে আমারে পছন্দ করে আবার ছ্যাক খাস।কৌতুকের স্বরে বলল শাদীদ।

বাসার সামনে মেরুনাকে নামিয়ে শাদীদ চলে গেল।মেরুনার এখন ভিতরে ভিতরে মনটা একটু খারাপ ।ব্যাপারটা এরকম অনেকটা অবহেলার হলেও সে জানছিল খেলনাটা তার আসলে মালিক দেখা গেল আরেকজন।

৩ গেট খুলে ঢুকতে ওদিকে বিপরীত দিকের রাস্তায় সেই ভদ্রলোক আজকে দাড়িয়ে গাড়ীতে হেলান দিয়ে। দাড়ানোর ভঙ্গি কিছুটা অলস শিথিল বিকালের এই বিজি সময়টাতে।পরপর তিনদিন ধরে এই ভদ্রলোক রাস্তায় দাড়িয়ে মনে হচ্ছে কার ও জন্য অপেক্ষা করছে।দৃষ্টি আকাশের দিকে ।উদাস বিষন্ন ভাব। আজকে মেরুনা দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতে গিয়ে তার চোখ পড়ে গেল ভদ্রলোকের দিকে।দেখল ভদ্রলোক আজকে সোজা মুখ ফিরিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখটা হাসি হাসি মুখের ভাবটা উদাস হলে ও।

মেরুনার আপাদমস্তক কেপে উঠল। কিছুক্ষন লাগল তার স্বাভাবিক হতে। ভদ্রলোক দেখতে বেশ সুদর্শন বলা যায়। ইজিলি হলিউড বলিউডে নায়ক হিসাবে চান্স পেয়ে যাবে। এখানে মেরুনার দরজার গোড়ায় ভদ্রলোকের কি কাজ সে ভেবে পেলনা।

ও মাই গড এদিকে এগিয়ে আসছে দেখি। তাড়াতাড়ি গেটটা খুলে না দেখার ভান করে ঢুকে গেটটা লাগিয়ে দিল।গেটের ফাক দিয়ে দেখে ভদ্রলোক অপ্রস্তুত হয়ে দাড়িয়ে আছে।

পরক্ষনে সে ও নিজেকে ছি ছি করতে লাগল। এটা কি অভদ্রতা হয়ে গেল। হয়তবা ভদ্রলোক কোন বাসার অ্যাড্রেস জানতে চাচ্ছিল বা কিছু একটা হবে। কি বোকামী করে ফেলল।

ভাবল দরজা খুলে দেখবে নাকি? সামান্য একটু খুলতে দেখল ভদ্রলোক চলে যেতে পিছনে ফিরে তাকাতে দুজনের চোখাচোখি হয়ে গেল। এবার ভদ্রলোক বেশ দাত বের করে হেসে দিয়ে তার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল।

এবার ও মেরুনা একই কাজ করল।বোকার মত ভয়ে গেটটা বন্ধ করে দিল।বন্ধ করে নিজের মাথা নিজে ই ছেছতে লাগল।সে যে কেন এত বোকা আনস্মার্ট হয়ে যায় বারবার।

ঘরে ঢুকতে ফোন বেজে উঠল।
ফোনের অপরপ্রান্ত কিছুক্ষন চুপচাপ তারপরে ভারিক্কি কন্ঠস্বর শোনা গেল।
সম্ভবত আমি আপনাকে মিট করেছি একটু আগে।

জী বিষ্মিত হয়ে মেরুনা বলতে পারল আপনি আমার ফোন নাম্বার পেলেন কিভাবে?
সেটা আমাকে বলার স্কোপ দিয়েছেন কি? আচ্ছা আপনি ভয় পেলেন কেন বলুন তো?

মেরুনা এবার লজ্জা পেয়ে গেল ভীষন।না না ভয় পাইনি ঠিক সরি সিলি আচরন করার জন্য।বলুন আমার কাছে কি জানতে চাচ্ছেন?

আমার কিছু জানার নেই।সব জেনেছি এবং তাতে বেশ সন্তুষ্ট আমি।আপনার নাম মেরুনা শাম্মী। তিনভাইয়ের এক বোন। ডি এম সি থেকে পড়াশোনা শেষ করছেন মাত্র। মাবাবা বেচে নাই। আমি আপনার মেঝ ভাবীর কাজিন সৈকত জমিল। ভাইয়ের বিয়ের সময় দেখেছিলাম।আপনি আমাকে ভূলে গিয়েছেন।আমি ভূলিনি। আমার ডিটেলস আপনার ভাবীর কাছ থেকে পাবেন।

ফোন ছেড়ে দেওয়ার পর রোমান্টিক চিন্তার রাজ্যে হারিয়ে গেল ও মিষ্টার সৈকতকে নিয়ে।
৪ মেঝ ভাবী এসে অনেক মজা খুনসুটি করলেন বললেন

বেচারা একবারে দেওয়ানা হয়ে আছে তোমার জন্য। ওরা ডেট ফেলতে চাচ্ছে আমরা তোমার মতের জন্য ওয়েট করছি।ও অষ্ট্রেলিয়াতে সেটেল। তুমি ও পড়াশোনা করতে পারবে যদি আরও করতে চাও ভাবী হড়বড় করে বলল।

খাওয়া দাওয়া করে টিভি দেখতে বসছে আবার ফোন। এবার ভাবী এসে ফোন দিয়েছে। এইযে তোমার বরের ফোন।
কান্ড দেখ। আমি এখন ও দেখলাম ই না ঠিকমত। আমারে বিয়ে দিয়ে দিছে। মনে মনে সে ভাবে।

ওপাশের স্বর অনেক গভীর রোমান্টিক। ভাববাচ্যে সম্বোধন করা হচ্ছে।

কি করছে মিস মেরুনা? আমি কোনভাবে ডিষ্টার্ব করছিনা তো ভদ্রমহিলাকে।

চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা

ভালবাস যদি কাছে আসনা।

তুমি আমি যেন নদী

বয়ে চলি নিরবধি

অজানা দেশে

অচিন বেশে গুনগুন করে গান গাইতে জিজ্ঞাসা করে গানটা কেমন?

এখন পর্যন্ত তারা তুমিতে নেমে আসেনি। রাত একটা পর্যন্ত কথা বলল। মেরুনা ক্লান্তিতে মনে হচ্ছে সে বসে ঘুমিয়ে পড়বে।ফোন রাখার পর ড্রেস চেন্জ করে ঘুমাতে যাবে আবার ফোনের শব্দ। ধরতে শাদীদের ফোন।

কিরে তোর ফোন কি হয়েছে?অন্তত ফিফটিন টাইমস ফোন করছি আল্লাহ।

কথা ঘুরিয়ে জবাব।এক আত্মীয় বাইরে থেকে আসছে কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেছে।

জরুরী কথা আছে।তোর সঙ্গে দেখা করতে চাই।শোন আমার মাথা খরাপ আছে।কালকে আমি তোকে বিয়ে করব।তুই রিফিউস করলে আত্মহত্যা করব বলে দিচ্ছি ।বলে পাগলের কান্ড।ফোন রেখে দিল।

৫ প্রতিদিন কথা বলতে বলতে দুজনের সম্পর্ক অন্যরকম মাত্রা নিচ্ছে। প্রতিদিন রাত বারটা থেকে কথা বলা শুরু করতে কখন সকাল হয়ে যায় তাদের চেতনায় আসেনা।বান্ধবীরা মজা করে। সৈকত সাহেবকে পেয়ে আমাদের ভূলে গেলি। শাদীদের অবস্থা কিছুটা মরনাপন্ন । তার ধারনা মেরুনাকে সৃষ্টি করেছে আল্লাহ তার জন্য। আর মেরুনা সৈকত দুজনের মনে এইভাব টা কাজ করে দে আর মেড ফর ইছ আদার।অবশেষে বিয়ের দিন চলে আসল। মেরুনার ভাইরা চাচ্ছিল দেশের পরিস্থিতি ভাল হলে বিয়ের ডেট ফেলবে। এদিকে সমস্যা সৈকতের ছুটি শেষের দিকে। দুইপক্ষ আল্লাহ আল্লাহ বলে বিয়ের ডেট ফেলল ডিসেম্বর এর বিশ তারিখ শুক্রবার।হরতাল থাকবেনা। মেরুনাকে তার বান্ধবীরা সাজিয়ে নিয়ে আসল কমিউনিটি সেন্টার থেকে। দুপুরবেলা কাজী এনে আখত হবে।সবাই তার অপেক্ষায়। দুইটা তিনটা চারটা পাচটা বেজে যাচ্ছে বর পক্ষদের কোন খবর নাই।বাসায় ফোন করার পর এটাই জানা গেল কাজের শ্রেনীর একজন বৃদ্ধার কাছে ওনারা অনেক আগে বের হয়ে গেছেন। দীর্ঘ আট ঘন্টা পর হলি ফ্যমিলি হাসপাতাল থেকে ফোন এসেছে মেরুনাদেরকে সেখানে যেতে বলা হল। সৈকতের একদূর সম্পর্কের চাচার সাথে দেখা হল এবং তাতে জানা গেল সৈকতদের বরের গাড়ীতে এক পেট্রোল বোমার আঘাতে স্পটে গাড়ী বিষ্ফোরন হয়ে সবাই মারা যায় ওখানে।শুধু সৈকতের একছোট ভাই ছাড়া তারা সবাই মারা গেছে। সৈকতের যে ছোটভাই বেচেছে সে ইনটেনসিভ কেয়ারে মৃত্যূর সাথে পান্জা লড়ছে।

পরিশিষ্ট: মেরুনার কি অবস্থা জানিনা।সে বেচে আছে ? না কি আবার পড়াশোনা শুরু করেছে বা ডাক্তারী প্র্যকটিস করা শুরু করেছে। হয়তবা আজ না হোক কাল সে এই শোক কাটিয়ে উঠবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে চলতে চেষ্টা করবে।এটাই স্বাভাবিক। নিয়তিকে বা দূর্ভাগ্যকে মানুষ সহজে মেনে নেয়। আবার হয়তবা সে নুতুন জীবনের স্বপ্ন দেখবে। প্রকৃতি ই তার ব্যবস্থা করবে।

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত